ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন ববি

দেশীয় চলচ্চিত্রের ব্যস্ত অভিনেত্রী ইয়ামিন হক ববি। প্রথম ছবি খেঁাজ-দ্যা সাচর্ হলেও ‘দেহরক্ষী’ ছবি দিয়ে বেশ আলোচনায় আসেন তিনি। এরপর একাধিক ছবিতে অভিনয় করার পর শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘রাজত্ব’, ‘ফুল অ্যান্ড ফাইনাল’ এবং ‘হিরো দ্যা সুপারস্টার’ ব্যবসায়িক ছবি উপহার দেন এই সুদশর্নী নায়িকা। নতুন বছর বেশ কয়েকটি ছবিতে দেখা যাবে তাকে।

প্রকাশ | ০৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

আকাশ নিবির
ইয়ামিন হক ববি
তারার মেলা : বছরটি কেমন গেল? ববি : মন্দ-ভালো মিলিয়েই কেটে গেল বছরটি। অনেক ঘটনাবহুল একটি বছর ছিল আমার জন্য। প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির পাশাপাশি হতাশাও ছিল। সব কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। আশা করি, চলতি বছরটাতে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে পারব। নতুন বছরে নতুন কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছি। তবে এখনই এসবের বিস্তারিত বিবরণ দিতে চাই না। তারার মেলা : মুক্তি প্রতীক্ষিত আপনার নতুন ছবি নিয়ে প্রত্যাশা কতটুকু? ববি : অবশ্যই ভালো। একটি ছবি নিমার্ণ করেছেন তরুণ পরিচালক সাকিব সনেট। ছবির নাম ‘নোলক’। আর এই ছবিতে আমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শাকিব খান। অন্যদিকে কলকাতার বড় পরিচালক রাজা চন্দ পরিচালনা করেছেন। তা ছাড়া গল্পনিভর্র বাণিজ্যিক ঘরানার ছবি। অ্যাকশন ও রোমান্সে ভরপুর। এখনকার দশর্করা এ ধরনের ছবিই পছন্দ করেন। আমার মনে হয়, এ ধরনের ছবি বেশি বেশি হওয়া উচিত। আশা করছি, এ বছর আমার জন্য নতুন কিছু হবে। তবে ‘নোলক’ ছবিটি আমার জন্য পুরাই ধামাকা হবে। তারার মেলা : ‘বেপরোয়া’ ছবিটি কলকাতায় মাত্র একটি সিনেমা হলে মুক্তি পেল। এর রহস্য কি? ববি : শতাধিক হলে মুক্তির কথা ছিল। হল বুকিংও চলছিল। কিন্তু ঈদের মাত্র দুই দিন আগে ছবিটি সেন্সর পায়। তাই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া তাড়াহুড়া করে এত বড় বাজেটের ছবি মুক্তি দিতে চায়নি। তবে ঈদে ছবিটি মুক্তির কথা ছিল, তাই কথা রাখার জন্য একটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এ বছরের মাচর্-এপ্রিলে আনুষ্ঠানিকভাবে বড় পরিসরে ছবিটি মুক্তি দেয়া হবে। তারার মেলা : আপনার আরেক ছবি ‘রক্তমুখী নীলা’র অগ্রগতি কেমন? ববি : এ বছরের সেপ্টেম্বর থেকে শুটিং করার কথা। বেশ কয়েক মাস আগে এই ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি আমি। পরিচালনা করবেন জয়দীপ মুখাজির্। ছবিতে আমার নায়ক সব্যসাচী মিশরা। বড় বাজেটের ছবি হবে এটি। বাংলা, হিন্দি ও তামিল ভাষায় ডাবিং করার কথা আছে। তারার মেলা : অদূর ভবিষ্যতে ভিন্ন কিছু করার পরিকল্পনা আছে কি? ববি : যেহেতু চলচ্চিত্র নিয়েই আছি সেহেতু অন্য কিছু আর চিন্তা করছি না। সবার ভালোবাসা পেয়েই তো আজ আমার এতদূর আসা। সবাই আমার ও আমার বাবা-মা’র জন্য দোয়া করবেন। যেন অনেক ভালো থাকতে পারি আর সবাইকে আরো ভালো ভালো ছবি উপহার দিতে পারি। তবে প্রতিটি সিনেমাপ্রেমীদের বলতে চাই, প্রত্যেকেই হলে এসে ছবি দেখুন। তাহলেই আবার চলচ্চিত্র তার নিজের প্রাণ খুঁজে পাবে। তারার মেলা : একটু অন্যরকম প্রশ্ন করি। কোন সময়টা খুব বেশি মনে পড়ে আপনার? ববি : আমার স্কুল জীবনে মনিপুরি পাড়ায় ভতির্ পরীক্ষা দিয়ে টিকেছিলামÑ যা শুনে আমার বাবা ভীষণ খুশি হয়েছিলেন। এটা মাঝে মাঝে খুবই মিস করি। তবে বাবা চেয়েছিলেন আমি ডাক্তার হই। বতর্মানে তো চিত্রনায়িকা হয়ে গেলাম (হাসি)।