কতটা ফলপ্রসূ হবে পরিচালক সমিতির নিবার্চন!

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

তারার মেলা রিপোটর্
অপেক্ষার প্রহর শেষ। রাত পোহালেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির দ্বি-বাষিক নিবার্চন। নিবার্চন ঘিরে সরগরম এফডিসি। পোস্টারে পোস্টারে পাল্টে গেছে এফডিসির পরিবেশ। নিবার্চনকে ঘিরে এখন চলছে শেষ মুহ‚তের্র প্রচারণা। প্রাথীর্রা ভোটারদের যেখানেই পাচ্ছেন ভোট চাচ্ছেন। আড্ডা চলে এফডিসি ক্যানটিন, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির পাশের মাঠ, আমতলাসহ বিভিন্ন জায়গায়। এবারের নিবার্চনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছে দুটি প্যানেল। একটি মুশফিকুর রহমান গুলজার-বদিউল আলম খোকন প্যানেল, অন্যটি বাদল খন্দকার-বজলুর রাশেদ চৌধুরী প্যানেল। প্রতিটি প্যানেলের বিভিন্ন পদে অংশ নিচ্ছেন ১৯ জন করে প্রাথীর্। এ ছাড়াও স্বতন্ত্র পাথীর্ হিসেবে মহাসচিব পদে নিবার্চন করবেন পরিচালক সাফি উদ্দিন সাফি। তিনি আলাদা প্যানেল গড়তে চাইলেও পরে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। তবে প্রাথীর্রা বলছেন, তারা দুটি প্যানেলে নিবার্চন করলেও গঠনতন্ত্রে প্যানেলের বাধ্যবাধকতা বা অস্তিত্ব নেই। এখানে সবাই স্বতন্ত্র প্রাথীর্। শুধু নিবার্চনী সুবিধার জন্য প্যানেল তৈরি করা হয়েছে। নিবার্চনে প্রধান নিবার্চন কমিশনার হিসেবে রয়েছেন আবদুল লতিফ বাচ্চু। সহকারী কমিশনার হিসেবে থাকবেন শফিকুর রহমান ও ডি এইচ নিশান। কমিশন সূত্রে জানা যায়, এবারের নিবার্চনে ভোটার ৩৬১ জন। নিবাির্চতরা ২০১৯-২০ সালের জন্য চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির দায়িত্বে থাকবেন। পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক নিবার্চনে আন্তজাির্তক ও তথ্যপ্রযুক্তি সচিব পদে লড়ছেন। তিনি বললেন, ‘চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই নিবার্চন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এবার আমরা যারাই নিবাির্চত হই সাংগঠনিকভাবে মন্ত্রীর কাছে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাযর্কর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানাব। এ ছাড়া দেশের প্রত্যেক জেলায় একটি করে সিনেপ্লেক্স চালুরও দাবি জানাব।’ সমিতির বতর্মান সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘নিবার্চন আমাদের সমিতির জন্য উৎসবের মতো। নিবার্চনকে কেন্দ্র করে একটা মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে এফডিসি। আমরা যারাই নিবাির্চত হই না কেন, সবাই এক হয়ে কাজ করব।’ তবে নিবার্চনের আগে অনেক প্রতিশ্রæতি দিলেও এসব বেশিরভাগই প্রতিশ্রæতি রক্ষা করা হয় না বলে অভিযোগ করেছেন ভোটাররা। এমনকি সাধারণ পরিচালকদের স্বাথর্ সংরক্ষণের কথা বললেও নিবার্চনে জয় লাভ করে সব ভুলে যাওয়া হয় বলেও মন্তব্য করেছেন তারা। অন্যদিকে পরিচালক সমিতির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন চিত্রনিমার্তা জানান, কাযর্ত চলচ্চিত্রের উন্নয়নে পরিচালক সমিতির কোনো ভূমিকা নেই। একমাত্র নিবার্চন ছাড়া অন্য কোনো পরিকল্পনাও নেই এই সমিতির। তারা চলচ্চিত্রের বড় কোনো সমস্যা সমাধান তো নয়ই, এমনকি নিজেদের মধ্যকার দ্ব›দ্ব-বিদ্বেষেরও সমাধান করতে পারে না। আবার অন্য একদল বলছেন, পরিচালক সমিতি এবং শিল্পী সমিতির নিবার্চন নয়, প্রযোজন প্রযোজক সমিতির নিবার্চন। কিন্তু এই নিবার্চন আইন জটিলতায় স্থগিত হয়ে আছে। এ কারণেই দেশীয় চলচ্চিত্র ক্রমশ অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে। একমাত্র প্রযোজক সমিতিরই পারে এই অবস্থা থেকে চলচ্চিত্র শিল্পকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিতে।