জয়ার রকমারি বৈশাখ...

এই ঢাকা, এই কলকাতা- গত কয়েক বছর ধরে এভাবেই সময় কাটছে দুই বাংলায় দু্যতি ছড়ানো অভিনেত্রী জয়া আহসানের। দুই বাংলাতেই সমান আলোচিত এখন এই অভিনেত্রী। এ কারণে পেশাগত কারণেই ক'দিন পরপরই কলকাতায় যেতে হয় তাকে। গত বছর বৈশাখে কলকাতায় তার 'বিসর্জন' সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর শুরু হয় 'ক্রিসক্রস' সিনেমার শুটিং। তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের বর্ষবরণে শামিল হতে পারেননি তিনি। 'বৈশাখকে খুব মিস করছি'- ওই সময় ভারতীয় একটি ম্যাগাজিনে এভাবেই আক্ষেপ করেছেন জয়া। তবে এবারের বৈশাখ তিনি বাংলাদেশেই পালন করবেন। সহকর্মী ও পরিবারের সঙ্গে হইহলস্না করেই কাটিয়ে দিতে চাচ্ছেন। এরই মধ্যে বর্ষবরণের প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলেছেন এই অভিনেত্রী। জয়ার বর্ষবরণের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা নিয়েই সাজানো হলো আজকের তারার মেলার প্রধান প্রতিবেদন

প্রকাশ | ১১ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
জয়া আহসান
নিজ শহরের মজাই আলাদা... এককথায় বলতে গেলে, এবারের বৈশাখটাকে একদম নতুন মনে হচ্ছে আমার কাছে। মনে হচ্ছে কতদিন পর বাংলাদেশে বৈশাখ পালন করতে যাচ্ছি। তবে নিজের শহরে থাকার মজাই আলাদা। নতুন শাড়ি, নতুন জামার গন্ধ। ঠিক যেন মায়ের আঁচলের স্পর্শ। কত শাড়ি, কত মিষ্টি, মুড়কির আয়োজন- সবই পাওয়া হবে আবার। বৈশাখে নিজেকে একটু ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে চাই। পোশাকে দেশি কাপড় ও মোটিফের ব্যবহার থাকবে তবে কাটছাঁটে একটু ফিউশন পছন্দ করি। আধুনিকতার সঙ্গে ঐতিহ্যের মিশেল আছে বৈশাখে এমন সাজপোশাক আমার পছন্দ। স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি সুতি, চেক আর ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর তাঁতশিল্পীদের হাতে বোনা শাড়িতে। হাতে আঁকা শাড়ির প্রতিও রয়েছে অন্যরকম দুর্বলতা। এই বৈশাখে... শাড়িতেই কেটে যাবে আমার এবারের পহেলা বৈশাখ। একেক সময় একেক শাড়ি পড়ব। বৈশাখে এত উপহার পেয়েছি সেখান থেকে বেছে বেছে পোশাক পরি। সকালে এটা তো বিকেলে ওটা। শাড়ির পাশাপাশি কোনো একবেলায় পরব ফিউশনধর্মী পোশাক। সেটা ম্যাক্সিও হতে পারে আবার ধুতি টপের সঙ্গে লম্বা মসলিনের জ্যাকেটও হতে পারে। আমি এমনই। একটু চঞ্চল, হিপ-হপ আবার কখনোবা একটু বোহিমিয়ান। তবে সুতির ঢিলেঢালা পোশাকই গরমে আমাকে বেশি আরাম দেয়। চুল বাঁধায় বিশেষ কোনো স্টাইল সব সময় করি না। পোশাকের সঙ্গে যখন যেটা মানায় সেটাই করে থাকি। এবার সে রকমই করার ইচ্ছে। পান্তা-ইলিশ... আমাদের বাড়িতে পান্তা-ইলিশ নিয়ে যেন আরও একটা উৎসব শুরু হয় প্রতিবার। বাড়িতে থাকবে খাওয়া-দাওয়ার এলাহি আয়োজন। পান্তা-ইলিশের পাশাপাশি নানা পদের রান্না হবে। এ সময় খুব চড়া দাম দিয়েই অনেক ইলিশ কেনা হয়। আর শুঁটকি মাছ অবশ্যই থাকবে। পান্তাভাত ছাড়া পহেলা বৈশাখ চিন্তাই করতে পারি না। প্রতিবার আমিই পান্তাভাত মাখি। আমার হাতের পান্তাভাত খেতে বাড়ির সবাই খুব পছন্দ করেন। এর সঙ্গে ডিম ভাজা, বেগুন ভর্তা, শুঁটকি ভর্তা থাকে। সাধারণত শুকনো মরিচ দিয়ে পদগুলো তৈরি হয়। আর থাকে বিভিন্ন রকম বাটা। শর্ষে বাটা, পোস্ত বাটা, কালো জিরে বাটা, শাক বাটা- বললেন অভিনেত্রী। খাবার পরিবেশনেও থাকে ব্যতিক্রমী আয়োজন, এ দিনের জন্য বরাদ্দ মাটির থালা-বাসন। ওই দিনের জন্যই সারা বছর আমরা মাটির নানা বাসন কিনি। মন খারাপও বটে... একদিকে আনন্দ, অন্যদিকে বিষাদ। এপার কিংবা ওপার দুই বাংলাতেই উৎসব উপলক্ষে আমার ছবি মুক্তি পায়। এই পহেলা বৈশাখে আমার 'বিউটি সার্কাস' ছবিটি মুক্তি কথা ছিল। বৈশাখে মুক্তির জন্য বেশ তোড়জোরও ছিল। কিন্তু এখন শুনছি ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে না এই বৈশাখে। কবে মুক্তি পাবে সেই দিন-ক্ষণও এখন ঠিক হয়নি। যদিও এই ছবিটির জন্য আমি মুখিয়ে আছি। কারণ এ ধরনের চরিত্রে প্রথমবার অভিনয় করলাম। চরিত্র, গল্প, অভিয়- সবকিছুর মধ্যেই অন্যরকম অভিজ্ঞতা ছিল। মাহমুদ দিদার পরিচালিত এ ছবির প্রথম ঝলক টিজার ইতিপূর্বে প্রকাশিত হয়েছে- যা এরই মধ্যে চলচ্চিত্র প্রেমীদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে বলে অনেকেই ফেসবুকে জানিয়েছেন আমাকে। ছবিটির দৃশ্যে স্ট্যান্টম্যান ছাড়াই ৬০ ফুট উপরে দড়ির উপর দিয়ে হাঁটতে দেখা যাবে আমাকে। সার্কাসে কবুতর, হাতি, ঘোড়া ও ভালস্নুক নিয়েও নানা ধরনের খেলা দেখাব আমি। সবকিছু মিলিয়ে 'বিউটি সার্কাস' আমার সেরা ছবির মধ্যে একটি। শ্রম্নতিলিখন