শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সমন্বিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীর প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিত জরুরি

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৯ জুন ২০২১, ২১:২২

কিশোর-কিশোরীর প্রতি সহিংসতা এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ কৈশোরকালীন মানসিক বিকাশ একটি সুস্থ জাতি গঠনে সাহায্য করে। এ জন্য কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত জরুরি। যা বস্তাবায়নে উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা, স্কুল হেলথ ক্লিনিক কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করাসহ তৃণমূল পর্যায়ে সমন্বিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিতে গুরত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি আরবান প্রাইমারি হেল্থ কর্মসূচির আওতায় কিশোর-কিশোরীর প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

শনিবার সকালে পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনালের ইউএসএইড সুখী জীবন প্রকল্পের আর্থিক এবং কারিগরি সহযোগিতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন লাইট হাউস কর্তৃক বাস্তবায়িত সুখী জীবন প্রকল্পের আয়োজনে জুম প্লাটফর্মের মাধ্যমে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বাবা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ রিপোর্টার্স হেল্থ ফোরামের সঙ্গে আলোচনায় তরুণ যুবা এবং কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্যবান্ধব সেবার বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ করণীয় তুলে ধরা হয়।

আলোচনার শুরুতে লাইট হাউসের প্রধান নির্বাহী হারুন-অর-রশিদ মূল বক্তব্য তুলে ধরে সূচনা বক্তব্য রাখেন। পাশাপাশি পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনালের সুখী জীবন প্রকল্পের এডোলসেন্টস অ্যান্ড ইয়ুথ স্পেশালিস্ট ডা. ফাতেমা শবনম বলেন, কিশোর-কিশোরীর মানসিক স্বাস্থ্য, কিশোর-কিশোরীর প্রতি সহিংসতার কারণ এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ কৈশোরকালীন মানসিক বিকাশে বাবার সম্পৃক্ততার বিষয়টি তুলে ধরেন।

এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবার-পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (মা ও শিশু) ও লাইন ডিারেক্টর (এমসিআর এএইচ) ডা. মোহাম্মদ শরীফ। গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন এবং কিশোর-কিশোরীর মানসিক বিকাশে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, কিশোর-কিশোরীদের উন্নয়নসহ সামগ্রিক বিষয়ে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে। সামনের দিনেও গণমাধ্যম এই ধারা অব্যাহত রাখবে বলেও অভিমত ব্যাক্ত করেন তিনি। কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়, সমন্বিতভাবে সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

আলোচনাকালে বক্তারা সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে কিশোর-কিশোরীর ভূমিকায় মা-বাবার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে তুলে ধরেন। কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে একটি উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা, স্কুল হেলথ ক্লিনিক কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করাসহ তৃণমূল পর্যায়ে এ কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া, আববান প্রাইমারি হেল্থ কর্মসূচির আওতায় কিশোর-কিশোরীর প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করারও দাবিও জানান বক্তারা।

পাশাপাশি আলোচনায় কিশোর-কিশোরীরা যেসব ঝুঁকির সম্মুখীন হন, বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন এবং এক্ষেত্রে বাবার ভূমিকা, কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যবান্ধব সেবায় চ্যালেঞ্জ এবং স্বাস্থ্যসেবায় সরকারি পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়।

চ্যালেঞ্জ উত্তরণে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এবং গাজীপুর জেলায় কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে যারা সেবার বাইরে রয়েছে তাদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার প্রাপ্তির লক্ষ্যে সেবা বৃদ্ধিকরণে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে লাইট হাউস সুখী জীবন প্রকল্প। অ্যাডভোকেসি সভা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহারের মাধ্যমে সংলাপ, এসএমএস-এর মাধ্যমে প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিতে উদ্যোগ, কিশোর-কিশোরীর মানসিক বিকাশে কাউন্সেলিং এবং অনলাইনে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের আয়োজনসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে লাইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

যাযাদি/এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে