অ্যাফ্লেক-গানাের্রর বিচ্ছেদ

প্রকাশ | ৩০ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

তারার মেলা ডেস্ক
জেনিফার গানার্র ও অ্যাফ্লেক
জাস্টিস লিগখ্যাত হলিউড অভিনেতা বেন অ্যাফ্লেক। অনবদ্য অভিনয় দক্ষতা তাকে এনে দিয়েছে অস্কারের মতো পুরস্কার। দুবার অস্কারজয়ী মাকির্ন এই অভিনেতা অভিনয়ে যেমন সাফল্যের পরিচয় দিয়েছেন, তেমনি চলচ্চিত্র নিমাের্ণও দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তবে বতর্মান সময়টা খুব বেশি ভালো যাচ্ছে না এই অভিনেতার। একবার নয়, তিন তিন বার মাদক নিরাময় কেন্দ্রে অসহ্য যন্ত্রণাময় দিন কাটাতে হচ্ছে তাকে। শুধু তাই নয়, পশ্চিমা গণমাধ্যম বলছে অ্যাফ্লেক এবার রিহ্যাব থেকে ফিরলেই তার বিবাহ বিচ্ছেদ হবে। কথায় আছে মড়ার উপর খঁাড়ার ঘা। এ ঘটনা সত্যি হলে অ্যাফ্লেকের জীবনে তেমনটিই হবে। ২০০৫ সালে মাকির্ন অভিনেত্রী জেনিফার গানার্রকে বিয়ে করেছিলেন অ্যাফ্লেক। তারকা দম্পতির আছে তিন সন্তান। অ্যাফ্লেক ও গানাের্রর তিন সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে ভায়োলেটের বয়স ১২, মেজো মেয়ে সের?্যাফিনার বয়স ৯ বছর আর ছোট ছেলে স্যামুয়েলের বয়স ৬। কিন্তু সংসারের টানাপড়েনে তাদের সেই সম্পকের্ ধরেছে চির। ২০১৫ সালে থেকে দু’জন আলাদা থাকতে শুরু করেন। অ্যালকোহলের প্রতি অ্যাফ্লেকের মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি অনেক দিনের। আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে তাকে প্রথমবার নিরাময় কেন্দ্রে যেতে হয় ২০০১ সালে। মাঝখানে অনেক দিন ভালোই ছিলেন বেন আফ্লেক। এরপর গত বছরই তাকে সেখানে যেতে হয়েছে। সেবার এক মাসের জন্য তাকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে থাকতেও হয়েছিল। সুস্থ হয়ে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বিষয়টি নিয়ে কথাও বলেছিলেন দু’বার অস্কারবিজয়ী এই অভিনেতা-পরিচালক। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আবার তাকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে যেতে হলো। এ ঘটনাটি ঘটল প্রেমিকা লিন্ডসে শুকসের সঙ্গে সম্পকর্ ভেঙে যাওয়ার পর পরই। এরপরই নাকি পানের মাত্রা বেড়ে গেছে ‘আগোর্’ তারকার। এক বাক্স পানীয় কিনতেও দেখা যায় তাকে। গত বধুবার তার বাসায় আসেন বেনের সাবেক স্ত্রী এবং অভিনেত্রী জেনিফার গানার্র। তিনি শেষ পযর্ন্ত বেনকে রাজি করান মালিবুর একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভতির্ হওয়ার জন্য। এখন দেখার বিষয়, কত দিনের মধ্যে আবার সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন বেন আফ্লেক। এ পবের্র চিকিৎসা শেষ হলে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের কাযর্ক্রম সম্পূণর্ হবে। এদিকে, সম্প্রতি নিজের অতীত গোপন রাখতে গিয়ে বিতকের্র জন্ম দিয়েছেন তিনি। আর কারণ হিসেবে বললেন, নিজের লজ্জার কথা। ‘ফাইন্ড ইয়োর রুটস’ নামের এক অনুষ্ঠানে উঠে আসে এই হলিউড তারকার অতীতের গল্প। কিন্তু আফ্লেক জানান, তিনি কোনোভাবেই চাননি জনসম্মুখে প্রকাশিত হক তার পরিবারের এই সত্য। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে আফ্লেক লেখেন, ‘আমি কখনও চাইনি এমন কোনো অনুষ্ঠান তৈরি হোক, যেখানে আমার পরিবারের সেই সদস্যের কথা উঠে আসবে, যিনি ক্রীতদাসের মালিক ছিলেন। আমি লজ্জিত বোধ করছিলাম।’ সনি পিকচাসের্র হ্যাক করা এক ই-মেইল ফঁাস হবার পরই এ সত্য ধামাচাপা দিতে অ্যাফ্লেকের প্রচেষ্টার কথা বেরিয়ে আসে। দাস ব্যবসায়ের সঙ্গে তার পরিবারের সম্পৃক্ততা সংক্রান্ত তথ্যগুলো গোপন রাখার অনুরোধ জানিয়ে অনুষ্ঠানের প্রযোজকদের ই-মেইল পাঠান অ্যাফ্লেক। অবশ্য এরপর পুরো ব্যাপারটি স্বীকার করেন ‘গন গালর্’ তারকা। তিনি বলেন, ‘মাকিির্নদের ক্রীতদাস প্রথার ইতিহাসের একটি অংশ হয়ে থাকবে তার পরিবার। তথ্যচিত্রটিতে আমার পরিবারের এই গুরুত্বপূণর্ তথ্য গোপন রাখার অনুরোধ করে আমি এখন অনুশোচনা করছি। পূবর্পুরুষদের কৃতকমের্র জন্য আমরা গবির্ত নই, আবার এ জন্য আমাদের দোষ দেয়াও ঠিক হবে না। এরকম একটি ইতিহাস আমরা কেউই সমথর্ন করি না।’