বিচিত্র উচ্ছ্বাসে রুনা খান

প্রকাশ | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

তারার মেলা রিপোর্ট
রুনা খান
কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ যে কোনো পুরস্কারই নতুন এক অনুভূতির জন্ম দেয়, অনুপ্রেরণা জোগায়। আর সেই পুরস্কার যদি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার হয় এমনকি কেউ যদি প্রথমবারের মতো পান, তাহলে তার মনের অবস্থা কেমন হতে পারে! অনুমান করা গেলেও এই অনুভূতি ব্যক্ত করা যায় না। এমনই এক বিচিত্র অনুভূতি বিরাজ করছে চলমান সময়ের 'ভার্সেটাইল' অভিনেত্রীখ্যাত রুনা খানের। তৌকীর আহমেদ পরিচালিত 'হালদা' সিনেমায় অনবদ্য অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কার পাচ্ছেন এই মডেল অভিনেত্রী। যদিও অনেকেই আগাম ধারণা দিয়েছিলেন এবার ঠিকই জাতীয় পুরস্কার ছিনিয়ে নেবেন রুনা। ব্যাপারটিকে শুরুতে আমলে নেননি তিনি। কিন্তু অনুমানই যেন সত্যি হয়ে ধরা দিল। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হলেন তিনি। আগামী ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে রুনা খান এই সম্মাননা গ্রহণ করবেন। পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণার পর থেকেই শুভেচ্ছা আর অভিনন্দনে ভাসছেন রুনা। বিষয়টি নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত তিনি। তবে নিজের অভিনয় জীবনের আজকের অবস্থানের পেছনে এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্তিতে কিছু মানুষের কাছে রুনা খান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। শুরুতেই যে মানুষটির কথায় রুনা খান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি সাংবাদিক দাউদ হোসেইন রনি। রনির হাত ধরেই থিয়েটারের সাথে রুনা খানের সম্পৃক্ততা। তবে সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞ তিনি বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের যুবরাজ'খ্যাত অভিনেতা খালেদ খানের প্রতি। \হরুনা খান বলেন, 'আমি যখন নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ের প্রথম নাটকটি করি। তখন রিহার্সেলের কারণে প্রায় সময়ই দেরি করে আমাকে ইডেন কলেজের ছাত্রী নিবাসে যেতে হতো। কিন্তু রাত আটটার পর ছাত্রী নিবাস বন্ধ হয়ে যাবার কারণে আমাকে সেই সময়টাতে শ্রদ্ধেয় খালেদ খান তারই বাসায় আশ্রয় দিয়েছিলেন টানা দুই বছর। তিনি যদি আমাকে সেই সময় এই আশ্রয়টুকু না দিতেন তাহলে সেই সময় আমার জন্য থিয়েটার করা অনেকটাই কষ্টসাধ্য হয়ে যেত। কারণ তখন ঢাকা শহরে আমার কেউ ছিলেন না। তাই আজ নিজের জীবনের এই পর্যায়ে এসে তার কথা ভীষণ মনে পড়ছে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি তার প্রতি, তার পরিবারের প্রতি। একজন খালেদ খান আমার আপন মামা বা চাচা কেউ নন। কিন্তু তিনি আমাকে শুধুমাত্র আশ্রয় দিয়ে আমার জন্য যা করে গেছেন তা আপন মামা চাচার চেয়েও অনেক বেশি।' রুনা খান 'হালদা' সিনেমায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্তিতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মহান আলস্নাহর কাছে, তার বাবা-মায়ের কাছে, তার স্বামী এষণ ওয়াহিদ, তার পরিবারের সবাই, নির্মাতা তৌকীর আহমেদ ও হালদা সংশ্লিষ্ট সবার কাছে। সর্বোপরি তার অভিনয় জীবনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যারা তাকে সহযোগিতা করেছেন, পাশে থেকেছেন, তাকে ভালো বেসেছেন, অনুপ্রেরণা দিয়েছেন এবং সংবাদ মাধ্যমের সবার প্রতিই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। রুনা খান বর্তমানে মানিকগঞ্জে রাফাত মজুমদার রিংকুর নির্দেশনায় 'বোধ' নামের একটি টেলিফিল্মের শুটিং করছেন। এছাড়াও গত মঙ্গলবার তিনি গাজী ফারুকের নির্দেশনায় 'মধ্যস্বত্বভোগী' নাটকের কাজ শেষ করেছেন। প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তিতে রুনার স্বামী এষণ ওয়াহিদ তাকে একটি গহনার সেট ও একটি শাড়ি উপহার দিয়েছেন। আর তা পরিধান করেই তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণ করবেন।