​মাদকের আগ্রাসন কমাতে সর্বক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট জরুরি: শামসুল হক টুকু

প্রকাশ | ২৫ জুন ২০২১, ১৮:০১

যাযাদি রিপোর্ট

 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি সভাপতি মো. শামসুল হক টুকু বলেছেন, মাদকের আগ্রাসন কমাতে সর্বক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট জরুরি। মাদকের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে সরকার ডোপ টেস্টের উপর জোর দিয়েছে। এই ডোপ টেস্টকে সর্বস্তরে প্রয়োগ করা প্রয়োজন।

 

তিনি বলেন, শিক্ষা জীবন থেকে শুরু করে একজন ব্যক্তির চাকুরীতে প্রবেশ পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রে যদি ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়, তবে মাদকের আগ্রাসন অনেকটাই কমে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

 

আহ্ছানিয়া মিশন মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের উদ্যোগে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যববহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে এক অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

 

‘মাদক নিয়ে হই সচেতন, বাঁচাই প্রজন্ম, বাঁচাই জীবন’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত এই অনলাইন আলোচনায় মো. শামসুল হক টুকু আরও বলেন, বাংলাদেশ বৈশ্বিক মাদকের প্রকোপ থেকে মুক্ত নয়। একারণে তরুণ সমাজ মাদকের ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত। ফলে মাদকের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে আমাদের প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। মাদক যে একটি সমাজ ও একটি দেশকে ধ্বংস করে দেয় সে ব্যাপারে কারো কোন দ্বিমত নেই। তাই মাদকের আগ্রাসন রুখতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

 

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আহছানুল জব্বার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুরক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ইশরাত চৌধুরী।

 

মূল বক্তা ছিলেন, কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের আবাসিক মনোচিকিৎসক ডা. রায়হানুল ইসলাম। এছাড়া আলোচক ছিলেন ক্রাইম রিপোর্টাস এসোসিয়েশনের ট্রেজারার এমদাদুল হক খান ও হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ।

 

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী ও অনুষ্ঠান আয়োজক সংস্থা আহ্ছানিয়া মিশন মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

 

প্রসঙ্গত, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ মাদকবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই কার্যক্রমে সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি, মাদকনির্ভরশীলদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন এবং একই সঙ্গে আইনের সঠিক বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের নীতিনির্ধারনী পর্যায়ে এডভোকেসী করছে।

 

যাযাদি/ এমডি