শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দুই বাংলায় ঝলমলে মিথিলা

মাসুদুর রহমান
  ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

শোবিজের আলোকিত এক নাম রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। যিনি দর্শকদের কাছে মিথিলা নামেই পরিচিত। উপস্থাপনা, অভিনয়ের পাশাপাশি গানেও তিনি সমুজ্জ্বল। জ্বলজ্বলে আলোক রশ্মির মতো তার সৌন্দর্য ও গুণের আভা ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। দেশের গন্ডি পেরিয়ে এবার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন ওপার বাংলাতেও। রাজর্ষি দে'র পরিচালনায়ই টালিগঞ্জের সিনেমায় অভিষেক ঘটে মিথিলার। ইতোমধ্যে তার পরিচালনায় 'মায়া' নামে একটি চলচ্চিত্রের শুটিং শেষ করেছেন এ অভিনেত্রী। 'মায়া'র কাজ শেষ করার পর রিঙ্গো ব্যানার্জির পরিচালনায় 'আ রিভার ইন হ্যাভেন' নামে আরেকটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। টলিউডের এই দুটি চমকের রেশ কাটতে না কাটতে নতুন সুখবর দিলেন মিথিলা। নতুন করে টালিউডের আরও একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। এর নাম 'নীতিশাস্ত্র'। এটি মূলত একটি অ্যান্থলজি বা অমনিবাস চলচ্চিত্র। যেটা চারটি ছোট গল্পের সমন্বয়ে নির্মিত হবে। সিনেমাটি নির্মাণ করছেন তরুণ নির্মাতা অরুণাভ খাসনবিশ। যিনি ১৩ বছর ধরে সিনে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন। মিথিলার এই সিনেমায় মিথিলা ছাড়াও অভিনয় করবেন ইমন চক্রবর্তী, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, রজতাভ দত্ত, শান্তিলাল মুখার্জি, ঋতব্রত মুখার্জি, বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। নতুন সিনেমা প্রসঙ্গে মিথিলা বলেন, 'এখানকার সবার কাজের সঙ্গে এখনো ভালো করে পরিচিত হইনি। এই মুহূর্তে ভালো চিত্রনাট্য আর চরিত্র দেখে কাজ বেছে নিচ্ছি। এখানে আমাকে একজন চিকিৎসকের ভূমিকায় দেখা যাবে।'

সম্প্রতি কলকাতার গণমাধ্যমের এক খবরে বলা হয়, তৃণমূলের নেতা মদন মিত্রের জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন টালিগঞ্জের নির্মাতা রাজর্ষি দে। সেই সিনেমায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রে মিথিলার অভিনয়ের গুঞ্জন ছড়িয়েছে টলিউডে। বিষয়টি নিয়ে পরিচালক রাজর্ষি দে বলেন, 'মিথিলা থাকবেন ছবিতে। তবে কোন চরিত্রে থাকবেন, সেটা এখনো ঠিক হয়নি।' মদন মিত্রের বায়োপিকে ২০২২ সালের দিকে হাত দেবেন বলে জানান রাজর্ষি। তিনি বলেন, 'মদন মিত্র আমার এলাকার বিধায়ক। সেই কারণে আমি মদনদাকে অনেক কাছ থেকে দেখেছি। নির্বাচনে কামারাহাটি থেকে মদনদার দাঁড়ানো, নির্বাচনে জেতা, মাঝখানে একটা অন্যরকম সময় যায় অবশ্য। মদনদার আবার ফিরে আসা, ফের নির্বাচনে জেতা- সেদিক থেকে বায়োপিকটা কী রকম করে বানাবো তা অনেকটাই পরিষ্কার আমার কাছে। তবে এই বায়োপিকের চিত্রনাট্য লিখবেন অন্য একজন। যিনি খুব জনপ্রিয় একজন ইতিহাসবিদ, প্রাবন্ধিক এবং কবি। যিনি কামারাহাটিতে দীর্ঘদিন থাকেন। এখনই তার নামটা বলতে চাইছি না।' কলকাতার চলচ্চিত্রের আগে মিথিলা প্রথমবারের মতো নাম লেখান ঢাকাই চলচ্চিত্রে। অনন্য মামুন পরিচালিত 'অমানুষ' চলচ্চিত্রে তিনি জুটি বাঁধেন চিত্রনায়ক নিরবের সঙ্গে। এ চলচ্চিত্রের অধিকাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি আছে কিছু অংশের কাজ।

গত ডিসেম্বরে কলকাতার নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে বিয়ে হয় মিথিলার। এ নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিলেন বলেও অনেকেই মন্তব্য ছুড়েন। সৃজিতের সঙ্গে বিয়ের পর কিছুদিন অভিনয়ে ভাটা পড়লেও ফের গতি ফিরে অভিনয়ে। চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন বিয়ের পরেই। চলচ্চিত্র, নাটক-বিজ্ঞাপনের অনেক প্রস্তাব থেকে বাছাই করে কেবল পছন্দের কাজগুলোই করছেন এই অভিনেত্রী। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি গত কোরবানির ঈদেও কয়েকটি নাটকে কাজ করেছিলেন। এসব নাটকের কাজ শেষ করে মিথিলা পারি জমান কলকাতায়। করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন তিনি স্বামী সৃজিত থেকে দূরে ছিলেন।

মিথিলা প্রথম বিয়ে করেছিলেন কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খানকে। আয়রা নামের একটি মেয়েও আছে তাদের। মেয়েটি মিথিলার সঙ্গেই থাকে। স্বামী-স্ত্রী বিচ্ছেদের পর আমাদের সমাজের প্রচলিত বিভক্ত ও দূরত্বের চিত্র তাহসান-মিথিলার বেলায় দেখা যায়নি। তাদের মধ্যে এখনো সুসম্পর্ক বজায় রয়েছে। মিথিলা বলেন, 'তাহসান আমার সাবেক স্বামী। আমরা আজও বন্ধু। আমাদের মধ্যে কথা হয়। আমাদের বিচ্ছেদ নিয়ে নানা কথা হলেও মানুষকে বুঝতে হবে আমরা দুজনে এক বাচ্চার বাবা-মা। আমাদের সম্পর্কটা এখন বন্ধুর মতো। আর এই সম্পর্ক আইরার জন্য খুব জরুরি। আমার আর তাহসানের স্বাভাবিকতার জন্যই আইরা আমায় আজ বলতে পারে, 'মা আমি বাবার কাছে যাব। আমার অন্যান্য বন্ধুদের তো দেখেছি বিবাহ বিচ্ছেদের পরে পারস্পরিক সম্পর্ককে তারা এত তিক্ত করেছে যে তার প্রভাব বাচ্চার ওপর এসে পড়েছে। আমরা তা চাই না।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে