গাংনীতে নমুনা দিতে আসা রোগীরা মানছে না স্বাস্থ্যবিধি

প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০২১, ১৮:২৯

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলায় বিপুল সংখ্যক মানুষের শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দিয়েছে। সর্দি, কাশি, জ¦র ও গলা ব্যথাসহ নানা অসুখে ভুগছেন মানুষ। তাই করোনা পরীক্ষার চাপ পড়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। অব্যাহত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। অপরদিকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও মিলছে না কাক্সিক্ষত নমুনা পরীক্ষা। নমুনা দিতে এসে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনা সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ছে। হাসপাতালে এসে অনেকে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

জানা গেছে, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা পরীক্ষা চলছে। প্রতিদিনই শত শত মানুষ ভিড় করছেন নমুনা প্রদানের লক্ষ্যে। বিশেষ করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল ও গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় বেশি।

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দিতে আসা মানুষের তালিকা প্রস্তুত ও ডাটা এন্ট্রি করছেন স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান। তিনি একটি কক্ষে বসে কাজটি করছেন। তবে তার সামনে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন কয়েকশ মানুষ।

 

এমন পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে কি না ? এমন প্রশ্নের উত্তরে মশিউর রহমান বলেন, আমি নিজেই কখন আক্রান্ত হব সেই আতঙ্কে আছি। মানুষ তো কথা শোনে না। গায়ের উপরে চলে আসে।

 

নমুনা পরীক্ষার সংখ্যার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিন ৬০-৭০টি নমুনা নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেকই পজিটিভ হচ্ছেন।

 

নমুনা দিতে আসা গাংনী থিয়েটারের সদস্য ইমরান হাবীব ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘তিন দিন ধরে ঘুরেও নমুনা দিতে পারিনি। নমুনা পরীক্ষায় জনবল কম থাকায় এই ভোগান্তির সঙ্গে সঙ্গে সংক্রমণও বেড়ে যাচ্ছে।

 

 তেরাইল জোড়পুকুরিয়া ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আরিফুল ইসলাম নমুনা দিতে এসে সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার থেকে ঘুরে ঘুরে শনিবার সকাল ৮টার দিকে এসে অপেক্ষা করেছি দুই ঘণ্টা। এই দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো সুযোগ নেই। কয়েকশ মানুষ একসঙ্গে নমুনা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। হাসপাতালে মানুষের বসার জায়গা তো দূরে থাক দাঁড়ানোর জায়গাও থাকছে না।

 

জানা গেছে, গেল সপ্তাহ থেকে গাংনী হাসপাতালে আউটডোরে ৩০০-৪০০ রোগী সেবা নিতে আসছেন। এদের বেশির ভাগের করোনা উপসর্গ রয়েছে। রোগীদের অব্যাহত এই চাপ সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষের। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক নেই। তাই যারা কমরত আছেন তাদের পক্ষে এত পরিমাণ রোগীর সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

 

এ প্রসঙ্গে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এমকে রেজা জানান, হাসপাতাল এলাকার মধ্যে আলাদা জায়গায় নমুনা নেওয়ার ব্যবস্থার বিষয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

যাযাদি/এস