নতুন জীবনে লরেন্স

প্রকাশ | ২৪ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
জেনিফার লরেন্স
নতুন জীবনে লরেন্স তারার মেলা ডেস্ক মাত্র তেইশ বছর বয়সে বগলদাবা করেছেন অস্কার। ২০১১ সাল থেকে ১৬ সাল পর্যন্ত একাডেমির ছয়টি আসরের চারটিতেই সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেয়েছেন। সম্প্রতি একটি জরিপে বিশ্বের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত নারী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। পাঠক হয়তো বুঝতেই পারছেন, বলা হচ্ছে হলিউড কুইন জেফিার লরেন্সের কথা। কদিন আগেই ঘটা করে সেরেছেন বিয়ে। তারার মেলা ডেস্ক ২০০০ সালের পরে যেসব অভিনেত্রী হলিউডে পা রেখেছেন তাদের মধ্যে মেধায় এবং জনপ্রিয়তায় সবচেয়ে এগিয়ে আছেন জেনিফার লরেন্স। যদিও ব্যক্তিজীবনে তিনি ভীষণ রকমের অগোছালো। সেই অগোছালো জীবনকে গুছিয়ে আনতে বিয়ে করছেন জেনিফার লরেন্স। দীর্ঘদিনের প্রেমিক কুক ম্যারোনির সঙ্গে কদিন আগেই বিয়ে সেরেছেন এই 'হাঙ্গার গেমস' তারকা। ধর্ম মতে পাশাপাশি থাকার শপথও নিয়েছেন দুজনে। জনপ্রিয় গসিপ ম্যাগাজিন 'কসমোপলিটন' লরেন্সের বিয়ের খবরটি 'সারপ্রাইজ' শিরোনাম দিয়ে প্রকাশ করেছে গত বুধবার। পত্রিকাটি লিখেছে, অবশেষে ম্যারোনির সঙ্গেই ঘর সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লরেন্স। আর এটি জানা গেছে লরেন্সের অনামিকায় থাকা হীরের আংটিটির সূত্র ধরে। কারণ কিছুদিন আগেও লরেন্সের আঙুলটি খালি ছিল। পরে ফক্স নিউজের কাছে অবশ্য বিয়ের কথা স্বীকার করেন লরেন্স। জানা যায়, গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ডের নিউপোর্টের একটি ম্যানশনে কুক ম্যারোনিকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়েতে পরিবার ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এমা স্টোন, অ্যাডেল, অ্যামি সুমার, ক্রিস জেনারের মতো তারকারা। অন্যদিকে কুক ম্যারোনি পেশায় আর্ট গ্যালারির মালিক ও পরিচালক। ১৪০ জন আত্মীয় ও বন্ধুর সামনে ২৯ বছর বয়সী জেনিফার লরেন্স আর ৩৪ বছর বয়সী কুক ম্যারোনি বিয়ে কাজ সম্পন্ন করেন। অভিনয় জীবনের মতো জেনিফার লরেন্সের ব্যক্তিজীবন নিয়েও ভক্তদের আগ্রহের শেষ নেই। বিস্ময়কর সুন্দরী এই নায়িকার প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে অনেক দিন ধরেই নানা জল্পনা-কল্পনা চলছিল। শেষ পর্যন্ত নিউইয়র্কে তার হাতে দেখা যায় বিশাল একটি আংটি। আর তাতেই ধরা পড়ে যান তিনি। ব্যস, স্বীকার করে নেন বিয়ের কথা। বয়ফ্রেন্ড কুক ম্যারোনির সঙ্গে তার প্রথম রোমান্টিকতা শুরু হয় ২০১৮ সালের জুনে। তারপর থেকে এই যুগলকে নিউইয়র্কের বহু সামাজিক অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা গেছে। ফলে তাদের নিয়ে চারদিকে ব্যাপক আলোচনা ও কানাঘুষা শোনা যায়। বয়স মাত্র ২৭ বছর। এরই মধ্যে ঘরে তুলেছেন দু'দুটো অস্কার। দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ অস্কারজয়ী অভিনেত্রী হিসেবে রয়েছে তার রেকর্ড। পরপর দুই বছর তিনি অস্কার পদক নিতে উঠেছেন মঞ্চে, এই অভিজ্ঞতাও এক বিরল ব্যাপার। কিন্তু এত ইতিহাস গড়েও কোনো ক্লান্তি নেই জেনিফার লরেন্সের। তার ছবি থেকে বিশ্বজুড়ে এ পর্যন্ত আয় হয়েছে ৬৫০ কোটি ডলারেরও বেশি। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে বিশ্বে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে বেশি দামি অভিনেত্রী। ২০১৩ সালে তিনি বিশ্ববিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ সবচেয়ে প্রভাবশালী মানুষের অন্যতম নির্বাচিত হন। ২০১৪ ও ২০১৬ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিনের ১০০ সেলিব্রেটির তালিকায়ও ছিল জেনিফার লরেন্সের নাম। 'সিলভার লাইনিংস পেস্নবুক' ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি জিতেছেন অস্কার পুরস্কার। একদিকে ব্যবসায় সফল, অন্যদিকে আকর্ষণীয় চেহারা। সবকিছু মিলে তিনি অসংখ্য মানুষের হৃদয়ে কাঁপন ধরিয়ে দেন। কিন্তু জেনিফার তার হৃদয়ের বিশেষ স্থানটি সবাইকে দেননি। দিয়েছেন ম্যারোনিকে। ম্যারোনির সঙ্গে মাত্র কয়েক মাস ধরে প্রেম করছেন লরেন্স। এর আগে মাদার সিনেমায় কাজ করার সময় ছবিটির পরিচালক ড্যারেন অ্যারোনফস্কির সঙ্গে প্রেমে জড়িয়েছিলেন তিনি। 'বস্নাক সোয়ান' নির্মাতা ছাড়াও আরও চারজনের নাম রয়েছে লরেন্সের প্রেমিকের তালিকায়। তাই 'স্বামী' হিসেবে ম্যারোনির জিতে যাওয়ায় অবাক হয়েছেন অনেকে। এমনকি লরেন্সের ভক্তরাও ঘটনাটিকে 'আশাতীত' বলে বর্ণনা করেছেন। কিছুদিন আগেই ড্যারেন আরোনফস্কির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কৌতুক করেছিলেন জেনিফার। তিনি বলেছিলেন, 'আমি পরিষ্কার করে বলছি, দীর্ঘদিন ধরে আমি যৌন সম্পর্ক স্থাপন করি না। আমার একটা সম্পর্ক (রিলেশনশিপ) গড়ে তোলা দরকার, যা ওখানে কঠিন ছিল।' তবে বিয়ের পর কুককে নিয়ে লরেন্স বলেন, 'কুকের সঙ্গে খুব কম সময়ের মধ্যে ভালো একটি সম্পর্ক তৈরি হয়। আমি তার সঙ্গে সব বিষয়ে বেশ সাবলিল থাকতে পারি। পরিচয়ের পরই আমার মনে হয়েছে, এই মানুষটাকে বিয়ে করা যায়। আমি আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটার দেখা পেয়েছি। আমি আমার প্রিয় বন্ধুকেই বিয়ে করেছি।'