আমার কোনো স্বপ্ন নেই

আসিফ আকবরকে বলা হয় বাংলা গানের যুবরাজ। দেশীয় সংগীতাঙ্গনে প্রবেশ করেই হুলস্থুল ফেলে দেয়ার পরও অভিমানে গান থেকে অবসর নিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘আর গাইবো না গান।’ কিন্তু নিজের সেই কথা রাখতে পারেননি। প্রাণের টানে আর ভক্তদের অনুরাধে কয়েক বছর আগে আবার প্রত্যাবতর্ন করেন গানের জগতে। আর প্রত্যাবতের্নর পরেই যেন আগের সেই শীষর্স্থানেই চলে যান আসিফ। তাকে নিয়ে লিখেছেন আকাশ নিবির

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আসিফ আকবর, ছবি : এসডি প্রিন্স
আসিফ আকবরকে বলা হয় বাংলা গানের যুবরাজ। দেশীয় সংগীতাঙ্গনে প্রবেশ করেই হুলস্থুল ফেলে দেয়ার পরও অভিমানে গান থেকে অবসর নিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘আর গাইবো না গান।’ কিন্তু নিজের সেই কথা রাখতে পারেননি। প্রাণের টানে আর ভক্তদের অনুরাধে কয়েক বছর আগে আবার প্রত্যাবতর্ন করেন গানের জগতে। আর প্রত্যাবতের্নর পরেই যেন আগের সেই শীষর্স্থানেই চলে যান আসিফ। গত বছরজুড়েই ছিল আসিফের সরব উপস্থিতি। নতুন বছরের শুরুতেই জানান দিলেন বেশ কিছু পরিকল্পনার কথা। বছরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই মুক্তি পেল তার ‘চল পালাই’ শিরোনামের একটি গান। তার বিপরীতে অভিনয়ও করেছিলেন কলকাতার জনপ্রিয় নায়িকা পায়েল মুখাজির্। গানটি ইতোমধ্যে দশর্ক জনপ্রিয়তাও পেয়েছে। দেশীয় সংগীতাঙ্গনে বদলে গেছে গান প্রকাশের মাধ্যম। অ্যালবাম বের করার প্রবণতা যেন দিন দিন বিলুপ্তির দিকে যাচ্ছে। ক্রমশ কমে যাচ্ছে একক অ্যালবামের সংখ্যা। সবাই এখন ঝঁুকছেন একটি গান প্রকাশের দিকে। সেখানে যেন একেবারে উল্টো স্রোতে একাই হেঁটে চলছেন আসিফ আকবর। নানান ঝক্কি-ঝামেলা এমনকি মামলা-মোকদ্দমা, হাজতবাস শেষেও বছরজুড়ে গানে সক্রিয় ছিলেন তিনি। নিদির্ষ্ট সময় পর পর গান প্রকাশ করে গেছেন। বছর শেষে আসিফ জানালেন, গত বছরে তার গাওয়া গানের সংখ্যা শ’খানিক ছাড়িয়েছে। এ বছরই গায়ক থেকে নায়ক হয়ে আসছেন আসিফ। ইতোমধ্যে পরিচালক সৈকত নাসিরের ‘ভিআইপি’ ছবিতে চুক্তিবদ্ধও হয়েছেন তিনি। এটা মূলত ওয়েব সিরিজ, এরপর ওয়েব ফিল্ম করার ঘোষণা দেয়া হয়। ছবিটি নিয়ে প্রস্তুতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক, কাজটি নিয়ে প্রথম চিন্তাধারা ভিন্ন ছিল পরিচালকের। ছবির কাস্টিং দেখে পরে আমরা ভাবলাম, ছবিটা মানুষ সিনেমা হলেও দেখতে যাবে। তাহলে কেন এটা ওয়েব ফিল্ম হবে! পরে সিদ্ধান্ত বদল করা হয়। কোনো কাজের প্রস্তুতি আমি কখনই নেই না। পরিচালকনিভর্র শিল্পী আমি। পরিচালক যেভাবে লুক দিতে বলে, আমি সেভাবে ক্যামেরার সামনে লুক দেই। পরিচালকের ইচ্ছের বাইরে আমি কোনো কাজ করি না। এমনকি একটা শট দিয়ে এসে, ক্যামেরায় সেটা কীভাবে ধারণ হলো, সেটাও আমি কখনো দেখি না। আর ছবিতেও আমি একজন সিআইডি অফিসারে ভ‚মিকায় থাকব।’ লম্বা সংগীত জীবনে নিজের প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তি নিয়ে তিনি জানান, ‘আমি সব সময় কাজে প্রাপ্তি। আমার কখনো অপ্রাপ্তি ছিল না। ভবিষ্যতেও থাকবে না। প্রতিদিন আমার নতুন গান। নতুন সূযর্ আর নতুন জীবন। আমি কখনো স্বপ্ন দেখি না। লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই সব সময়। সব কাজ আমি করি না। সব কাজে আমি অভ্যস্তও না। তবে আমি যেটা করতে চাইব, সেটা করে জিতবই। তবে কিছু মানুষ থাকবেই নিজেরা কিছু করতে পারবে না আর অন্য কেউ ভালো কিছু করলেও সেটি তারা সহ্যও করবে না।’ কথা বলতে বলতে একটা গল্প বলেন আসিফ। বলেন, ‘আমার কাছে মজার একটা গল্প আছে। একদিন সকালে ছোট্ট একটি শিয়াল ছানার বাচ্চা একটি মুরগির খেঁায়াড়ের সামনে এসে বড় একটি মুরগিকে ধরার জন্য গিয়েছে। সে হয়তো ভেবেছিল আমাকে দেখে মুরগি হয়তো ভয় পাবে। কিন্তু গিয়ে বড় মুরগির একটি ঠোকর খেয়ে পালিয়ে যায়। তা কিন্তু ঠিক নয়। আমি এ বছরেও অনেক কাজ করতে চাই। আমাকে নিয়ে কে কি বলল তাতে আমার কিছু আসে যায় না। আমার সব ভক্ত-শ্রোতারা আমার পাশে সব সময় থাকবেন এই আশাই আমি সব সময় ব্যক্ত করতে চাই। আমি শুধু তাদের জন্য ভালো ভালো গান উপহার দিতে চাই। ভালোবাসা রইল সবার প্রতি।’ তিনি তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে জানান, ‘আমার নিজের একটি স্টুডিও আছে। এখনতো ডিজিটাল প্রজন্ম চলে এসেছে। গানের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন গান তৈরি করার চেষ্টা করছেন। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আপাতত গানের সঙ্গে আছি এবং শেষ পযর্ন্ত গানের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করব। গান সব সময় তার জীবনের একটি অংশ হিসেবে থাকবে বলে তিনি জানান। ‘আমি সব সময় কাজে প্রাপ্তি। আমার কখনো অপ্রাপ্তি ছিল না। ভবিষ্যতেও থাকবে না। প্রতিদিন আমার নতুন গান। নতুন সূযর্ আর নতুন জীবন। আমি কখনো স্বপ্ন দেখি না। লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই সব সময়। সব কাজ আমি করি না। সব কাজে আমি অভ্যস্তও না। তবে আমি যেটা করতে চাইব, সেটা করে জিতবই’