বাপ্পীর প্রত্যাশা

চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরী। মিডিয়ায় ইতোমধ্যে সুলতান নামেই পরিচিত হয়ে উঠেছেন। আগামী ৮ ফেব্রæয়ারি তারেক শিকদারের পরিচালনায় ‘দাগ’ ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। এ ছাড়া উপযুক্ত সময়ে নিজেকে মানিয়েও নিয়েছেন তিনি। বতর্মান অবস্থা আর সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে তারার মেলায় লিখেছেন আকাশ নিবির

প্রকাশ | ১০ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বাপ্পী চৌধুরী
চলচ্চিত্রে এরইমধ্যে নিজের একটা আলাদা ইমেজ গড়ে তুলেছেন বাপ্পী চৌধুরী। সোজা সাপটা কথা বলার জন্য চলচ্চিত্র পরিবারও অন্যরকম চোখে দেখে তাকে। অভিনয়ের পাশাপাশি দেশের চলচ্চিত্র শিল্প নিয়ে বেশ সোচ্চার হয়ে উঠেছেন এই নায়ক। দেশীয় চলচ্চিত্র নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশের পাশাপাশি নতুন সরকারের কাছেও বেশ কিছু দাবি উত্থাপন করেছেন তিনি। নতুন সরকারের কাছে বাপ্পীর দাবি, ঢাকা শহর ও দেশের গুরুত্বপূণর্ জেলা শহরগুলোকে ভাচুর্য়াল সিটি বানাতে হবে। ৩০০ এমপির কাছে ৩০০ সিনেপ্লেক্স চেয়েছেন। বাপ্পী বলেন, প্রত্যেক এমপি যদি তাদের নিবাির্চত আসনে একটি করে সিনেপ্লেক্স নিমার্ণ করেন, তবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি আবার চাঙ্গা হতে সময় লাগবে না। খেলাধুলার মাধ্যমে ইতোমধ্যে আমরা বিশ্ব দরবারে সম্মান অজর্ন করতে পেরেছি। এবার সিনেমার পালা। কারণ হলিউড, বলিউড তাদের দেশকে রিপ্রেজেন্ট করছে সিনেমা দিয়ে। চীনের মতো দেশে আমাদের পাশ্বর্বতীর্ দেশের (বলিউড) ছবি রাজত্ব করছে। আমির খানের ‘দঙ্গল’, রজনী কান্তের ‘রোবট ২’ চীন থেকে শতশত কোটি টাকার ব্যবসা করছে। আমরা কেন পিছিয়ে থাকব? আমাদের তো মেধার কমতি নেই। নিবাির্চত হওয়ার পর এমপি মহোদয়দের কাছে এ বিষয়টি চাই। তাদের অথর্-ক্ষমতা কোনোটারই ঘাটতি নেই। তারা চাইলেই পারবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেক নতুন নতুন নিমার্তা ছবি নিমাের্ণর জন্য বসে আছেন। সিনেমা নিমার্ণ করে প্রদশর্ন নিয়ে একটা ধেঁায়াশা কাজ করে, সে জন্য তারা সাহস পাচ্ছেন না। যদি সারা দেশে ৩০০ মাল্টিপ্লেক্স থাকে, তবে অবশ্যই বেশি বাজেটে উন্নত ছবি নিমার্ণ করা যাবে। ছবি বিদেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে। আমি সিনেমার মানুষ। এ ছাড়া আর কিছু চাওয়ার নেই।’ বতর্মানে চলচ্চিত্রে প্রেক্ষাপটে প্রতিষ্ঠিত নায়কদের হাতে কোনো কাজ নেই বললেই চলে। তবুও অনেকেই নেমেছেন নতুন নায়কের সন্ধানে। এ বিষয়ে বাপ্পীর বক্তব্য, ‘আমি যখন মিডিয়ায় এসেছি তখনও কিন্তু চারদিকে এত ভরপুর কাজ চলতো না। তবুও এরমধ্যে আমি প্রায় অধর্শত কাজ করে ফেলেছি। চলচ্চিত্রে বতর্মান কাজ নেই কেন? এই দায়ভার কি শুধু আমাদেরই। তবে একটি কথা সবাইকে মনে রাখা উচিত একজন হিরো বাপ্পী নতুনভাবে তৈরি করতে ইন্ডাস্ট্রিজে আরও পঁাচ বছর লাগবে। তাহলে এই পঁাচ বছর আমাদের কাজে লাগানো হচ্ছে না কেন? এই ইন্ডাস্ট্রিজ বড় বড় নায়ককে নিয়ে ছবি নিমার্ণ করতে গেলে বিদেশ গিয়ে করতে হয়। আর আমাদের বেলায় মধুখালী আর আমতলা গিয়ে কাজ করতে চান। তাদের মতো আমাদের কেউ কাজ করার সুযোগ দিচ্ছে না কেন? বিদেশি লোকেশন আর বিদেশি ক্যামেরায় আমাদেরও অনেক সুন্দর লাগতো।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি এমনটিও বলেছিলাম শিল্পী সমিতির উদ্যোগে বছরে ১০টি সিনেমা নিমার্ণ করা হোক। আর আমরাও বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করি। কে শোনে কার কথা।’ তবুও ভালো চাই এই অঙ্গনের। তবে সেটি একার দ্বারা কোনোদিনই সম্ভব নয়। অন্যদিকে দশর্কদের কেউ এগিয়ে আসতে হবে।