বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশুদের বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ

মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  ২৫ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:১১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীতের প্রকোপে বাড়ছে শিশুদের বিভিন্ন ধরনের ঠান্ডাজনিত রোগ। প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। হঠাৎ করে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সবাইকে বেড দেয়া যাচ্ছেনা। ফলে বাধ্য হয়েই অনেক রোগীকে ফ্লোরিং করতে হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে জানুয়ারি মাসে গড়ে প্রতিদিনই ৫০জন রোগী ভর্তি হচ্ছে। ডিসেম্বর মাসে গড়ে ভর্তি হতো ৪০জন।

সরজমিনে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায় ওয়ার্ডটি রোগীতে ঠাসা। অনেকেই ফ্লোরিং করছে। নিমোনিয়া, কাঁশি, সর্দি ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগ নিয়ে শিশুরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হাসপাতালের গত ২৩ জানুয়ারি ৫৮জন, ২২ জানুয়ারি ৫২জন, ২১ জানুয়ারি ৫৮জন এবং ২০ জানুয়ারি ৫৬ জন শিশু ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।

সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের শিলাউর গ্রামের ফাতেমা বেগম তার এক বছর বয়সী ছেলে মোস্তাকিমের নিমোনিয়া সমস্যা নিয়ে ২০ জানুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের মেড্ডা সিও অফিস এলাকার বাসিন্দা নূপুর বেগম তার তিন মাস বয়সী শিশু কন্যা খাদিজা আক্তারকে কাশি সমস্যার কারনে হাসপাতালে ভর্তি করেন ২৩ জানুয়ারি।

বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের দত্তখলা গ্রামের মোঃ ইউনুস মিয়া ঠান্ডা ও কাঁশি জনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন ২২ জানুয়ারি।

সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের দানা মিয়া তার দুই বছরের শিশু কন্যা খাদিজা বেগমকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন ১৯ জানুয়ারি।

একই দিন সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের সালমা বেগম তার ছয় মাস বয়সী ছেলে ইয়ামিন মিয়াকে (৬) নিমোনিয়ার কারনে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের সাধনা আক্তার তার এক মাস বয়সী শিশুপুত্র হাফিজুরকে নিমোনিয়া রোগের কারনে হাসপাতালে ভর্তি করেন ১৯ জানুয়ারি।

হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ ফেরদৌসি বেগম বলেন, শীতের প্রকোপ বাড়ায় জানুয়ারি মাসে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তিনি বলেন, কাঁশি, নিমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়েই বাচ্চারা ভর্তি হচ্ছে।

তিনি বলেন, জানয়ারি মাসে গড়ে ৫০জন শিশু প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে। ডিসেম্বর মাসে গড়ে ৪০জন রোগী ভর্তি হতো। তিনি বলেন, হাসপাতালে সেবা পেয়ে শিশুরা সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরছে। তিনি বলেন, প্রতি রোগীর সাথে ৪/৫জন অভিভাবক থাকায় আমাদের কাজ করতে সমস্যা হয়। রোগীর আত্মীয় স্বজনদের বললেও তারা বুঝতে চায়না।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শওকত হোসেন বলেন, জানুয়ারি মাসে প্রতিদিন গড়ে ৫০জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। এজন্য আমাদের বেড নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। তিনি বলেন, পর্যাপ্ত বেড না অনেক রোগীকেই ফ্লোরিং করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, বিপুল পরিমান রোগী থাকা সত্বেও চিকিৎসাসেবা নিয়ে আমাদের কোন সমস্যা নেই। আমাদের কাছে প্রচুর পরিমানে অক্সিজেন সিলিন্ডার, গ্যাস ও নেবুলাইজার আছে।

তিনি আরও বলেন, রোগীরা হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে।

যাযাদি/এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে