নওগাঁয় বেড়েছে শিশুসহ ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা

প্রকাশ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৯:৩৭

রুহুল আমিন, নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁয় শীত বেড়ে যাবার কারনে দুর্ভোগ বাড়ছে মানুষের। তীব্র শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত নানা রোগ। শীতজনিত কারণে বাড়ছে বিভিন্ন রোগ। বিশেষ করে শিশু-বৃদ্ধরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। কয়েকদিন থেকেই সন্ধ্যার পর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। হাড় কাঁপানো শীতের কারণে জবুথবু হয়ে পড়েছে মানুষ। কর্মজীবী মানুষরা পড়েছেন বিপাকে। বেলা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে সূর্যের দেখা মিললেও তীব্রতা নেই। নওগাঁর বদলগাছী আঞ্চলিক  আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে রবিবার তাপমাত্রা ছিল- ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নওগাঁ সদর উপজেলা পাহাড়পুর গ্রামের রিপন শেখ তার ২মাসের শিশু হুজাইফাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন গত ৪ দিন আগে। তিনি জানান, হঠাৎ করে পাতলা পায়খানা শুরু হয়। যার কারনে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছেন তার শিশুর।

 

সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের মিজানুর রহমান জানান, হ্যামার ১মাসের শিশু সন্তান সিনহা আক্তার ৫দিন থ্যাকা তার খুবই স্বর্দি-কাসি হচ্চে যার জন্নি গত ( বুধবার ) হাসপাতালোত লিয়া আসিচি। ডাক্তার বাবুকেরে চিকিৎসাত  একন হ্যামাকেরে ছোলডা মোটামুটি ভালো আচে। নওগাঁ মান্দা উপজেলার দক্ষিন মৈনুম হাসপাতালে এসেছেন গীতা রায় তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, হ্যামার প্রতির ( স্বামী ) তিন দিন থ্যাকা খুবই ডায়রিয়া হচ্চে। শীতের মধ্যে সে জমিত কয়ডা দিন কাম করিছে সেজন্নি হঠাৎ অসুক হইয়া গ্যাচে।  রোববার হাসপাতালোত ভর্তি করাচি। ডাক্তার বাবুরা চিকিৎসা দিচ্চে। একন এ্যানা ভালো আচে। সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ সাঈদুল হক বলেন, নওগাঁ জেলায় শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে হঠাৎ করেই ঠান্ডাজনিত কারনে শিশু ও বয়োজোষ্ঠ্য রোগীর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

বিশেষ করে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের সাধ্যমত সেবা প্রদানের। নওগাঁ সদর হাসপাতালের তথ্যমতে, গত এক সপ্তাহে নওগাঁ সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন ৮৬ জন, নিউমোনিয়ায় আটজন এবং জ্বর-স্বর্দি-কার্শি নিয়ে ২৫ জন। এছাড়া বয়স্ক ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন ও শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ভর্তি হয়েছেন তিনজন। এছাড়া জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ১০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৩৫ জন, নিউমোনিয়ায় ২৫ জন এবং অন্যান্য রোগী ভর্তি হয়েছেন ৭০ জন।

 

ৎডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর-এ-মোর্শেদ বলেন, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার যে প্রবণতা আতঙ্কিত হওয়ার মতো এখনো কিছু হয়নি এখন পর্যন্ত আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। যথেষ্ট জনবল ও পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ আছে। বয়স্ক ও শিশুদের যেন কোনোভাবে ঠান্ডা না লাগে সে ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

 

যাযাদি/ এস