শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

​ভারত সীমান্তবর্তী জয়পুরহাটে করোনা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
  ০১ জুন ২০২১, ২০:৫৩

ভারতীয় সীমান্তবর্তী জেলা জয়পুরহাটে দিন দিন করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ৭ দিনে করোনা রোগী পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার শতকরা ৩১.০৫ ভাগ। এ অবস্থায় করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে রাত ৮টার পর জেলার সকল দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে জয়পুরহাট জেলা প্রশাসন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০ কিলোমিটারের বেশি সীমান্ত এলাকায় বৈধ পথে ভারত হতে বাংলাদেশে যতজন প্রবেশ করছে তার চাইতে বেশিজন প্রবেশ করছে অবৈধভাবে। সীমান্তে বিজিবির নজরদারি থাকলেও প্রতিদিন ভারত ও বাংলাদেশের অনেকে এপাড়-ওপাড় হচ্ছে। অনেকে তাদের জমি চাষাবাদ করার জন্য পারাপার হচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় যাদের বাড়ি তারা চাষাবাদ কিংবা অন্য কারণে একে অপরের সংস্পর্শে আসছে। ফলে করোনার ভারতীয় ধরন যেকোনো সময় জয়পুরহাট জেলাকে করোনা সংক্রমণে হটস্পটে পরিণত করতে পারে।

এ ব্যাপারে বিজিবি ১৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাদিম জানান, ১৪ ব্যাটালিয়নের অধীনে দিনাজপুর, জয়পুরহাট ও নওগাঁ জেলায় ভারতের সঙ্গে ৮৭.০১ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে জয়পুরহাট জেলায় ভারতের সঙ্গে ২০.৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। সীমান্তে ভারতীয় প্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির কড়া নজরদারি রয়েছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি সদস্যরা সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে।

জয়পুরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াজেদ আলী জানান, গত ৮ দিনে (২৫-৩১ মে পর্যন্ত) জয়পুরহাট জেলায় তিনশ একজনকে করোনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৭৫ জন ব্যক্তির শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। গত ৮ দিনে করোনা সংক্রমণের হার শতকরা ২৫ ভাগ। মঙ্গলবার ১৭টি পরীক্ষা করে ৫ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে এক দিনে করোনা শনাক্তের হার শতকরা প্রায় ৩০ ভাগ। এপর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১২ জন। এর মধ্যে জয়পুরহাট সদরে ৭ জন, পাঁচবিবি ও কালাইয়ে দুজন করে এবং ক্ষেতলালে একজন। জয়পুরহাট জেলা সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৈধভাবে দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে লোকজন পার হয়ে এলেও অবৈধভাবে অনেকে সীমান্ত দিয়ে গোপনে জয়পুরহাটে প্রবেশ করতে পারে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের বিশেষ সতর্কতা ও কঠোর নজরদারি প্রয়োজন বলে মনে করছেন জয়পুরহাট জেলাবাসী।

এদিকে করোনা সংক্রমণের হার আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাওয়ায় সোমবার জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে জেলা করোনা সমন্বয় কমিটির এক সভা জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওষুধ ও খাবারের দোকান ছাড়া জেলার সকল দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রাত ৮টার পর বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে