বাবা হচ্ছেন বটবৃক্ষের মতো

বাবা। অথচ মানব জীবনে এই ছোট্ট শব্দটির অবদানই বেশি। বাবা না থাকলে দুনিয়া অন্ধকার। বাবা যেমনই হোক না কেন সন্তানের কাছে প্রত্যেক বাবাই প্রিয়। বাবা সন্তানের কাছে বটবৃক্ষের মতো। বাবার শাসন আমাদের জীবনকে বাস্তবতার মুখোমুখি হতে শিক্ষা দেয়। আর সবার মতো তারকাদেরও বাবা নিয়ে আবেগ আছে আকাশ ছোঁয়া। আগামী রোববার বিশ্ব বাবা দিবস। আর দশজনের মতো বাবা দিবসে তারকারাও জানালেন বাবার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা-

প্রকাশ | ১৩ জুন ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মৌসুমী
মৌসুমী আমার বাবা মো. নাজমুজ্জামান মনি, শুধু আমাকে জন্ম দিয়েই তার দায়িত্ব শেষ করেননি। মৃতু্যর আগ পর্যন্ত আমাকে ছায়া দিয়ে আগলে রেখেছিলেন। আমার কাজ ছিল শুধু ক্যামেরার সামনে অভিনয় করা। আর বাকি সবকিছুই বাবা দেখতেন। আজ বাবা আমাদের কাছ থেকে অনেক দূরে। প্রতি মুহূর্তেই বাবাকে মিস করি। কিন্তু বাবা যে শিক্ষা আমাকে দিয়েছেন তা আজও আমাকে পথ দেখায়। বাবার দেখানো পথেই আমি এখনও হাঁটছি। মনে হয় বাবা আমাকে হাত ধরে রয়েছেন। আমি নিশ্চিন্তে হাঁটছি। বাবাকে নিয়ে আমার স্মৃতির কোনো শেষ নেই। আমরা তিন বোন। আমি, স্নিগ্ধা আর ইরিন। বাবা তিন বোনকেই সমান দৃষ্টিতে দেখতেন। আমরাও তিন বোনের কেউই বাবার আদর থেকে বঞ্চিত হইনি। তবে সিনেমায় আসার কারণে আমার প্রতি বাবার দায়িত্বটা ছিল অনেক বেশি। মৌটুসী বাবা চট্টগ্রামে থাকেন। এখন তার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো না। বুঝ হওয়ার পর থেকে দেখেছি বাবা কতটা কষ্ট করে আমাদের বড় করেছেন। নিজের পেশাগত কাজে আমাকে ঢাকায় থাকতে হচ্ছে। নিয়মিত বাবার খোঁজ নিচ্ছি। আসলে বাবার ভালোবাসা যে কি সেটা বলে বোঝাতে পারব না। আমার বাবার জন্য সবাই দোয়া করবেন। পরিমনী বাবা দিবসে অনেক সাংবাদিক জানতে চেয়েছেন আমার অনুভূতি কি? আসলে এই দিবস নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো ভাষা জানা নেই। আমার মনে হয় ভালোবাসার প্রতিটা দিনই স্পেশাল। দিবস এলেই সবাই ফেসবুক টুইটারে ছবি দেয়। পৃথিবীর কিছুতেই আমি আমার কষ্ট শেয়ার করতে পারব না। আমার অনুভূতি সেই বুঝতে পারবে যাদের বাবা মা নেই। সম্রাট দেশীয় চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি নায়করাজ রাজ্জাক, আমার বাবা- এই প্রাপ্তি আমাকে গর্বিত করে। পর্দার অনেক বড় নায়ক তিনি, দুর্দান্ত অভিনেতা। দীর্ঘ ৪৮ বছর দর্শকদের মোহিত করে রেখেছেন নিজের অভিনয় ক্ষমতা দিয়ে। আজ তিনি নায়করাজ। তবে আমার কাছে পর্দার হিরোর চেয়ে রিয়েল লাইভের হিরো রাজ্জাক হচ্ছেন বেশি প্রিয়। কারণ, আমি তো সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছি। নায়করাজের ছোট ছেলে আমি। কিন্তু আমার বাবা জীবনে যে সংগ্রাম করেছেন, কষ্ট করেছেন, পরিশ্রম করেছেন, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি আমাদের পুরো পরিবারকে যত্নের সঙ্গে ভালোবাসার সঙ্গে একই সুতায় বেঁধে রেখেছেন, তা আমাদের কাছে বড় একটা শিক্ষণীয় বিষয়। আমার বাবার মতো কেয়ারিং বাবা আমি খুব একটা দেখিনি। বিদ্যা সিনহা মিম আমাকে সবসময় অনুপ্রেরণা দেয়া আমার বাবা আমার জীবনের প্রাণশক্তি। যে কোনো সময়ে আমাকে সমর্থন দেয়া মানুষটি আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু- আমার বাবা। তিনি আমার দেখা সত্যিকারের নায়ক। জীবনের সঙ্গে কিভাবে সাহস ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হয়, সেটি তিনিই আমাকে শিখিয়েছেন। তোমাকে অনেক ভালোবাসি বাবা। জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়া বাবা বলে ডাকিনি ১৮ বছর হয়ে গেল। আসলেও না একটু দেখতে। তুমি ছাড়া কতটা অসহায় আমি! এত ছোট রেখে কেন চলে গেলে? একটুও বুঝিনি এত তাড়াতাড়ি হারাতে হবে তোমায়। তাহলে কিছু বলতাম মন খুলে, সেই সময়টাও দিলে না। সন্তান হয়ে কর্তব্যগুলো পালন করতে পারিনি তোমার জন্য। বাবা, তুমি ভেবো না, তোমার মেয়ে অনেক বড় হয়ে গেছে, মায়ের খেয়াল রাখছি। দোয়া করো আমার জন্য, মাকে যেন কষ্ট না দেই, আর বোনকে খুশি রাখতে পারি। তোমার অভাব তো পূরণ করতে পারব না কিন্তু দায়িত্বগুলো পালন করব। দোয়া কর বাবা, কেঁদো না, তুমি কাঁদলে আমি তো চোখটা মুছে দিতে পারব না, তবুও আছি বাবা তোমার পাশে। তোমার খুকুমণি কর্ণিয়া। প্রসূন আজাদ যত দিন আলস্নাহ বাঁচিয়ে রাখবে আমার প্রতিটা দিন আব্বু দিবস। আমার বাবা হয়তো জানে না তাকে আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। আমি এমন অনেক ভুল করেছি- যা শুধু আমার বাবা ক্ষমা করেছেন, কারণ তিনি মহৎ। আমাকে ত্রম্নটিগুলো শুধরানোর সুযোগ তিনি দিয়েছেন। আমার দেখা শ্রেষ্ঠ মানুষ, আমার আব্বু। দিঘী বাবাই আমার সব। তাকে দেখে দিনের শুরু, তাকে দেখেই বিছানায় যাই। রোজ রোজ আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলেন। এরপর ব্রাশ করা থেকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া, স্কুল থেকে নিয়ে আসা সব কিছুতেই বাবা আমার পাশে থাকেন। আমার তো মা নেই। বাবা-ই আমার কাছে বাবা ও মা।