ছক্কা হঁাকালেন টম ক্রুুজ

প্রকাশ | ০২ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

ম নিজাম এম রহমান
‘মিশন: ইম্পসিবল ফলআউট’ ছবির দৃশ্যে টম ক্রুুজ
হলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা টম ক্রুুজ। এই অভিনেতার নাম উচ্চারণ করলেই দশের্কর চোখে সবার আগে ভেসে ওঠে মিশন: ইম্পসিবলের কথা। বিশ্বব্যাপী তুমুল জনপ্রিয় এ ফ্র্যাঞ্চাইজির ৫টি ছবি মুক্তি পেয়েছে এই পযর্ন্ত। এবার ষষ্ঠ সিরিজ নিয়ে হাজির হয়েছেন তিনি। ২০১৮ সালের বিগ বাজেট বøকবাস্টার আমেরিকান স্পাই চলচ্চিত্রের মধ্যে অন্যতম ‘মিশন: ইম্পসিবল ফলআউট’। এ ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়েরি। টম ক্রুুজ ছাড়াও এতে অভিনয় করছেন রেবেকা ফাগুর্সন, সাইমন পেগ, মিশেল মোনাঘান, অ্যালেক বাল্ডউইন এবং সিয়ান হ্যারিস। এর আগের সিরিজগুলোতেও এই অভিনয়শিল্পীদের দেখা গেছে। কিন্তু এবার আছে এক নতুন চমক। সুপার ম্যান খ্যাত হেনরি ক্যাভিলসহ ওয়েস বেন্টলি এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে যুক্ত হয়েছেন। ক্রিস্টোফারও পরিচালক হিসেবে টানা দ্বিতীয়বার এই ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত আছেন। গত ২৭ জুলাই চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছে। রিয়াল থ্রিডি এবং আইম্যাক্স থ্রিডিতে প্রথমবারের মতো এই চলচ্চিত্রটি নিমির্ত হয়েছে। পাশাপাশি টুডি আইম্যাক্সও ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। ‘মিশন : ইম্পসিবল ফলআউট’ ছবির গল্প গড়ে উঠেছে এভাবেÑ একটি আইএমএফ খুব খারাপভাবে শেষ হওয়ার ফলে বিশ্ব খারাপ ফলাফলের দিকে ধাবিত হয়। ইথান হান্ট সবকিছু ব্যাখ্যা করার পর থেকেই সিআইএ তার সততা নিয়েই প্রশ্ন তোলে। হান্ট সময়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে, তার পেছনে খুনি এবং প্রাক্তন শত্রæদের যৌথ বাহিনী, অন্যদিকে বৈশ্বিক গোলযোগ। এবারের পবের্ মিশন ইম্পসিবলের পঞ্চম খÐের খলনায়ককে আবারও ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পুরনো খলনায়কের পাশাপাশি নতুন খলনায়ককেও মোকাবিলা করতে হবে মিশন ইম্পসিবল টিমকে। প্লাটোনিয়াম ধাতু নিয়ে সিআইএর বিপরীতে মিশনে নামতে দেখা যাবে টম ক্রুজের সংগঠন আইএমএফকে। এরই মধ্যে ছবিটি টম ক্রুজের সবচেয়ে থ্রিলিং একশন মুভিগুলোর অন্যতম হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছে। ১৯৯৬ সালে এই বাণিজ্যিক গোয়েন্দা কাহিনী টেলিভিশন থেকে উন্নত করে মুভিতে পরিণত করা হলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি বাণিজ্যিকভাবে সফল থেকে সফলতর হয়েছে। ছবিটির শেষ দুটি কিস্তি ‘গোস্ট প্রটোকল’ এবং রগ নেশন’ বাণিজ্যিকভাবে সবোর্চ্চ সফলতা অজের্নর পাশাপাশি সমালোচকদের কাছে কুড়িয়েছে সবোর্চ্চ প্রশংসা। ক্রুুজ এবং ম্যাক কুয়েরির রসায়ন মানেই চমকপ্রদ কিছু। কিন্তু তারপরও প্রশ্ন থেকে যেত, এরা একসঙ্গে আসলেই চমকপ্রদ কিছু করতে পারবে কি-না! ম্যাক কুয়েরি হচ্ছে সেই একমাত্র পরিচালক, যিনি একাই দুটি মিশন ইম্পসিবল ছবি পরিচালনা করেছেন। আর ম্যাক কুয়ারিকে বিশ্বব্যাপী উন্মাদনায় প্রভাব রাখতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করছে টম ক্রুজ । মিশন : ইম্পসিবল ফলআউট প্রযোজক হিসেবে আছেন, টম ক্রুুজ, জে জে আব্রামস, ব্রায়ান বাকর্, ডেভিড এলিসন, ডানা গোল্ডবাগর্, ডন গ্রেঞ্জার, ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়েরি। ছবিটির রচয়িতা ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়েরি নিজেই। সংগীত পরিচালনা করেছেন লোনের্ ব্যাফে। চিত্রগ্রাহক রব হাডির্। ছবিটিতে ধুন্ধুমার অ্যাকশন, চোখ কপালে তোলার মতো স্টান্ট করতে দেখা যাচ্ছে ইথান হান্ট ওরফে টম ক্রুুজকে। পুরনো সঙ্গীদের সঙ্গে নতুন এক মিশনে নেমেছেন ৫৫ বছর বয়সী এই তারকা। ‘ফলআউট’-এ রয়েছে অনেক উঁচু দালান থেকে এমনকি, হেলিকপ্টার থেকেও লাফ দেয়ার দৃশ্য। গত বছরের শেষের দিকে এমন ঝুঁকিপূণর্ দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে আহতও হয়েছিলেন টম ক্রুুজ। সে জন্যে শুটিংও বন্ধ ছিল কয়েকদিন। এ যাবতকালের সকল মুভির প্রথম সপ্তাহের বক্স অফিস কালেকশনকে ছাড়িয়ে গেছে ছবিটি। প্রথম দিনে ছবিটি বিশ্বব্যাপী আয় করেছে ৬২ মিলিয়ন ডলার। গত ৫ দিনে ছবিটির ঝুলিতে প্রায় ২৮৫ মিলিয়ন ডলার জমা পড়েছে। সাধারণের মাঝে জায়গা করে নিয়েছে ‘মিশন: ইম্পসিবল ফলআউট’। এখনও অনেক পথ পাড়ি দেয়ার আছে তবুও এই প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া উৎসাহব্যঞ্জক। এটা দেখে ভালো লাগছে যে, ২২ বছর পরও ক্রুুজ এখনও বরাবরের মতোই একজন সফল অ্যাকশন হিরো এবং মিশন ইম্পসিবল দশর্কদেরকে হলের সিটে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করেছেন।