নাটকে অভিনয় করতে ভয় লাগে

বিয়ের পর স্বামী রাজ চক্রবর্তীর ছবি দিয়েই রুপালি পর্দায় প্রত্যাবর্তন করলেন টলিউড তারকা শুভশ্রী গাঙ্গুলী। ছবির নাম 'পরিণীতা'। আর এর মাধ্যমে প্রযোজক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করলেন রাজ। শুক্রবার ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারার মেলার সঙ্গে কথা হয় শুভশ্রীর। সেখানকার কিছু চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য...

প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
শুভশ্রী গাঙ্গুলী
প্রশ্ন : এই ছবির মাধ্যমে প্রথমবার ঋত্বিক চক্রবর্তীর সঙ্গে কাজ করলেন। অভিজ্ঞতা কেমন ছিল! শুভশ্রী : প্রথমেই বলি, ঋত্বিকদার মতো এমন একজন বড় অভিনেতার সঙ্গে কাজ করতে পারলাম, এটা আমার কাছে বড় একটা প্রাপ্তি। 'পরিণীতা'র বাবাইদার চরিত্রে ঋত্বিকদাই ছিল অবধারিত। তিনি যে সহশিল্পীর প্রতি এত আন্তরিক, তার সঙ্গে কাজ না করলে বুঝতাম না। তার আন্তরিকতা দেখে তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা আরও বেড়ে গেছে। প্রশ্ন : ছবির গল্প সম্পর্কে যদি একটু ধারণা দিতেন- শুভশ্রী : কাকতালীয়ভাবে 'পরিণীতা'র গল্পটি পেয়েছিলেন রাজ। ফেসবুকে অনেকেই গল্প লেখেন। সে রকম একটি গল্প ভালো লেগে যায় পরিচালকের। এ ছবিতে রয়েছে উত্তর কলকাতার একটি পাড়ার গল্প। প্রেম-ভালোবাসা, হাঁসি-কান্না সবকিছুরই জটিল একটা মিশ্রণ আছে গল্পে। অনেক সুন্দর একটা গল্প। ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে আমার কেবলই মনে হয়েছিল, আমি ঠিক ছোটবেলায় ফিরে গেছি। প্রশ্ন : ছবির পরিচালক আপনার স্বামী। অভিনয় করতে গিয়ে কোনো অসুবিধে হয়েছে? শুভশ্রী : আসলে চরিত্রটার সঙ্গে এতটা জড়িয়ে গিয়েছিলাম যে, কোনো অসুবিধার কথা মাথায় আসেনি। এতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল চরিত্রটা যে, বরের পরিচালনায় কাজ করছি, সেটাই মনে ছিল না। তবে, একটা জিনিস আমরা দুজনেই অনুশীলন করি, ব্যক্তিগত আর পেশাদারিত্ব যেন এক হয়ে না যায়। প্রশ্ন : একজন পরিচালকের স্ত্রী হলে কি অন্য পরিচালকরা তাদের ছবিতে ডাকেন না? শুভশ্রী : এটা আমি বিশ্বাস করি না। আমি কাজে বিশ্বাসী। আমার যেখানে পৌঁছবার, সেখানে আমি পৌঁছবই। আমি কিন্তু সব পরিচালকের সঙ্গেই কাজ করতে চাই। তবে ছবির বিষয় এবং চরিত্র দেখেই আমি ছবি করার সিদ্ধান্ত নেব। প্রশ্ন : নিজেকেও কী পরিণীতা ভাবেন? হঁ্যা, সব সময় মনে হয়। সবে তো এক বছর হলো। ২০১৮-র ১১ মে আমরা বিয়ে করেছি। যত বছর নিজেকে নব-পরিণীতা ভাবতে পারব, ততই ভালো। তবে, নিজেকে যে সারাক্ষণ নব-পরিণীতা মনে হয়, তার জন্য পুরো কৃতিত্ব রাজের। কারণ সারাক্ষণ সে আমাকে সবুজ সতেজ রাখার চেষ্টা করে। আমরা দুজনেই খুব সুখী জীবনযাপন করছি। কেউ বিশ্বাস করে না যে আমাদের এখনো পর্যন্ত কোনো ঝগড়া হয়নি। প্রশ্ন : বিয়ের পর কি ঘোরাফেরা বেড়ে গেছে, নাকি কমে গেছে? আগের মতোই আছে। আমি তো মূলত বাড়িতে থাকতেই বেশি ভালোবাসি। তাই অন্যদের জন্য আমি ভীষণ বিরক্তিকর একজন মানুষ। পার্টিতে আমি খুব একটা যাই না। আগেও যেতাম না। বাড়িতে থাকতেই আমার আনন্দ। প্রশ্ন : রাজ তো শুরুতে অভিনেতা হতে চেয়েছিলেন। আপনি নায়িকা হয়ে সেই স্বপ্নটা পূরণ করে দিলেই তো পারেন! শুভশ্রী: রাজ এমনিতেই রিয়েল হিরো। সুপারস্টার ডিরেক্টর। তবে, যদি আবার কখনও দেখি রাজের মধ্যে সেই ইচ্ছেটা তৈরি হয়েছে, তাহলে আমি নিজেই সেই ইচ্ছেটা পূরণ করার চেষ্টা করব। যদিও রাজ এখন আর অভিনয় নিয়ে মোটেও ভাবে না। প্রশ্ন : ইদানীং আপনাকে প্রায়ই নাটকের হলে দেখা যাচ্ছে রাজের সঙ্গে। থিয়েটার করার ইচ্ছে আছে? শুভশ্রী: আসলে থিয়েটার দেখতে গিয়ে সবার পারফরমেন্স দেখতে দেখতে মুগ্ধ হয়ে যাই। আমাকে প্রবলভাবে অনুপ্রাণিত করে থিয়েটার। তবে দেখার সময় আমি দর্শক হয়ে যাই, আর, হাউ-মাউ করে কাঁদতে থাকি। দুঃখের নাটক হলে আমি নিজেকে সামলাতে পারি না। নাটকে অভিনয়ের ইচ্ছে আছে। আবার ভয়ও করে। একটা গ্রম্নপের সঙ্গে কথা হচ্ছে।