মৌলিক গল্পের দিকে বেশি নজর দিতে হবে

ঢাকাই ছবির আলোচিত তরুণ অভিনেতা বাপ্পী চৌধুরী। কদিন পরপরই ছবি মুক্তি পাচ্ছে তার। গত ১২ এবং ১৯ অক্টোবর পরপর দুটি ছবি মুক্তি পায় তার। আগামীকাল মুক্তি পাচ্ছে আরও একটি নতুন ছবি। বতর্মান অবস্থা ও চলচ্চিত্রের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে তারার মেলার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেনÑ আকাশ নিবির

প্রকাশ | ০১ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বাপ্পী চৌধুরী
কেমন কাটছে চলমান সময়? ব্যস্ততাতেই কাটছে বতর্মান দিনগুলো। ছবির প্রচারণা আর শুটিংয়েই কাটছে পুরো সময়। গত দু সপ্তাহে পরপর দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছে আমার। ওই ছবি দুটির প্রচারণা শেষ হতে না হতেই আবার শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে ‘আসমানী’ ছবিটি। এ মাসেই আবার পরিচালক বেলাল সানীর ভৌতিক গল্প ‘ডেঞ্জার জোন’ শেষ লটের শুটিং করব। এরপর জয়া মিডিয়া’র নতুন একটি সিনেমা ‘বেসামাল’, অ্যাকশন থ্রিলার সিনেমা ‘রাজ’, ‘সুলতান’ ছাড়াও আরও কয়েকটি ছবির কাজ শুরু ধরব। এ ছাড়া তারেক সিকদার পরিচালিত ‘দাগ’ ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সব মিলিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। ‘নায়ক’ ছবিটি কতটা গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে দশর্ক মহলে? আমার জানা মতে এবং সরেজমিনে বিভিন্ন সিনেমাহল ঘুরে যা দেখলাম, তাতে নায়ককে আমি পুরোপুরি সফল একটি সিনেমাই বলব। আমি এই ছবিতে সবর্ত্রটা দেয়ার চেষ্টা করেছি। শুটিং এ পোষাক থেকে লুক, গেটআপ মানে এক কথায় ‘নায়ক’ সাজতে যা যা লেগেছিল। ছবিটি দেখতে গিয়ে দশের্কর চিৎকার শুনতে আমার বেশি ভালো লেগেছে। শো শেষ করার পর তো সকল দশর্কদের সেলফি ভিড়ের মধ্যেও আমাকে পরতে হয়েছিল। তবে প্রযোজক ও পরিচালকদের চোখে মুখে খুশির ছাপ দেখতে পেরে আমার সব থেকে ভালো লেগেছিল। ‘আসমানী’ নিয়ে প্রত্যাশা কতটুকু আমার সব ছবি নিয়েই প্রত্যাশা অনেক বেশি। কখনো কখনো প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে যায় প্রাপ্তির অঙ্ক। ‘আসমানী’ নিয়েও অনেক ভালো কিছু প্রত্যাশা করছি। নাম ‘আসমানী’ হলেও ছবির গল্পটা অনেক আধুনিক। এখানে আমার সঙ্গে কাজ করেছে সুস্মি নামের নতুন এক নায়িকা। আশা করি দশর্কদের কাছে আশানুরূপ সাড়াই পাব। আর সবচেয়ে বড় কথা আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প চাঙ্গা করতে পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে হবে। কি রকম পরিকল্পনা? আমরা শুধু মুখে ‘ডিজিটাল-ডিজিটাল’ ধ্বনি আওড়াচ্ছি। কিন্তু বাস্তবের চিত্র একেবারেই উল্টো। অনেক সিনেমাহলে গেলে দেখবেন ওই টিনের ফুটো দিয়ে সূযের্র আলো ডিজিটালের পদার্য়। তাতে করে আমাদের চেহারা আর কারো চোখে পরে না। আবার যদি কোন গল্প কোনো না কোনো গল্পের সঙ্গে একবার মিলে যায় তাহলে তো রক্ষা নেই। একটি ছবি শুরু থেকে শেষ করতে কী পরিমাণ যে কষ্ট করতে হয়। যারা সিনেমার সঙ্গে জড়িত আছে তারাই শুধু জানে এই ব্যাপারগুলো। যদিও আগের চেয়ে সিনেমা বাজারে আবারও স্বস্তি ফিরে এসেছে। সিনেমাপ্রেমী দশর্করাও হলে এসে ছবি দেখতে শুরু করেছে। কিন্তু আরো দশর্ক হলে আনতে সবার আগে হল সংস্কারণ ও হলগুলো ডিজিটালের আওতায় আনতে হবে এবং প্রতিটি মৌলিক গল্পের ছবি তৈরির দিকে বেশি নজর দিতে হবে। এই পরিস্থিতিতে পরবতীর্ প্রজন্ম টিকে থাকবে কিভাবে? আর পরবতীর্ প্রজন্ম। আমরাই এখন পযর্ন্ত পা সোজা করে দঁাড়াতে পারলাম না। শাকিব ভাইয়ের পরবতীর্ প্রজন্ম ধরতে গেলে আমি, সাইমন, নিরব, ইমন আরও অনেকেই। বতর্মান অবস্থার মধ্যে আমরা দশর্কদের তেমন কিছু দেখানোর সুযোগও পাচ্ছি না। শাকিব ভাইয়েরও কিন্তু বছরে ১২টা সিনেমার মতো করলে দুই এক হিটের তকমা লেগে যায়। কিন্তু আমাদের দেখা যায় বছরে দুই থেকে তিনটা ছবি মুক্তি পেলে। তবে অবশ্যই চলচ্চিত্র টিকিয়ে রাখতে হলে আমাদের পরের প্রজন্মকে শক্ত হতে হাল ধরতে হবে। মিডিয়ার কাছ থেকে কতটা সহায়তা পাচ্ছেন? সত্যি কথা বলতে, আমাকে সাপোের্টর দিক থেকে সব অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক্স মিডিয়ার বিনোদন সাংবাদিক ভাইরা বেশি এগিয়ে (হাসি)। তারপর সব সিনেমাপ্রেমী দশর্ক। তবে আমি বলব আপনারা সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে। দলা-দলি, বিভেদ ভুলে যেতে হবে। তাহলেই সুন্দর একটা পরিবেশ পাবে আমাদের চলচ্চিত্র।