ভুলগুলো সব ফুল হয়ে ফুটুক

মোহ কিংবা আবেগের বশে মানুষ এক সময় অনেক কিছু করে। ঠিক-বেঠিকের তোয়াক্কা না করে বিবেককে উপেক্ষা করে মাঝে মাঝেই ভুল সিদ্ধান্ত বেছে নেয়। যদিও তখন ওই ভুলটাকেই সঠিক বলে মনে হয়, তবে একসময় সেই ভুল বুঝতে পেরে লম্বা এক দীঘর্শ্বাস ছাড়ে, আর মনে মনে বলে, ভুল সবই ভুল। কিন্তু অতীতের সেই ভুল আর সংশোধন করা যায় না। অতীতে ফিরে গিয়ে কখনো পরিবতর্ন করা সম্ভব নয় সেই ভুলগুলো। কিন্তু ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন করে ঘুরে দঁাড়ানো সম্ভব। মনোবল অটুট রেখে দৃঢ় চিত্তে আবারও নতুন করে সব কিছু সাজানো-গোছানো যায়...

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

তারার মেলা রিপোটর্
মোহ কিংবা আবেগের বশে মানুষ এক সময় অনেক কিছু করে। ঠিক-বেঠিকের তোয়াক্কা না করে বিবেককে উপেক্ষা করে মাঝে মাঝেই ভুল সিদ্ধান্ত বেছে নেয়। যদিও তখন ওই ভুলটাকেই সঠিক বলে মনে হয়, তবে এক সময় সেই ভুল বুঝতে পেরে লম্বা এক দীঘর্শ্বাস ছাড়ে, আর মনে মনে বলে, ভুল সবই ভুল। কিন্তু অতীতের সেই ভুল আর সংশোধন করা যায় না। অতীতে ফিরে গিয়ে কখনো পরিবতর্ন করা সম্ভব নয় সেই সব ভুলগুলো। কিন্তু ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন করে ঘুরে দঁাড়ানো সম্ভব। মনোবল অটুট রেখে দৃঢ় চিত্তে আবারও নতুন করে সবকিছু সাজানো-গোছানো যায়। তরুণ মডেল অভিনেত্রী স্পশির্য়াও ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেকে আবারও ঢেলে সাজাতে চান। নতুন বছরে নতুন করে আলো ছড়াতে চান। ‘ভুলে ভরা’ জীবনটাকে নতুন করে সাজিয়ে নিতে চান নতুন বছরে। এরই মধ্যে পুরনো বাসা ফেলে নতুন বাসায় উঠেছেন তিনি। স্পশির্য়া জানান, প্রায় এক দশক ধরে টেলিভিশন অঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত তিনি। অভিনয় জীবনে এখানকার এপিঠ-ওপিঠ দেখেছেন। তবে গত কয়েক বছর টানা কাজ করার পর একটা সময় গিয়ে দেখলেন, পেশাগত ও ব্যক্তি জীবনের নানা সংকটে জজির্রত হয়ে যাচ্ছেন। তাই তার মনে হচ্ছিল একটা বিরতি নেয়া দরকার। সে পরিকল্পনা থেকেই এ বিরতিতে যাওয়া। স্পশির্য়া বলেন, ‘আমার জীবনে আমি অনেক ভুল করেছি। এখন রিস্টাটর্ আবার শুরু করতে চাই। তাই আমি পুরো একটা বছর নিজেকে গুছিয়েছি ব্যক্তিগত দিক ও পেশাগতভাবে। মনের জায়গা, সম্পকের্র জায়গা ছাড়াও আরও অনেক জায়গা থেকে নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছি। বিরতিতে থাকলেও কিছু কাজ করেছি। কিন্তু গণমাধ্যমকেন্দ্রিক আমার কোনো মুভমেন্ট ছিল না, যার কারণে কেউ কেউ ভেবেছিল আমি হয়তো কাজ ছেড়ে দিয়েছি। সেটা কিন্তু নয়। এ সময়ে আমি তিনটা শটির্ফল্ম করেছি। এগুলোর খুব ভালো গল্প। তারমধ্যে ‘ইতি তোমারই ঢাকা’, এবং ‘কাঠবিড়ালি’ ছবি দুটির চিত্রনাট্য অসাধারণ মনে হয়েছে আমার কাছে।’ স্পশির্য়া বলেন, ‘আমি এখন অভিনয়টা শুধু অভিনয়ের জন্য, ভালোবাসার জন্য করব। আর জীবন ধারণের জন্য আমি একটা প্রোডাকশন কোম্পানির ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা করেছি, যেটা নিয়ে আমি সামনের বছর হাজির হব। এ ছাড়া মায়ের বুটিক বিজনেস তো আছেই। ব্যবসা-বাণিজ্য করে টাকা-পয়সা কামাব আর অভিনয়টা করে যাব বেঁচে থাকার জন্য, মানে আত্মাকে বঁাচানোর জন্য।’ জীবনের এই পযাের্য় এসে পরিণত হওয়ার কথা জানিয়ে স্পশির্য়া বলেন, ‘আমি মাঝে মাঝে ভাবি, আমি মানুষ হিসেবে অনেকটা পরিণত হয়েছি, যেটা গত এক বছর আগেও ছিলাম না। আর ওই যে ধাক্কা খেয়েছি, যার কারণেই এটা হয়েছে। যদিও আমি চাই না, অতীতের কথা টানতে। অতীত আমাকে যাই শিখিয়েছে না কেন, তা আমাকে বতর্মানে চলতে অনেক সাহায্য করছে। আর তা নিয়ে আমার কোন অনুশোচনাও নেই। ধাক্কা খেয়েছি, কষ্ট পেয়েছি, মন ভেঙেছে, নিজেও ভাঙচুর হয়েছি। আমার ধারণা ভাঙচুর হওয়ার কারণে আমি গড়ে উঠার সুযোগটাও পেয়েছি।’