সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ০৫ মার্চ ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ভেঙেই গেল শাবনূরের ঘর তারার মেলা রিপোর্ট সাত বছরের সংসার ভেঙে গেল ঢাকাই ছবির আলোচিত ও জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূরের। মাদকাসক্ত, শারীরিক-মানসিক নির্যাতন এবং পরনারীতে আসক্তের অভিযোগ এনে স্বামী অনিক মাহমুদকে তালাক দিয়েছেন তিনি। শাবনূরের স্বাক্ষরিত সেই তালাক নোটিশের এমনটিই জানিয়েছেন এ নায়িকা। শাবনূর গেল ৪ ফেব্রম্নয়ারি তার অ্যাডভোকেট (তালাকের নোটিশ এবং হলফনামা প্রস্তুতকারী) কাওসার আহমেদের মাধ্যমে অনিক মাহমুদকে এই তালাক নোটিশ পাঠিয়েছেন। এর ফলে অনিকের সঙ্গে প্রায় ৭ বছরের সংসার জীবনের ইতি টানলেন এই অভিনেত্রী। ডিভোর্সের বিষয়টি শাবনূর নিশ্চিত করেছেন। নোটিশে শাবনূর উলেস্নখ করেছেন, 'আমার স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয়, আমার এবং সন্তানের যথাযথ যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করেন না। সে মাদকাসক্ত। অনেকবার মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় বাসায় এসে আমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে। আমাদের ছেলের জন্মের পর থেকে সে আমার কাছ থেকে দূরে সরে থাকছে এবং অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আলাদা বসবাস করছে।' শাবনূর আরও উলেস্নখ করেন, 'একজন মুসলিম স্ত্রীর সঙ্গে তার স্বামী যে ব্যবহার করেন অনিক সেটা করছেন না, উল্টো নানাভাবে আমাকে নির্যাতন করে। এসব থেকে তাকে ফেরানো যাচ্ছে না। বরং ওর নির্যাতন আরও বাড়তে থাকে। উপরোক্ত কারণগুলোর জন্য মনে হয়েছে তার সঙ্গে আমার আর বসবাস করা সম্ভব নয় এবং আমি কখনো সুখী হতে পারব না। তাই নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং সুন্দর জীবনের জন্য তার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছেদ করতে চাই। মুসলিম আইন এবং শরিয়ত মোতাবেক আমি তাকে তালাক দিতে চাই। আজ থেকে সে আমার বৈধ স্বামী নয়, আমিও তার বৈধ স্ত্রী নই।' জানা গেছে, নোটিশের অনুলিপি অনিকের এলাকার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এবং কাজী অফিস বরাবরও পাঠানো হয়েছে। নোটিশে সাক্ষী রয়েছেন মো. নুরুল ইসলাম ও শামীম আহম্মদ নামে দুজন। শাবনূর বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় আছেন।