অপ্রাপ্তির চেয়ে প্রাপ্তি বেশি : পড়শি

চলমান সময়ের ব্যস্ততম তরুণ কণ্ঠশিল্পী সাবরিনা পড়শি। তবে চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজ হিসেবেই বেশি পরিচিত তিনি। ২০০৮ সালে চ্যানেল আইয়ের ‘ক্ষুদে গানরাজে’র মাধ্যমে সংগীতাঙ্গনে আত্মপ্রকাশ ঘটে তার। তারপর খুব কম বয়সে ও কম সময়ে গায়িকা হিসেবে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। গানের পাশাপাশি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গে তার সঙ্গে কথা বলেছেনÑ আকাশ নিবির

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সাবরিনা পড়শি
গান আর পড়াশোনায় ব্যস্ত... পড়াশোনা আর গানÑ এ নিয়েই কেটে যাচ্ছে আমার চলমান সময়। সম্প্রতি কয়েকটি অডিও কোম্পানির নতুন গানের কাজ চলছে। এগুলো মিউজিক ভিডিও আকারে তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে আসবে। চলতি মাসেই বেশ কিছু স্টেজ কনসাটর্ও রয়েছে। অন্যদিকে নিয়মিত একটি বেসরকারি রেডিওতে উপস্থাপনার দায়িত্বে আছি। এ ছাড়াও কয়েকটি টিভি চ্যানেলে লাইভ অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছি। অপ্রাপ্তির চেয়ে প্রাপ্তি বেশি... ভক্তদের ভালোবাসাই আমার সব প্রাপ্তি। তবে এই প্রাপ্তির পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান আমার মা আর ভাইয়ের। তারাই আমাকে হাতে ধরে ধরে যেন শিখিয়েছেন। তবে যখন আমি স্টেজে উঠি গান করার জন্য তখন দশের্কর যে পরিমাণ আবেগÑ কি পরিমাণ ভালো লাগে তা আসলে বুঝাতে পারব না। তারা আমাকে এত অল্পসময়ে আপন করে নিয়েছেন এর চেয়ে আর কি প্রাপ্তি থাকতে পারে! আমার অপ্রাপ্তির তেমন কিছুই নেই। আমি সবার থেকে ছোট এ জন্যই সবার আদরেই থাকি। কিন্তু একটি বিষয়ে খুব খারাপ লাগে। সামনে এসে কিছু না বলে পেছনে এসে নানা ধরনের কথা বলা। ভাইরাল নিয়ে ভাবি না... আমাকে আমার কণ্ঠ দিয়েই সবাই চেনে ও জানে। সেখানে স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরালের চিন্তাও করি না। যেহেতু এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ, সেহেতু অনেক ভেবেচিন্তেই কাজ করতে হয়। আমি বিশ্বাস করি এখনো শ্রোতাপ্রিয়রা আমার কণ্ঠেকেই ভালোবাসে। আমাদের এই জায়গাটা খুবই ছোট। আমরা সবাই একটি পরিবারের মতো। এখানে যে যেমন করে আসবে সে তেমন করেই চলেও যাবে। আমি মনে করি শুধু ভাইরাল হলেই হবে না। তাকে সেই জায়গাটি ধরেও রাখতে হবে। অভিনয় করি শখের বসে... আমি আসলে গায়িকা, নায়িকা নই। তাই আমি গান নিয়েই থাকতে চাই। যে কয়েকটি করেছি সেগুলো খুব কাছের মানুষের অনুরোধে করেছি। আমি একটি সিনেমায় কাজ করেছিলামÑ ছবির নাম ‘মেন্টাল’। এই ছবির নায়ক চিত্রনায়ক শাকিব খান। এ ছাড়াও কয়েকটি নাটকেও কাজ করেছিলাম। আসলে সেগুলো ছিল মূলত শখের বসে। এ ছাড়াও অভিনয়ের বেশ কয়েকটি প্রস্তাব পেয়েছি। ভালোবাসা দিবসের একটি নাটকেও অভিনয় করার কথা ছিল। তবে স্টেজ শোর ব্যস্ততার কারণে করা হয়নি। হৃদয় খানের ভক্ত আমি... আমার শুরু থেকে গানের পেছনে অসংখ্য যার তার নাম সে হলোÑ হৃদয় খান। তিনি আমাকে একদম নিজের ছোট বোনের মতো দেখেন। তবে আমার ব্যাপারটা হলো, আমি টাইগারকেও এতটা ভয় পাই না, যতটা তাকে ভয় পাই (হাসি)। তাকে টাইগারের চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর লাগে আমার কাছে। তবে তার গানের গলা হিসেবে আমি তার দারুণ ভক্ত। মনে পড়ে সেই দিন... আমি একটি গান গেয়েছিলাম। শিরোনাম ছিল ‘ফিরে আসবে না’। গানটি গেল বছরের নেপালের মমাির্ন্তক বিমান দুঘর্টনায় নিহতদের স্মরণে কণ্ঠ দিয়েছিলাম। এই গানটি মূলত মানবতার জায়গা হতে করা হয়েছে। বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার কয়েকজন শিল্পী মিলে তৈরি হয়েছিল। এ ছাড়াও বাংলাদেশের সাহান কবন্ধের লেখা গানটি নেপালের ভাষায় রূপান্তর করেছেন প্রসাদ বাসকোটা। শ্রীলঙ্কা থেকে গানটির সুর ও সঙ্গীত করেছেন যৌথভাবে শ্রীলঙ্কার রাজ ও থিলিনা বোরালেসা। এই গানে আরও কণ্ঠ দিয়েছেন বাংলাদেশের হৃদয় খান এবং পড়শি। অপরদিকে নেপালের মেলিনা রাই ও সনুপ পাউডেল। তবে আমরা এমন দুঘর্টনা কখনো চাই না। গান নিয়েই থাকতে চাই... আমার কেবল শুরু করার কথা। খুব ছোটবেলা থেকেই গান ভালোবাসি। আর গান নিয়েই সারাজীবনই থাকতে চাই। সবাই আমার জন্য অনেক অনেক দোয়া করবেন। যেন সামনে আরও ভালো ভালো গান উপহার দিতে পারি।