সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ২৯ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
এবার আলতাফ মাহমুদ পদক পাচ্ছেন যারা তারার মেলা রিপোর্ট অমর সুরস্রষ্টা শহীদ আলতাফ মাহমুদের দর্শন বাংলাদেশের মানুষের জন্য শক্তি ও সাহস। পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ৩০ আগস্ট তাকে তুলে নিয়ে যায়। আর তার দেখা মেলেনি। তবে তিনি রয়ে গেছেন এ দেশের ইতিহাসে। অমর হয়েছে তার সুরে 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রম্নয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি'! এ কৃতীর অন্তর্ধান দিবসে এবার তার নামাঙ্কিত পদক প্রদান করে সম্মাননা জানানো হবে সংস্কৃতি অঙ্গনের তিন বরেণ্য ব্যক্তিত্বকে। তারা হলেন কামাল লোহানী এবং রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধের দুই স্থপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও জামী আল সাফীকে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে আগামীকাল ৩০ আগস্ট শুক্রবার এই পদক প্রদান করা হবে। সেদিন বিকাল ৫টায় শুরু হবে আয়োজনটি। আলতাফ মাহমুদ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। থাকবেন বিভিন্ন অঙ্গনের আরও অনেক প্রিয় মুখ। উলেস্নখ্য, ১৯৩৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার পাতারচর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আলতাফ মাহমুদ। তিনি একজন ভাষাসৈনিক, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও সুরস্রষ্টা। বাংলাদেশি সত্তায় প্রথম যে গানটি স্ফুলিঙ্গছটা দিয়েছিল তা হলো, 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রম্নয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি'। শুধু কী ভাষা আন্দোলনের চিত্রধারণ? এ গানটি প্রেরণা হয়ে আছে ১৯৫৪, ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৬৬, ১৬৬৯ ও মহান একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে। শিল্পকলায় পাঁচ দিনের সমকালীন নৃত্য কর্মশালা তারার মেলা রিপোর্ট শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী সমকালীন নৃত্য কর্মশালা। সৃষ্টি কালচারাল সেন্টারের রজত জয়ন্তী উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটি এই কর্মশালার আয়োজন করছে। গতকাল (২৮ আগস্ট) থেকে শুরু হয়ে কর্মশালা চলবে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যশালার প্রধান মহড়া কক্ষে প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কর্মশালা চলবে। বাংলাদেশের বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী ও সৃষ্টি কালচারাল সেন্টারের পরিচালক আনিসুল ইসলাম হিরুর তত্ত্বাবধায়নে কর্মশালার প্রশিক্ষক হিসেবে থাকছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার সুকল্যাণ ভট্টাচার্য। এ প্রসঙ্গে আনিসুল ইসলাম হিরু বলেন, '২৫ বছর ধরে দেশীয় সংস্কৃতি ও নৃত্যকলাকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে পৌঁছে দিতে কাজ করছে সৃষ্টি কালচারাল সেন্টার। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই প্রতিষ্ঠান অনুষ্ঠান করেছে। জনপ্রিয়তার কারণেই সমকালীন নৃত্যকলাকে কর্মশালার বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে।' এদিকে প্রশিক্ষক সুকল্যাণ ভট্টাচার্য বলেন, কোন নাচকে নগরনৃত্য বা সমকালীন বলা যায়, কী কী সেই নৃত্যের উপজীব্য বিষয় এবং সে নাচ কতটা সমকালীন আর কতখানি শাস্ত্রীয় ধারার মিশ্রণে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে কর্মশালায়। কাশ্মীরের শেষ হিন্দু রানীকে নিয়ে বলিউডে সিনেমা তারার মেলা ডেস্ক কাশ্মীরকে বলা হয় পৃথিবীর ভূস্বর্গ। 'কাশ্মীর'- নাম শুনলেই মনে হয় চারদিকে বরফে ঢাকা পাহাড়, বর্ণময় ফুলের সমারোহ। প্রকৃতি যেন দু'হাত ভরে সাজিয়েছে ভূস্বর্গকে। সেই ভূস্বর্গের শেষ হিন্দু সম্রাজ্ঞী ছিলেন কোটারানী। তার গল্পটা অনেকেরই অজানা। এবার কোটারানীর অজানা গল্প আসছে বড় পর্দায়। 'রিলায়্যান্স এন্টারটেইনমেন্ট' এবং মধু মান্তেনা, অনুরাগ কাশ্যপের প্রযোজক সংস্থা 'ফ্যান্টম ফিল্মস'-এর যৌথ প্রযোজনায় প্রযোজিত হবে নাম চূড়ান্ত না হওয়া এ ছবি। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) টুইটারে সে কথাই জানিয়েছে 'ফ্যান্টম ফিল্মস'। খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের। ছবি প্রসঙ্গে সহ-প্রযোজক মধু'র বক্তব্য, 'ভাবতে খুব অবাক লাগে ভারতীয়দের অনেকেই কোটারানীর মতো ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে কিছুই জানি না। তাকে যদি ক্লিওপেট্রার সঙ্গেও তুলনা করা হয় তবে খুব একটা বাড়াবাড়ি হবে না। কোটারানীর জীবন বিভিন্ন সময় নানা নাটকীয় মোড় নিয়েছে। তার সম্পর্কে না জানাটা লজ্জার।' যদিও ছবিটির পরিচালক কে হতে পারেন কিংবা মুখ্য ভূমিকায় কারা অভিনয় করবেন? সে সম্পর্কে আপাতত কোনও তথ্য দেয়নি প্রযোজক সংস্থা দু'টি। চতুর্দশ শতকে কাশ্মীরে দায়িত্ব পান 'ভূস্বর্গের ক্লিওপেট্রা'। অসম্ভব বিচক্ষণ এই মহীয়সী নারী কাশ্মীরে অনেক রক্তপাত নিজের তুখোড় উপস্থিত বুদ্ধিতে রুখে দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। আত্মহত্যায় প্রাণ যায় কোটারানীর। রানুকে নকল করে গ্রেফতারের মুখে অভিনেতা তারার মেলা ডেস্ক স্টেশনে গেয়ে বেড়ানো রানু মন্ডলকে এখন সবাই রানু দি বলেই ডাকছে। হিমেশের সঙ্গে রানুর গাওয়া 'তেরি মেরি কাহানি' গানটির শুরুর লাইনগুলো এখন মুখে মুখে ফিরছে। আর টিকটক প্রেমীরাও নিজেদের ভাইরাল করতে বেছে নিচ্ছেন রানুর এই গান। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই গানের টিকটকের ছড়াছড়ি। যার যেভাবে ইচ্ছে রানুর গান নিয়ে টিকটক বানাচ্ছে। রানুর গানটি টিকটক করতে গিয়ে বিপদে পড়লেন এক অভিনেতা। রানুর গান নিয়ে টিকটক করে বিতর্কিত হয়েছেন ওডিশার অভিনেতা তত্ত্ব প্রকাশ সতপথি। যিনি পাপু পম পম নামে পরিচিত। রানুর গান নিয়ে মশকরা করায় পাপুকে নিন্দা করছেন সবাই। এমন কী তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে নিশ্চিন্ত কৌইলি নাগরিক মঞ্চ। শোনা যাচ্ছে যে কোনো সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারে। এর আগেও নানা কারণে বিভিন্ন সময়ে সমালোচিত হয়েছেন পাপু। এবার তিনি ভাড়ামি করলেন রানু মন্ডলকে নিয়ে। মঙ্গলবার রাতে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। তাতে দেখা যাচ্ছে, রানুকে নকল করছেন পাপু। তিনি শাড়ি পরেছেন, মাথায় নকল চুল লাগিয়েছেন। আর মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে রানু মন্ডলের গানের সঙ্গে ঠোঁট মেলাচ্ছেন। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে রানুর গলায় গাওয়া 'তেরি মেরি কাহানি'। হিমেশ রেশমিয়ার হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হির ছবিতে শোনা যাবে রানুর এই গান। এদিকে এমন বিপদে পড়ে ক্ষমা চেয়েছেন পাপু। তিনি বলেন, 'এই গানকে আরও জনপ্রিয় করতেই এই ভিডিওটি করেছি। এটা এক শিল্পীকে আরেক শিল্পীর উপহার। তবে এই ক্লিপ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আমার এই কাজে কারও খারাপ লাগলে ক্ষমা চাইছি।' ৯ মাস পর স্ত্রীকে নিয়ে গানে ফিরলেন আলাউদ্দিন আলী তারার মেলা রিপোর্ট গানই যার জীবন। সুরের মাঝে ডুবে কাটে যার প্রতিটা দিন, প্রতিবেলা। সেই কিংবদন্তি সুরকার আলাউদ্দিন আলী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাটিয়েছেন অনেকগুলো দিন। সম্প্রতি কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন তিনি। গানকে ছেড়ে আর কত দিন দূরে থাকা যায়! খুশির খবর হলো, দীর্ঘ প্রায় ৯ মাস পর আলাউদ্দিন আলী আবারও গানে ফিরেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফোয়াদ নাসের বাবুর স্টুডিওতে হাজির হয়েছিলেন তিনি। বিষয়টি জানালেন, আলাউদ্দিন আলীর সহকারী কণ্ঠশিল্পী মোমিন বিশ্বাস। জানা গেছে, একটি দেশের গানের রেকর্ডিং করেছেন আলাউদ্দিন আলী। 'মুক্তিযুদ্ধ চেতনায় দীপ্ত, পিতার পতাকা হাতে' এমনই কথার গানটি লিখেছেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। প্রয়াত কবির লেখা এই গানটির সুর করেছেন আলাউদ্দিন আলী। আর গানটির সংগীতায়োজন করেছেন ফোয়াদ নাসের বাবু। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন ফারজানা আলী মিমি। মোমিন বিশ্বাস বলেন, 'স্যার অনেক দিন আগেই গানটির সুর করেছিলেন। অল্প কিছু কাজ বাকি ছিল সেটা শেষ করে গতকাল গানটি রেকর্ড করেছেন। শিগগিরই গানটি প্রকাশ হবে।' মোমিন বিশ্বাস আরও বলেন, 'আলাউদ্দিন আলী স্যারকে অনেক দিন পরে আমরা স্টুডিওতে পেলাম। স্টুডিওতে ঢোকার সাথে সাথেই উনার চোখে-মুখে হাসি ছিল। আবেগে আমাদেরও চোখ ভিজে আসছিল। উনার ৪০-৪৫ বছরের সঙ্গী, আরেক গুণীজন ফোয়াদ নাসের বাবু ভাইকে সেই আগের মতোই একটু একটু করে গাইড করছিলেন। মাইক্রোফোনের সামনে তখন উনার স্ত্রী সংগীতশিল্পী ফারজানা আলী মিমি ভয়েজ দিচ্ছিলেন, স্যার কানের কাছে ধীরে ধীরে বলছিলেন আবার টেক নিতে! অবাক হলাম স্যার কয়েকবার বলে উঠলেন এসিটা বন্ধ কর এসির নয়েজ রেকর্ড হয়তো। ভালো গানের বাণীর প্রতি সব সময় গুরুত্ব দিতেন তিনি। বললেন, ভালো বাণী হলে সুরও ভালো হয়। সবাই এই গুণী সঙ্গীতজ্ঞের জন্য দোয়া করবেন উনি যেন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।' প্রভাসের ভয় তারার মেলা ডেস্ক বাহুবলি মুক্তির পর রাতারাতি তারকাখ্যাতি পান 'ইয়ং রেবেল'খ্যাত তেলেগু অভিনেতা প্রভাস। সিনেমাটিতে অমরেন্দ্র ও মহেন্দ্র বাহুবলি চরিত্রটি দর্শকের মন জয় করে। কয়েকদিন পরই মুক্তি পাচ্ছে প্রভাস অভিনীত সিনেমা সাহো। কিন্তু এটি নিয়ে বাহুবলি'র মতো প্রত্যাশা না রাখতে অনুরোধ করেছেন এ অভিনেতা। পাশাপাশি তিনি ভয় করছেন, সাহো সিনেমায় তার চরিত্রটির জন্য নারী ভক্তরা তাকে ঘৃণাও করতে পারেন। প্রভাস বলেন, 'বাহুবলি ইতিহাস তৈরি করেছে আর যারা এটি পছন্দ করেছে সাহো তাদের জন্য একটি বিনোদনমূলক সিনেমা। আমরা খুবই চাপে রয়েছি, বাহুবলি'র পর একটি বিনোদনমূলক সিনেমা উপহার দেয়ার লক্ষ্যে এতে অনেক অর্থ ও সময় ব্যয় করেছি।' এ অভিনেতা আরও বলেন, 'সাহো সিনেমায় আমার চরিত্রের জন্য কিছু নারী হয়তো আমাকে ঘৃণা করবেন, কারণ আমি ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করেছি। আমরা প্রতিবার বাহুবলি তৈরি করতে পারব না।