স্মৃতিতে তারকার কোরবানির ঈদ

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ছুটে যাওয়া গরুর পেছনে দৌড়াতে থাকি মনির খান, কণ্ঠশিল্পী বরাবরের মতো এবারও কোরবানির ঈদ করব গ্রামের বাড়ি যশোর জেলার মহেশপুরের মদনপুরে। সেখানে বাবা-মার সঙ্গে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ঈদ করব। ঈদের আগের দিন গ্রামের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ব। গ্রামে ঈদের মজাটাই অন্যরকম। প্রতি বছরের মতো এবারও কোরবানি দেয়ার নিয়ত করেছি। কোরবানির গরুও কেনা হয়েছে। গত কোরবানির ঈদের পরপরই একটি ভালো গরু কিনে রেখেছি। প্রায় একবছর ধরে গাজীপুরের একটি খামারে গরুটি পরিচযার্র মধ্যে আছে। ঈদের আগের দিন গরুটি পিকাপে করে গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে। আমরা কয়েকজন বন্ধুবান্ধব মিলে প্রতি বছর কোরবানির ঈদের পরপরই পরবতীর্ কোরবানির জন্য কয়েকটি গরু কিনে ওই খামারে রেখে আসি। সেখানে ভালো পরিচযার্ হয়। মাঝে মাঝে দেখতে যাই। ৭-৮ বছর ধরে এ নিয়মেই চলছি। তাই হাটে গিয়ে কোরবানির গরু কেনা হয় না। তবে হাটে গিয়ে কোরবানির গরু কেনার মধ্যে একটা মজা আছে। গ্রামে থাকতে একবার তো হাট থেকে গরু কিনে বাড়িতে আসার সময় হাত থেকে দড়ি ছুটে গরু দৌড় দেয়। আমি গরুর পেছনে পেছনে দৌড়াতে থাকি। কোনো ভাবেই গরু ধরা দেয় না। ছুটে যাওয়া গরু ধরা এত সহজও নয়। অবশেষে ওই গ্রামের লোকদের কাছে গরুটি ধরা দেয়। আরেক বার ঈদে জবাই করার সময় ষঁাড় গরু উঠে দৌড় দেয়। গরুর গলা কিছু অংশ কাটা হয়েছে। পুরেপাপুরি জবাই হয়নি। রক্ত পড়ছে। পরে সবাই মিলে গরুটি ধরে আবার শোয়ানো হয়। এসব মজার ঘটনা খুব মনে পড়ে। গরুর হাটে সবাই এসে আমাকে ঘিরে ধরেন আনিসুর রহমান মিলন, অভিনেতা সবার সঙ্গে ঢাকাতেই ঈদ করব। কোরবানির গরু কেনা হবে ঈদের দুই-একদিন আগে। তবে আমি ৮-১০ বছর হলো কোরবানির হাটে গরু কিনতে যাই না। এখন আগের চেয়ে ব্যস্ততাও বেড়েছে। সময়ও হয় না। বাড়ির অন্যেরা কোরবানির গরু কেনেন। একবার আগারগঁাও তালতলায় গরুর হাটে গিয়েছিলাম। সেখানে যাওয়ার পর লোকেরা আমাকে চিনে ফেলেন। সবাই এসে আমাকে ঘিরে ধরেন। ধীরে ধীরে ভিড় বাড়তে থাকে। আমি প্রচÐ ভিড়ে আটকা পড়ে যাই। পরে আমার ছোটভাই আমাকে সেখান থেকে নিয়ে গিয়ে দূরে গাড়িতে বসিয়ে রাখেন। তার কিছুক্ষণ পরে আমাদের লোকেরা গরু কিনে আনেন। পশু কোরবানি করা আমাদের ইসলামের দৃষ্টিতে বলা হয়েছে। এটা ওয়াজিব। সামথর্্যবান ব্যক্তিদের এটা করতে হয় কিন্তু কোরবানি করার সময় আমি কাছে থাকি না। আমার কাছে জবাই করার দৃশ্যটা খুব খারাপ লাগে। জবাই শেষ হলে অবশ্য কাছে যাই। পারলে অন্যদের কাজে সহযোগিতা করি। টানা ২৬ ঘণ্টা হাটে ছিলাম সিয়াম, অভিনেতা বাবা-মার সঙ্গে ঢাকাতেই ঈদ করব। ঈদের নামাজ পড়ব রাজারবাগে। ঈদের মজা তো অবশ্যই অন্যরকম। তবে কোরবানির ঈদের মজা শুরু হয় গুরু কেনা থেকে। ঈদের দুই দিন আগে গরু কিনব। প্রতি বছরের মতো এবারও নিজেই হাটে গিয়ে গরু কেনার ইচ্ছে আছে। গত বছর তো বাড্ডা গরুর হাটে গরু কিনতে গিয়ে দিখি আর গরু নেই। যাও আছে, তা নেয়ার মতো না। সারাহাট ঘুরতে ঘুরতে অস্থির গরু নেই। বলেছিলাম গরু না কিনে বাড়ি ফিরব না। টানা ২৬ ঘণ্টা হাটে ছিলাম। শেষমেশ গরু কিনে বাসায় ফিরি ঈদের আগের দিন সকালে। কষ্ট হলেও ভালোলেগেছিল। আমার সঙ্গে আমার কাছের কয়েকজন বন্ধু ছিল। এটা সত্যিই অবাক করার কথা যে, গরুর জন্য টানা এত সময় হাটে থাকা। গতবার হাটে গিয়ে দেখি গরু নাই নিলয় আলমগীর, অভিনেতা পরিবারের সবার সঙ্গে ঢাকাতেই ঈদ করব। উত্তরাতে ঈদের নামাজের পরপরই ব্যস্তহয়ে পড়ব কোরবানির গরু জবাই ও কাটাকাটি নিয়ে। এরপর বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতজনদের বাসায় মাংস নিয়ে যাওয়া সঙ্গে ঘুরাঘুরি। প্রতি বছরের মতো এবারও নিজেই হাটে যাব গরু কিনতে। হাটে গিয়ে গরু কেনার মধ্যে আনন্দ আছে। যদিও ঈদের নাটক নিয়ে ব্যস্ততা চলছে। গত বছর ঈদের আগের দিন হাটে গিয়ে দেখি গরু নাই। দিয়াবাড়ী ও তিনশ ফিট হাটে ঘুরেও গরু পেলাম না। রামপুরাতেও গেলাম গরু কিনতে কিন্তু কাজ হলো না। এখন উপায় গরু তো কিনতে হবে। কোরবানির ঈদে কোরবানি না করলে কি হয়। সিদ্ধান্ত নিলাম, গরু-ছাগল ভালোমন্দ কাছে যা পাই তাই কিনব। পরে তিনশ ফিটের কাছাকাছি এক জায়গা থেকে একটি গরু কিনে নেই। এবার আশা করি তা হবে না। গতবারের ভোগান্তিটা মাথায় আছে। এবার নিজের টাকায় গরু কিনব শবনম বুবলি, চিত্রনায়িকা ঢাকাতেই ঈদ করব। বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। ঈদের দিন সাধারণত বাসাতেই থাকা হয়। যেহেতু ঈদে আমার অভিনীত ছবি মুক্তি পায় তাই দশর্কদের সঙ্গে ছবি দেখাসহ নানারকম প্রচারে কখনো কখনো অংশ নিতে হয়। এটা অবশ্য ঈদ উৎসবে বাড়তি আনন্দই যোগ করে দেয়। এটা যেহেতু কোরবানির ঈদ। প্রতি বছর পরিবার থেকেই কোরবানির গরু কেনা হয়ে থাকে। তবে ইচ্ছে আছে এবার নিজের টাকায় কোরবানির গরু কেনার। নিজের টাকায় গরু কোরবানির আনন্দ বা তৃপ্তিটা এবার পেতে চাই। গরু কিনতে কখনো হাটে যাওয়া হয়নি। তবে ছোটবেলা থেকেই কোরবানির গরু নিয়ে আমাদের বাসায় একটা উৎসবের মতো হয়। যখনই কোরবানির গরু কিনে বাসায় আনা হয় তখনই সেই গরুর নামকরণ করা হয়। যেমন গত বছর আমাদের গরুর নাম দেয়া হয়েছিল ‘পঙ্খীরাজ’। ঈদের দিন কোরবানির সময় আসলে তখন আবার মন খারাপ হয়। কারণ ওই গরুটিকে নিয়ে মাতামাতি করতে করতে ওর প্রতি এক ধরনের মায়া জন্মে যায়। কিন্তু কিছুই করার থাকে না। এটাই নিয়ম। মায়ের পাশে বসে মাংস কাটা দেখতাম মৌসুমী হামিদ, অভিনেত্রী ঈদের নাটক নিয়ে ব্যস্ততা থাকলেও সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় গ্রামের বাড়িতে বাবা-মার সঙ্গে ঈদ করব। রোজার ঈদের মতো কোরবানির ঈদ নয়, এ ঈদের দিন সবাই কোরবানি নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। নামাজের পর সারাটা দিন গরু জবাই, মাংস কাটাকাটি করতেই দিন চলে যায়। গরু কিনতে হাটে না গেলেও পরিবারের পক্ষ থেকেই ঈদের কয়েকদিন আগে কোরবানির জন্য গরু কেনা হয়। ছোটবেলায় কোরবানির ঈদে খুব মজা করতাম। যৌথ ফেমিলি হওয়ায় একসঙ্গে কোরবানি দেয়া হতো। ঈদের সকালে নামাজের পর বাবা-চাচারা পশু কোরবানি দিয়ে বাড়িতে মাংস নিয়ে আসতেন। মা-চাচিরা মাংস কাটার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন। আমরা ছোটরা মাংস কাটতে চাইলে সে সুযোগ দেয়া হতো না। তারপরও মায়ের পাশে বসে মাংস কাটা দেখতাম। বন্ধুরা মিলে প্রতিদিন হাটে গরু দেখতে যেতাম হুমায়রা হিমু, অভিনেত্রী পরিবারের সঙ্গে ঢাকাতেই ঈদ করব। ১৮ তারিখ পযর্ন্ত ঈদের নাটকের শুটিংয়ে ব্যস্ততা রয়েছে। এরপর ফ্রি থাকলেও কোরবানির গরু কিনতে হাটে যাওয়ার ইচ্ছে আমার নেই। গরু কিনতে কখনো আমি হাটে যাই না। এটা পুরুষদের কাজ তারাই করে থাকেন। ছোটবেলায় ল²ীপুরে আমাদের বাসার সামনে কোরবানির হাট বসত। আমরা কাজিন ও বন্ধুরা মিলে হাটে গরু দেখতে যেতাম। হাট ঘুরে ঘুরে বড় গরুগুলো দেখতাম। যে কয়দিন হাট চলতো সেই কয়েকটা দিন যেতাম হাটে গরু দেখতে। এখন সেই সময় ও ইচ্ছে নেই। এবারে নানুদের সঙ্গে যৌথ কোরবানি দেয়া হবে। ঈদের দু-একদিন আগে গরু কেনা হবে। কোরবানির মাংস কাটাকাটির কাজ মা’ নিজেই করে থাকেন। মাংস তিন ভাগ করার পর দুই ভাগ গরিব-দুঃখী ও আত্মীয়স্বজনের জন্য আর এক ভাগ রেখে দেই নিজেদের জন্য। তবে কোরবানির ঈদে কাজে মাকে সাহায্য করি।