পঞ্চাশে ‘কহে বিরাঙ্গনা’

প্রকাশ | ০৮ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

তারার মেলা রিপোটর্
‘কহে বীরাঙ্গনা’ নাটকের দৃশ্য
পঞ্চাশে পা দিচ্ছে মনিপুরী থিয়েটারের আলোচিত নাটক ‘কহে বীরাঙ্গনা’। মাইকেল মধুসূদন দত্তের বীরাঙ্গনা কাব্য অবলম্বনে নিমির্ত এ নাটকটির ৫০তম মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে। নাটকটির ৫০তম মঞ্চায়ন উপলক্ষে তিনটি বিশেষ প্রদশর্নীর আয়োজন করেছে মনিপুরী থিয়েটার। তার আগে আজ বৃহস্পতিবার বনানীস্থ সাধনা স্টুডিওতে একটি বৈঠকি শো আয়োজন করা হয়েছে। নাটকটির ৫০ পূতিের্ত উচ্ছ¡সিত মনিপুরী থিয়েটার। দলটির অধিকতার্ শুভাশিস সিনহা বলেন, ‘যে কোনো থিয়েটার দলের জন্য কোনো প্রযোজনার ৭৫তম প্রদশর্নী করতে পারা দারুণ আনন্দের। আর সেই প্রদশর্নীগুলো যদি গ্রাম থেকে শুরু করে শহরে, জাতীয়-আন্তজাির্তক পযাের্য় এবং দেশের বাইরে প্রায়শই অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে, সব পরিসরেই প্রশংসা পায়, তা অন্যরকম ভালো লাগা তৈরি করে। ‘কহে বীরাঙ্গনা’র ক্ষেত্রে তা-ই হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, অভিনয়ের ক্ষেত্রে শরীর-বচন-মুদ্রা-সংগীত-অভিব্যক্তি সবকিছুকে একাত্ম করে এক ধরনের এনাজেির্টক ও অগাির্নক ইউনিটির অভিনয়রীতি এ নাটকে ধারণ করা গেছে, দেশজ হয়েও যা বৈশ্বিক, জ্যোতি সিনহা যার অনুপুঙ্খ রূপায়ণকারী। পরবতীর্কালের অনেক নাটকের অভিনয়শৈলীতে এর প্রভাব লক্ষ করা গেছে। এটা অবশ্যই আনন্দের।’ ২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর মঞ্চযাত্রা শুরু করে ‘কহে বীরাঙ্গনা’। নাটকটির নাট্যরূপ ও নিদের্শনা দিয়েছেন শুভাশিস সিনহা। মহাভারতের নারী চরিত্র ‘শকুন্তলা’, ‘দ্রৌপদী’, ‘দুঃশলা’ ও ‘জনা’কে নিয়ে তৈরি হয়েছে এ নাটকের গল্প। নাটকটিতে একক অভিনয় করছেন জ্যোতি সিনহা। এ ছাড়াও মূল অভিনেত্রীর সঙ্গে ভাবমুদ্রা রূপায়ণে থাকবেন স্মৃতি সিনহা, অরুণা সিনহা, প্রিয়াঙ্কা সিনহা, অনামিকা চ্যাটাজীর্। সংগীতে থাকবেন শমির্লা সিনহা, বাদ্যে থাকবেন বিধান চন্দ্র সিংহ, বাবুচঁান সিংহ। দেশের মঞ্চ ছাড়াও ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন মঞ্চে নাটকটির প্রদশর্নী প্রশংসা অজর্ন করে। ভারতের টাইমস অফ ইন্ডিয়ার আমন্ত্রণে কলকাতায় নাটকটির প্রদশর্নী প্রশংসা অজর্ন করে। সেরা মঞ্চনাটক হিসেবে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াসর্ বাংলাদেশ (আইডিইবি) প্রদত্ত আব্দুল জব্বার খান পদক অজর্ন করে ‘কহে বীরাঙ্গনা’। এ ছাড়া ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে আসাম ও ত্রিপুরায় নাটকটির প্রদশর্নী হয়।