সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ১১ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বৈশাখ ও পান্তা-ইলিশ প্রসঙ্গ রিয়াজ পান্তা-ইলিশেই যেন সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে পহেলা বৈশাখ। শৈশবে বৈশাখ নিয়ে খুবই কম আনন্দ করতে পেরেছি। আমাদের সময় এত আয়োজন করে বৈশাখ পালন করা হতো না তখন। আগে বৈশাখ বলতে হালখাতাকেই বুঝতাম। গয়নার দোকানে গেলে মিষ্টি খাওয়া যেত। অপেক্ষা করতাম কখন বৈশাখের প্রথম দিন আসবে। নববর্ষে তখন খুব মজা হতো। বড় হওয়ার পর সে আনন্দ আর পাই না। তবে এখন কেন যেন মনে হয় শুধু পান্তা-ইলিশের মধ্যেই নববর্ষ সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। আর দিনের বেশিরভাগ সময় কাজ নিয়েই থাকি। নুসরাত ইমরোজ তিশা একটা কথা স্পষ্ট করতে চাই, পান্তা-ইলিশ যে নববর্ষের ঐতিহ্য এটা আমি বিশ্বাস করি না। কারণ পান্তা সবার জন্য সহজলভ্য হলেও ইলিশ কিন্তু সবার ভাগ্যে জোটে না। পান্তা-ইলিশকে প্রাধান্য না দিয়ে নিজেদের মতো করেই নববর্ষ পালন করা উচিত। সমগ্র বাঙালি জাতির এত বড় আয়োজন, সবার জন্যই দিনটি বেশ আকর্ষণীয়। আমার বেলাতেও ব্যতিক্রম কিছু নয়। যেখানেই থাকি না কেন, বৈশাখে আমেজেই থাকব। সেদিন হয়তো শুটিং ইউনিটে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার সুযোগ পাব। সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে রঙিন পোশাক পরব। আমি মনে করি, শুধু একদিন নয়, প্রতিটি দিনই বাঙালি সত্তাকে নিজের মধ্যে ধারণ করে চলা উচিত সবার। এই একটি দিন সবাই একই আনন্দে মেতে উঠি, একই রঙে ঘুরতে বের হই। \হমৌটুসি বিশ্বাস \হপান্তা-ইলিশ কোনো জরুরি বিষয় নয়। ইলিশ-পান্তা খাওয়া আসলে এক রকমের নিয়ম হয়ে এসেছে। তাই প্রতিবছর নিয়ম করে তা পালন করা হয়। ভালো লাগার বিষয় তো আছেই। তবে পান্তা-ইলিশ যে সার্বজনীন হবে এটা আমি বিশ্বাস করি না। এটাকে বাঙালি সংস্কৃতির কোনো অংশ বলে মানতে রাজি নই আমি। আমার ছোটবেলা চট্টগ্রামে কেটেছে। তখন থেকেই নাচ করতাম। বৈশাখ এলেই আমার আনন্দের সীমা থাকত না। পহেলা বৈশাখের বিভিন্ন অনুষ্ঠান হতো। সকালে চলে যেতাম ওই অনুষ্ঠানে নাচ করতে। অনুষ্ঠান শেষ হলে কিছুক্ষণ বাইরেই আড্ডা দিতাম। তবে আমার বন্ধু খুব কম ছিল। তাই খুব একটা বেড়াতে যাওয়া হতো না। পরীমনি অনেকেই বলে থাকেন পান্তা-ইলিশ না খেলে নাকি বৈশাখ পালন হয় না। আমি এ ধারণার বিপক্ষে। বাঙালিয়ানা আমাদের ধারণ করার বিষয়। নববর্ষ উপলক্ষে যতটা পারি অন্যকে সহায়তা করব। গরিব অসহায়কে উৎসব পালনে সহায়তা করব। অন্যের সুখের মাঝেই সুখ খুঁজে নেব। শুধু বৈশাখেই নয়, প্রতিটি উৎসবেই আমি গরিব-দুঃখীদের নিয়ে পালন করার চেষ্টা করি। সিনেমায় কাজ করার আগে সব উৎসবই বেশ আয়োজন করে পালন করা হতো। কিন্তু নায়িকা হওয়ার পর ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ফলে আগের মতো আর উৎসবগুলো পালন করা হয় না। নববর্ষও আহামরি আয়োজন করে পালন করতে পারি না। অনেক নববর্ষ তো শুটিং স্পটেই পালন করতে হয়েছে। এবারের নববর্ষে শুটিং নেই। তাই নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করব। শুধু জন্মসূত্রেই নয়, আমি মনে প্রাণে বাঙালি। বাঙালিয়ানা নিজের ভেতরে ধারণ করি। বৈশাখীর বিশেষ পাঁচফোড়ন তারার মেলা রিপোর্ট ফাগুন অডিও ভিশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে বৈশাখী অনুষ্ঠান পাঁচফোড়ন। পাঁচফোড়ন একটি ভিন্ন ধারার ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান। নাটকীয়ভাবে এর প্রতিটি পর্ব উপস্থাপন করা হয়। প্রায় দেড় যুগ ধরে বছরের বিশেষ বিশেষ দিনে এই অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নির্মাণ করা হয়েছে বৈশাখের বিশেষ অনুষ্ঠান পাঁচফোড়ন। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নির্মিত এই বিশেষ অনুষ্ঠানটিতে এবার সাজানো হয়েছে টকশো'র আঙ্গিকে। এতে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়, বিশেষ করে নববর্ষ, বৈশাখী মেলা নিয়ে মজার মজার আলোচনা করা হয়েছে। এতে প্রসঙ্গক্রমেই আসতে থাকে গান, নাটক ও বিভিন্ন বিষয়ের ওপর চমৎকার সব প্রতিবেদন। এবারের পাঁচফোড়নে দুই বন্ধুর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনয় তারকা মীর সাব্বির ও সাজু খাদেম। এবারের পাঁচফোড়নে মূল গান রয়েছে ৩টি। খ্যাতিমান গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের কথায় ও মেহেদীর সংগীত পরিচালনায় নববর্ষকে নিয়ে একটি গান গেয়েছেন শিল্পী প্রতিক হাসান। অনুষ্ঠানটি ১৪ এপ্রিল রোববার রাত ৮টায় প্রচারিত হবে এটিএন বাংলায়। পরিবেশিত হবে কেয়া কস্‌মেটিকস্‌ লিমিটেডের সৌজন্যে। একসঙ্গে তিন তারকা তারার মেলা রিপোর্ট জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা শতাব্দী ওয়াদুদের সঙ্গে একই নাটকে অভিনয় করেছেন গহীন বালুচরখ্যাত জুটি আবু হুরায়রা তানভীর ও নীলাঞ্জনা নীলা। 'কিউপিড' নামের একটি নাটকের কাজ গত সপ্তাহে তারা তিনজন শেষ করেছেন। নাটকটি রচনা করেছেন আসাদ জামান, পরিচালনা করেছেন হুমায়ূন রশীদ সম্রাট। শতাব্দী জানান, এবারই প্রথম তারসঙ্গে একই নাটকে অভিনয় করেছেন তানভীর ও নীলা। নাটকটি আরটিভিতে প্রচারের জন্য নির্মিত হয়েছে। প্রেম ফ্যান্টাসি নির্ভর গল্পের নাটক 'কিউপিড'। নাটকটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে শতাব্দী ওয়াদুদ বলেন, 'নাটকটির রচয়িতার গল্প নিয়ে ভাবনাটা আমার কাছে ভালো লেগেছে। এই ধরনের প্রেম ফ্যান্টাসি গল্পের নাটকে এবারই প্রথম অভিনয় করেছি। এর আগে মাহমুদ দিদারের পরিচালনায় নীলার সঙ্গে একটি নাটকে কাজ করেছিলাম। নীলা ও তানভীরের সঙ্গে একসঙ্গে এবারই প্রথম আমার কাজ করা হলো। নতুন হিসেবে দু'জনের মধ্যেই অভিনয়ের প্রতি ভালোলাগা আমি দেখেছি। সম্রাট কাজটি বেশ যত্ন নিয়ে করার চেষ্টা করেছে। আশা করি দর্শকদের ভালো লাগবে।' তানভীর বলেন, 'শতাব্দী ওয়াদুদ ভাইয়া নিঃসন্দেহে একজন গুণী অভিনেতা। শুটিং-এর সময় তার কাছ থেকে আমি এবং নীলা দু'জনই ভীষণ সহযোগিতা পেয়েছি। যে কারণে তারসঙ্গে কাজের সময়টাও দারুণ উপভোগ করেছি। ধন্যবাদ সম্রাট ভাইকে একটি সুন্দর গল্পের নাটকে আমাদের নিয়ে কাজ করার জন্য।' এদিকে গতকাল শতাব্দী ওয়াদুদ মাতিয়া বানু শুকু রচিত 'সোনালী দিন' নাটকের শুটিং-এ অংশ নেন উলুখোলাতে। মুক্তির অপেক্ষায় আছে শতাব্দী ওয়াদুদ অভিনীত রুবায়েত হোসেন পরিচালিত 'মেড ইন বাংলাদেশ' এবং রেজওয়ান শাহরিয়ার পরিচালিত 'নোনা জলের কাব্য' সিনেমা দুটি। এদিকে তানভীর ও নীলা দু'জনই বদরুল আনাম সৌদের রচনা ও নির্দেশনায় বিটিভির জন্য নির্মাণ চলতি ধারাবাহিক 'লুকোচুরি লুকোচুরি গল্প'-এ কাজ করছেন।