নতুন জীবনে কেটি

প্রকাশ | ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

তারার মেলা ডেস্ক
কেটি পেরি
বিশ্ব সংগীতে আলোচিত একটি নাম কেটি পেরি। খুব অল্প সময়েই নাম-যশ-খ্যাতি অর্জন করেছেন তরুণ এই পপকন্যা। শুধু তাই নয়, বিলবোর্ডে সবাইকে ছাড়িয়ে কেটিই এখন শীর্ষস্থান দখন করে আছেন। গানের পাশাপাশি এবার সংসারেও মনোনিবেশ করলেন তিনি। দীর্ঘদিনের প্রেমিক অভিনেতা অরল্যান্ডো বস্নুমের সঙ্গে এরই মধ্যে বাগদান সম্পন্নও করেছেন কেটি পেরি। এই ফেব্রম্নয়ারিতে ভালোবাসা দিবসে সেরেছেন বাগদান। তারপর থেকে একসঙ্গেই থাকছেন। বাকি রয়েছে শুধু বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। সেটাও নাকি শিগগিরই সারতে যাচ্ছেন। জানিয়েছেন এই তারকা দম্পতির এক ঘনিষ্ঠজন। তবে এখনো কোনো তারিখ ঠিক করেননি তারা। আগে সব পরিকল্পনা গুছিয়ে নিতে চাইছেন। কারণ দুজনের পছন্দ দুই ধরনের বিয়ে। 'পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান' তারকা চান ঘরোয়া আয়োজন। অন্যদিকে 'রোর' গায়িকা জাঁকজমকপূর্ণ বিয়েতে আগ্রহী। জুটির সেই ঘনিষ্ঠজন জানিয়েছেন, 'দুজনের পছন্দের ভারসাম্য রেখে বিয়ে আয়োজনের জন্য তারা একজন বিয়ে পরিকল্পক নিয়োগের চিন্তা করছেন। অবশ্য কেটির নিজস্ব কিছু চিন্তাভাবনা আছে। সেগুলো থাকবেই।' দুজনেরই এটা দ্বিতীয় বিয়ে। দুজনই প্রথম বিয়ে করেছিলেন ২০১০-এ। বস্নু গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন মডেল মিরান্ডা কেরের সঙ্গে, আর কেটি কমেডিয়ান রাসেল ব্র্যান্ডের সঙ্গে। বিয়েতে কেটি-ব্র্যান্ড ভারতে বিশাল আয়োজন করেছিলেন। বিয়ের আসরে কনে এসেছিলেন হাতির পিঠে চড়ে। তবে বস্নুম সেবারও নিতান্তই ঘরোয়া আয়োজনে বন্ধু-পরিজনদের নিয়েই বিয়ে সেরেছিলেন। তারিখ ঠিক না হলেও এটা নিশ্চিত যে বিয়েতে উপস্থিত থাকবে বস্নুম-মিরান্ডার ছেলে ফ্লিন। নানান কারণে বছর জুড়েই থাকেন আলোচনা ও সমালোচনার শীর্ষে। কখনো গান, কখনো পোশাক-আশাক, কখনো বা উল্টাপাল্টা মন্তব্য কিংবা ছবি পোস্ট করে হইচই ফেলে দেন। তাই বলে এসবের কারণে তার ক্যারিয়ারে কিন্তু বিন্দুমাত্রও ক্ষতি হয় না। বরং নিত্যনতুন গান এবং ব্যতিক্রমী গায়কি দিয়ে ক্রমশ দু্যতি ছড়িয়ে যাচ্ছেন এই মার্কিন তারকা। শুধু তাই নয়, কদিন পর পরই নতুন নতুন রেকর্ড করে খবরের শিরোনামে আসেন কেটি পেরি। গ্রামি অ্যাওয়ার্ড থেকে শুরু করে বড় বড় সব অ্যাওয়ার্ডগুলোও নিজের করে নিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। গত বছরের জুন মাসে যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ভক্ত সংখ্যা ১০ কোটি পেরোনোর প্রথম শিল্পী হয়ে ইতিহাস গড়েন কেটি পেরি। এখানে কেটিকে অভিনন্দন জানাতে তার নতুন অ্যালবাম 'উইটনেট' শব্দটি ব্যবহার করেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ! টুইটারের অফিসিয়াল পেইজ থেকে লেখা হয়, 'আজ আমরা একটি নতুন ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছি। কেটি পেরিকে অভিনন্দন প্রথম টুইটার ব্যহারকারী হিসেবে ফলোয়ার সংখ্যা ১০ কোটি ঘর ছোঁয়ায়।' টুইটারের ফলোয়ার সংখ্যায় কেটি পেরির পরই অবস্থান করছেন আরেক সংগীত তারকা জাস্টিন বিবার। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৯ কোটি ৭ লাখ। ৮ কোটি ৫ লাখ ফলোয়ার নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন কেটি পেরির সংগীত প্রতিদ্বন্দ্বী টেইলর সুইফ্‌ট। কেটির ক্যারিয়ারে জ্যোতি ছড়তে থাকে মূলত ২০১১ সাল থেকে। ওই বছরের শুরুতে পিপলস চয়েজ অ্যাওয়ার্ডে সেরা জনপ্রিয় গায়িকা হিসেবে পুরস্কৃত হন কেটি পেরি। অথচ এমন একটা সময় গেছে, যখন পেরিকে অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে পার করতে হয়েছে। ২০০১ সালে প্রথম অ্যালবাম কেটি হাডসন দিয়ে খুব বেশি সুবিধা করতে না পারায় তিনি ২০০৪ সালে দ্বিতীয় অ্যালবাম এবং একটি মিক্সড অ্যালবামের জন্য কাজ করেন। কিন্তু ভাগ্যদেবী তার দিকে মুখ ফিরে তাকাননি। শেষ পর্যন্ত এই দুটি অ্যালবামও অপ্রকাশিত থেকে যায়। ২০০৮ সালে ওয়ান অব দ্য বয়েজ অ্যালবামটি পেরিকে রাতারাতি খ্যাতির শীর্ষে নিয়ে যায়। এরপর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১০ সালে প্রকাশিত হয় তৃতীয় একক টিনএজ ড্রিমস। অ্যালবামের 'ফায়ারওয়ার্ক' গানটি বিলবোর্ডের পপ ও ড্যান্স গানের চার্টের শীর্ষস্থানে এবং বিলবোর্ড হট হানড্রেড গানের তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল দীর্ঘদিন। এমনকি গানটি ইউএস রেডিওতে প্রচারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। মুক্তির প্রথম দিন থেকেই অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, ডেনমার্ক, জার্মানি, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড প্রতিটি দেশের টপ চার্টে টানা অবস্থান করে। এ ছাড়া প্রায় পাঁচ লাখ নয় হাজার বার ডাউনলোড হয়ে বছর শেষে গানটি সেরা দ্বিতীয় ডিজিটাল ডাউনলোড গান হিসেবে বিবেচিত হয়। এই অ্যালবামটির সুবাদে সঙ্গীতের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সম্মান গ্রামি অ্যাওয়ার্ড লুফে নেন তিনি।