নতুন করে করোনা সংক্রমণ! সচেতনতাই এখন প্রধান প্রতিরক্ষা
প্রকাশ | ৩০ জুন ২০২৫, ২০:৩৩ | আপডেট: ৩০ জুন ২০২৫, ২১:০১

সাম্প্রতিক সময়ে আবারও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কিছু এলাকায় বেড়ে চলেছে। নানা মাধ্যমে পাওয়া খবরে দেখা যাচ্ছে, অনেকেই সর্দি-জ্বর, কাশি, ঘ্রাণ-স্বাদহীনতা এবং দুর্বলতার মতো উপসর্গে আক্রান্ত হচ্ছেন। এসব উপসর্গের বেশিরভাগই করোনার পুরোনো উপসর্গের সাথে মিলে যাচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষ আবারও চিন্তিত হয়ে পড়েছে! নতুন করে কি আবার মহামারির আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে?
করোনার আগে আমরা দেখেছি কীভাবে একটি অদৃশ্য ভাইরাস মানব সভ্যতাকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। তবে বিজ্ঞান ও মানবিক সহমর্মিতা মিলিয়ে আমরা সে সময় সফলভাবে টিকা গ্রহণ করে সংক্রমণের ভয়াবহতা অনেকটাই কমিয়ে আনতে পেরেছিলাম।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে, পরবর্তী সময়ে কিছু মানুষের শরীরে টিকা গ্রহণের পর চর্মরোগ বা অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঘটনা দেখা গেছে। ফলে অনেকে টিকার প্রতি ভয় বা অবিশ্বাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এটি একদিকে যেমন ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, অন্যদিকে তা জনস্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
তবে এটি মনে রাখতে হবে—টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তুলনামূলকভাবে খুবই সামান্য এবং অস্থায়ী ছিল। বরং টিকা না নেওয়ার ফলে যেসব গুরুতর অসুস্থতা বা মৃত্যু ঘটেছিল, তার সংখ্যা ছিল বহুগুণ বেশি। তাই এখন টিকা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে তথ্যভিত্তিক পর্যালোচনা ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
এখন কী করণীয়?
১. সচেতনতা: উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না করে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করুন। প্রয়োজনে আলাদা থাকুন ও পরিবারের অন্যদের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করুন।
২. স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা: সাবান পানি বা স্যানিটাইজার দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক পরা এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলা এই অভ্যাসগুলো এখনো গুরুত্বপূর্ণ।
৩. পুনরায় টিকা নিয়ে ভাবুন: সরকার যদি নতুন করে বুস্টার ডোজ বা আপডেটেড ভ্যাকসিন দেয়, তাহলে নিজের স্বাস্থ্য ইতিহাস বিবেচনা করে চিকিৎসকের পরামর্শে তা গ্রহণ করুন।
৪. পুষ্টিকর খাবার ও পরিমিত বিশ্রাম: ইমিউনিটি বা প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য খাদ্যাভ্যাস ও ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৫. গুজব নয়, তথ্যকে বিশ্বাস করুন: সামাজিক মাধ্যমে নানা অপপ্রচার বা ভুল তথ্য প্রচারিত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মতো নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকেই তথ্য গ্রহণ করুন।
এই মুহূর্তে আতঙ্ক নয়, প্রয়োজন সতর্কতা। ব্যক্তিগত সচেতনতাই পারে সমাজকে নিরাপদ রাখতে। অতীতে যেমন একসাথে আমরা মহামারিকে মোকাবিলা করেছিলাম, এবারও ঐক্যবদ্ধ হয়ে দায়িত্বশীল আচরণই হতে পারে করোনার বিরুদ্ধে আমাদের প্রধান প্রতিরক্ষা।