খুলনার পাইকগাছার লতা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি আধুনিকায়ন হলেও দু-বছর ধরে তালাবদ্ধ আছে। ডাক্তারসহ কোনো জনবল না থাকায় জনগণের দোরগোড়ার চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী।

উপজেলার লতা ইউনিয়নের কাঠামারী নামক স্থানে ১৯৯০ সালে লতা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়। উপজেলা সদর থেকে অনতি দূরত্বে এলাকাটি অবস্থিত। সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা সংক্রান্ত সেবা চালু করতে ইউনিয়ন পরিষদে এর দাপ্তরিক কর্যক্রম শুরু হয়। সে সময় থেকে ঢিমেতালে এর কার্যক্রম চলে বলে স্থানীয় ইউপি সদস্য কৃষ্ণপদ মন্ডলসহ স্থানীয়রা জানান। ২০১৮ সালে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন দোতলাবিশিষ্ট একটি ভবন নির্মিত হয়েছে। যার নিচে ৫টি কক্ষ ও দোতলায় দুটি আবাসিক ভবন। যার চারপাশে সুউচ্চ প্রাচীর। সেবাদানের জন্য একজন ডাক্তার, একজন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, একজন নিরাপত্তা প্রহরি ও একজন আয়া থাকার কথা। কিন্তু নিরাপত্তা প্রহরি থেকেও না থাকার মতো অবস্থা বলে অনেকেই বলছে। মাঝে মধ্যে ঝাড়ু দিয়ে চলে যায়। সেবাদানের জন্য সেখানে কোনো উপকরণ আসে কি না তা জানার চেষ্টা করা হলেও কেউ বলতে পারেনি।

কমিউনিটি ক্লিনিক আরও বাড়ানো হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী 

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মন্ডল বলেন, সরকার স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর জন্য আধুনিক ভবনসহ অনেক কিছু করছে। কিন্তু আমার ইউনিয়নবাসী এখানকার সেবা থেকে বঞ্চিত।

উপজেলা পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা এসএম কবির হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমার কর্তৃপক্ষকে বার বার লিখিতভাবে অবহিত করেছি, কিন্তু কেউ এসে কয়েকদিন থাকার পর চলে যায়।

যাযাদি/ এস