বছরের শুরুতেই স্বস্তির নিশ্বাস

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

তারার মেলা রিপোর্ট
সাদিকা পারভীন পপি
বছরের শুরুতেই স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপি। কারণ বছরের শুরুতেই তিনি শেষ করেছেন সাদেক সিদ্দিকী পরিচালিত ২০১৮ সালে শুরু হওয়া সিনেমা 'সাহসী যোদ্ধা'। এই সিনেমার গল্প মূলত তাকে কেন্দ্র করেই বলে জানিয়েছেন পপি। সিনেমাটিতে পপি অভিনয় করেছেন সোহানা চরিত্রে। বছরের শুরুতেই নিজের অনেক ভালো লাগার একটি গল্পের সিনেমার কাজ শেষ করে বেশ উচ্ছ্বসিত পপি। পপি বলেন, 'বছরের শুরুটাই হলো একটি ভালো গল্পের সিনেমার কাজ শেষ দিয়ে। তাই নিজের ভেতর ভীষণ ভালো লাগা কাজ করছে। সাদেক সিদ্দিকী ভাই অনেক কষ্ট করে, শ্রম দিয়ে সিনেমাটি শেষ করেছেন। আমি আশা করছি সিনেমাটি মুক্তি পেলে দর্শকের ভালো লাগবে।' 'সাহসী যোদ্ধা' সিনেমা ছাড়াও নতুন বছরের কাজ এবং কাজের পরিকল্পনা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পপি। তিনি বলেন, 'পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন বছরকে ভিন্নভাবে সাজিয়েছি। সেই অনুযায়ী কাজও করছি। নতুন বছরে আরও বেশকিছু নতুন সিনেমাতে কাজ করা হবে। তাছাড়া এ বছর আমার মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমাগুলোতে আমাকে নতুন আঙ্গিকে দেখতে পাবেন দর্শক।' বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে শিগগিরই শাহীন সুমন পরিচালিত 'গ্যাংস্টার' নামে একটি সিনেমাতে অভিনয় করছেন পপি। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত মুখ খোলেননি তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি সাংগঠনিক কাজেও যুক্ত হয়েছেন পপি। বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের সর্বশেষ নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হন তিনি। অভিনয়ের ব্যস্ত সূচির ফাঁকে ফাঁকে এই সংগঠনের কার্যক্রমে যুক্ত থাকার কথাও জানিয়েছেন এ নায়িকা। এ বছরই শেষ হবার কথা রয়েছে পপির 'কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র' ও 'সেভ লাইফ' সিনেমার কাজ। এই সিনেমা দুটির কাজ আপাতত স্থগিত থাকলেও ২০২০'এ শেষ হয়ে যাবে বলে পপি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। বছরের শুরুতেই বেশ ফুরফুরে মেজাজে থাকা পপি পুরো বছরটিই সানন্দে কাটাতে চান বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, '২০১৯ বেশ ঝলমলেই কেটেছে। স্টেজ ও চলচ্চিত্রের কাজ নিয়ে ভালোই ব্যস্ত ছিলাম। তবে ২০২০ নিয়ে আমি আরও বেশি আশাবাদী। এ বছর আমার একাধিক ছবি মুক্তি পেতে পারে। এ ছাড়াও বেশ কিছু কাজ নিয়ে কথাবার্তা চলছে, ফলে এ বছর কাজের মাঝেই ডুবে থাকতে চাই।' তিনি আরও বলেন, 'আমি টাকার জন্য অভিনয় করি না। যদি তাই করতাম তাহলে এখনও অনেক ছবি নিয়ে আগের মতো ব্যস্ত থাকত। আজকের এই পপি হতে আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। আমি চাইলে ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হতে পারি। মানহীন কাজ করে ক্যারিয়ার নষ্ট করতে চাই না বলেই অনেক প্রস্তাব আসার পরেও ফিরিয়ে দিই। ভালো-মন্দ বুঝে অভিনয় করতে চাই।' চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সংগঠন ও এসব সংগঠনের ভূমিকা নিয়ে পপি বলেন, শুধু সংগঠন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেই তো হবে না। চলচ্চিত্র উন্নয়নের জন্য কাজও করতে হবে। অনেকেই আছেন যারা সংগঠন করে শুধু নিজেদের সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করেন। আবার অনেকে কাজ খোঁজে বেড়ায়। চলচ্চিত্রে কাজ হওয়া দরকার। কারণ এ শিল্পের সঙ্গে অনেকের রিজিক জড়িত। চলচ্চিত্র নির্মাণ না হলে কাজ তৈরি হবে কিভাবে। তাই চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট সংগঠনের উচিত হবে প্রপার কিছু করা। বহুদিন পর প্রযোজক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সংগঠনের উচিত হবে চলচ্চিত্র নিয়ে প্রপার কিছু করা। কখনো কখনো দেখা যায় প্রযোজক নিজেই নায়ক হন সিনেমার পর্দায়। হুট করে যেমন যে কেউ নায়ক-নায়িকা হচ্ছেন। আবার না জেনে শুনে হঠাৎ করে নির্মাণে হাত দিচ্ছেন। এতে করে চলচ্চিত্রে ভালো কিছু আসছে না। ভালো কিছু করতে গেলে ভালো শিল্পীদের দিয়ে কাজ করাতে হবে। ভালো কিছু না হলে প্রযোজক সমিতির অনুমতি দেয়া উচিত নয়। দর্শকও চান না মানহীন ছবি। মানহীন ছবির কারণেই ছবি মুক্তির পরেও দর্শক খরায় ভোগে সিনেমা হলগুলো। নানা অনিয়মের কারণে চলচ্চিত্র আজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে। এ থেকে মুক্ত হতে হবে আমাদের। সবাই মিলে সুন্দর একটা সমাধান বের করার দায়িত্বও আমাদেরই।'