সু সময়ে মৌটুসী

ছোটপদার্র মেধাবী অভিনেত্রী ও মডেল মৌটুসী বিশ্বাস বতর্মানে একাধিক ধারাবাহিক নাটকের শুটিংয়ে ব্যস্ত আছেন। বিশেষ দিবসে মডেলিংও করেন তিনি। ভালো গল্পের গুরুত্বপূণর্ চরিত্রে অভিনয় করতে চান সবসময়।

প্রকাশ | ০২ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

মাসিদ রণ
মৌটুসী বিশ্বাস
জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌটুসী বিশ্বাস অভিনীত বেশকিছু ধারাবাহিক নাটক বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাভিশনে চলছে মাসুদ সেজানের রচনা ও পরিচালনায় ‘খেলোয়াড়’, এনটিভিতে একই পরিচালকের ‘ডুগডুগি’ ও রাশেদের পরিচালনায় ‘আকাশে মেঘ নেই’, নাগরিক টিভিতে আনিসুল হকের রচনা ও আলভী আহমেদের পরিচালনায় ‘শ্বশুরালয় মধুরালয়’ ও বিটিভির প্রথম মেগা ধারাবাহিক মাসুম রেজার রচনা ও একই পরিচালকের ‘দি জেনারেশন’ ধারাবাহিকগুলো। প্রতিটি ধারাবাহিকে তিনি ভিন্নধমীর্ চরিত্রে হাজির হচ্ছেন। বিশেষ করে ‘খেলোয়াড়’ ধারাবাহিকে তার চরিত্রটি বেশ চ্যালেঞ্জিং। এখানে তিনি নতুন লুকে হাজির হচ্ছেন। ছোট চুল ও পরনে জিন্স-টি শাটর্। একটি হারবাল কোম্পানির মাকেির্টং বিভাগে কাজ করেন। পণ্য বিক্রি হলে কমিশন পান। নিজেকে আধুনিক মেয়ের মতো উপস্থাপন করলে প্রায়ই কথার মধ্যে আঞ্চলিকতা চলে আসে। এ জন্য বিব্রত হতে হয় তাকে। এ নাটকে আরও আছেন চঞ্চল চৌধুরী, শামীমা নাজনিন প্রমুখ। আর ‘শ্বশুর আলয় মধুর আলয়’ নাটকের জন্য তিনি বেশ দশর্ক সাড়া পাচ্ছেন। এ নাটকে তিনি দিলারা জামানের বড় মেয়ে। তার অন্য ভাই-বোন অপণার্ ঘোষ, হিল্লোল ও শ্যামল মাওলা। আর তার স্বামী (শহীদুজ্জামান সেলিম) ঘরজামাই থাকে। মেয়েটি মাঝে মাঝে বিষয়টি নিয়ে কষ্ট পায়। সে চায় তার স্বামী নিজের পায়ে দঁাড়াক। নিজের ভালোর জন্য কখনো কখনো একটু কুটনামিও করে। অথার্ৎ আমাদের চারপাশের খুবই চেনা একটি মেয়ের চরিত্র এটি। ধারাবাহিকে ব্যস্ততা বেশি বলে গেল ঈদুল ফিতরের একটি নাটকেও দেখা যায়নি মৌটুসীকে। ভক্তরা তার ঈদের নাটক মিস করলেও এ নিয়ে তার কোনো আক্ষেপ নেই। মৌটুসী বলেন, ‘ঈদের নাটক মানেই দশের্কর বাড়তি আগ্রহ। আমিও জানি ঈদের সময় আমাদের এখানে প্রচুর কাজ হয়। নাটকের মান ও বাজেটও ভালো থাকে। কিন্তু আমার কাছে যেসব প্রস্তাব এসেছে তা আমার কাছে ভালোলাগেনি। তাই ঈদের কাজ করার জন্য করতে হবে এমন কোন নাটক করতে চাইনি। তা করলে দশর্ককেই ঠকানো হতো। কারণ তারা হাজার ব্যস্ততার মধ্যে ঈদের সময় একটি ভালো নাটক দেখার জন্য টিভির সামনে বসেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুধু দশের্কর বিষয়টি নয়। একজন শিল্পী হিসাবেও আত্মতৃপ্তির একটি বিষয় রয়েছে। আমি যখন যে কাজটি করেছি সেটি নিজের ভালো লেগেছে বলেই করেছি। এবারের ঈদে আমার কাছে যে নাটকগুলোর প্রস্তাব এসেছিল তার একটিও আমাকে কাজটি করার ব্যাপারে আগ্রহী করতে পারেনি। আমার মনেই হয়নি যে কাজটি আমাকে করতেই হবে। এ জন্য ঈদের নাটকে দশর্ক আমাকে দেখেননি। তবে আসছে ঈদুল আযহার জন্য কয়েকটি নাটক করার ইচ্ছা আছে। তবে তা সম্ভব হবে যদি ভালো চিত্রনাট্য পাই।’ অন্য শিল্পীরা যখন ঈদুল ফিতরের নাটক নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন তখন মৌটুসী ঘরে বসে থাকেননি। তিনি রোজার মধ্যে কাজ করেছেন ২৬ পবের্র একটি নতুন ধারাবাহিকে। নাটকটির নাম ‘পঞ্চভুজ’। দুরন্ত টিভিতে এ মাসের মাঝামাঝি থেকে নাটকটি প্রচার হবে। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন ইউরেকা রেজওয়ান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ঈদের নাটকগুলোর চেয়ে নতুন এই ধারাবাহিকটি আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। কারণ ধারাবাহিকটি বাচ্চাদের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে আমারও একটি মেয়ে রয়েছে। তাই ওই বয়সী বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাতে, তাদের চিন্তাধারা জানতে আমার খুব ভালোলাগে। রোযার মাসে বাচ্চাদের ছুটি থাকে। তাই এই নাটকেও শুটিং হয়েছে রোযার মাসেই। আমার সহশিল্পী ছিল কয়েকটি বাচ্চা। তাদের সঙ্গে নিমর্ল সময় কাটিয়েছি। ফলে অভিনয়টা খুবই আনন্দের হয়েছিল।’ বতর্মান সময়ে নাটকের হালচাল জানতে চাইলে মৌটুসী বলেন, ‘এখন আমাদের দেশে যে নাটকগুলো নিমির্ত হচ্ছে তার গল্প একটি নিদির্ষ্ট ধারার মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। দুজন তরুণ-তরুণীর প্রেমকে উপজীব্য করে বেশিরভাগ নাটকের গল্প আবতির্ত হচ্ছে। ওই ধরনের গল্পে এখন আর আমাকে মানায় না। ফলে প্রস্তাব আসলেও ইচ্ছা করে না এই ধরনের গল্পে অভিনয় করছেন। ক্যারিয়ারের এই পযাের্য় এসে হাস্যকর কোনো কাজ করতে চাই। আমার বয়স ও ব্যক্তিত্বের মানায় এমন গল্পে কাজ করতে চাই।’ অনেক আগে থেকেই সারাবিশ্বে কাস্টিং কাউচ-এর বিষয়টি চলে আসছে। আমাদের দেশেও প্রায়ই এ ধরনের ঘটনার কথা শোনা যায়। এ নিয়ে মৌটুসী বলেন, ‘আমাদের দেশে নাটকের ক্ষেত্রে কাস্টিং কাউচ খুব একটা হয় না। তবে এখন বেশিরভাগ নাটকই বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে হয়ে থাকে। তারাই শিল্পী নিবার্চন করে থাকেন। সবসময় চরিত্র অনুয়ায়ী শিল্পী নিবার্চন হয় না। এক্ষেত্রে যেসব শিল্পীর ওই সব এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ ভালো তারা বেশি পরিমাণে কাজের সুযোগ পান।’