ভারতে নিষিদ্ধ, অন্য দেশে পুরস্কৃত যেসব ছবি

প্রকাশ | ০২ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

ম তারার মেলা ডেস্ক
ফায়ার ছবিতে অভিনয় করেছেন শাবানা আজমি
অশ্লীলতা, যৌনতা কিংবা ‘অতিরিক্ত’ হিংসাত্মক দৃশ্যের অভিযোগে ভারতীয় বেশ কয়েকটি সিনেমাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সেন্সর বোডর্। যদিও সেই সিনেমাগুলোই দেশের বাইরে অসংখ্য পুরস্কার জিতেছে। এসব সিনেমার কিছু পরে আর মুক্তি পায়নি। এরকম কিছু সিনেমার মধ্যে রয়েছে- পাঞ্চ : অনুরাগ কাশ্যপ পরিচালিত ছবিটিতে অভিনয় করেছেন কে কে মেনন। মাদকাসক্ত তরুণ প্রজন্ম, ভয়াবহ হিংসা, অশ্লীল ভাষাপ্রয়োগ, বিতকির্ত চিত্রনাট্য-এসব যুক্তিতে নিষিদ্ধ হয় সেনেমাটি। ২০০১ সালে সেন্সর বোডর্ অসংখ্য দৃশ্য ছেঁটে ফেলার নিদের্শ দেয়। পিঙ্ক মিরর : শ্রীধর রঙ্গায়নের সিনেমাটিতে সমকামিতা দেখানোয় ২০০৩ সালে নিষিদ্ধ হয় ছবিটি। এখনও তা জারি রয়েছে। তবে বেশ কিছু চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদশির্ত হওয়ায় পর পুরস্কারও জিতে নেয় গুলাবি আয়না। আনফ্রিডম : লেসবিয়ান দুই নারীর সম্পকর্, উভকামী একজন পুরুষের কাহিনী, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আশঙ্কাসহ বিভিন্ন যুক্তিতে ২০১৫ সালে রাজ অমিত কুমার পরিচালিত ছবিটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সেন্সর বোডর্। বø্যাক ফ্রাইডে : মুম্বাই বোমা হামলার ওপর ভিত্তি করে ছবিটি নিমার্ণ করেন পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ। তখন এই বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে মামলা চলছিল। ফলে এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তদন্ত শেষ না হওয়া পযর্ন্ত নিষেধ জারি ছিল। ব্যান্ডিট কুইন : শেখর কাপুরের ছবিটি ফুলন দেবীর জীবন নিয়ে নিমির্ত। ছবি নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন ফুলন দেবীও। যৌনদৃশ্য, অশ্লীল ভাষার ব্যবহারের কারণে দিল্লি হাই কোটর্ প্রথমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। যদিও কান চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হয়েছিল এটি। ফায়ার : বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ধমীর্য় গোষ্ঠীর আপত্তিতে মুক্তির পরে নিষিদ্ধ করা হয় ছবিটি। দুই নারীর মধ্যে সমকামিতার সম্পকর্ দেখানো হয়েছিল এতে। শাবানা আজমি ও নন্দিতা দাশকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হয়। ১৯৯৯ সালে আইনি জটিলতা কাটিয়ে অবশ্য মুক্তি পায় ছবিটি। ইনসাল্লাহ ফুটবল : কাশ্মীরে এক তরুণ ফুটবলারের বেড়ে ওঠা, সেনাবাহিনীর আচরণ ইত্যাদি বিতকির্ত যুক্তিতে ছবিটি মুক্তি পায়নি দেশে। নগ্নতার দৃশ্য না থাকা সত্তে¡ও ছবিটিকে ‘অ্যাডাল্ট’ তকমা দেয়া হয়। ছবিটি নিয়ে মামলা এখনও চলছে।