শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জনবল সংকটে লালমোহন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত

লালমোহন প্রতিনিধি
  ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:৩০

লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার হলেও পর্যাপ্ত জনবল সংকটে চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। প্রতিষ্ঠানটিতে ২১জন চিকিৎসকের মধ্যে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ১০ জন, একজন অন্যত্র ডেপুটেশনে রয়েছেন।

করোনার নমুনা সংগ্রহসহ আউটডোরে প্রতিদিন প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ রোগী দেখা এবং মা ও শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রে সেবা দিতে গিয়ে বিপাকে পড়ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, ২০১১ সালে হাসপাতালটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। তবে পর্যাপ্ত জনবল সংকটের অভাবে ৩১ শয্যা মানের জনবল দিয়েই কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে করোনা রোগীদের জন্য একটি ইউনিটে ২০ বেড সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। আগে সেখানে ৩-৪ জন করোনা রোগী থাকলেও বর্তমানে মাত্র একজন রোগী ভর্তি রয়েছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে এ পর্যন্ত এখানে ২ হাজার ২৮৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। করোনার শুরু থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪০ হাজার ২০০ জনকে করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২৯হাজার ৭২১জন এবং দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৭৯জন। তবে এ পর্যন্ত কত ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে আর কত ভ্যাকসিন মজুত আছে তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করলেও টিকা প্রদান কার্যক্রম চলমান দেখা গেছে।

এদিকে চিকিৎসকের স্বল্পতায় প্রায় সব বিভাগেই ভুক্তভোগীরা যথাযথ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটিতে এক্স-রে মেশিন থাকলেও দীর্ঘদিন অপারেটরের পদটি শূন্য থাকায় একদিকে যেমন মেশিনটি নষ্ট হওয়ার উপক্রম, অন্যদিকে রোগীরাও সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিনজন চিকিৎসকসহ, চার নার্স ও ছয়জন কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সদের ক্ষোভ, করোনায় আক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো আর্থিক সহায়তা পাননি তারা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার মহসিন খাঁন জানান, এখানে অক্সিজেনের কোনো সংকট নেই, তবে আইসিইউরও কোনো ব্যবস্থা নেই।

তিনি আরও বলেন, মেডিকেল অফিসার পদে যেকজন প্রয়োজন প্রতিটি পদে জনবল রয়েছেন। তবে কনসালটেন্ট পদের প্রতিটি পদ খালি। শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ, গাইনী, অর্থপেডিক্স, নাক, কান, গলা ও হার্টের কোনও কনসালটেন্ট নেই। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমানে নার্স না থাকায় চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ডাক্তার-নার্সসহ অর্ধেক জনবল সংকট, ৫০ শয্যার হয়েও ৩১শয্যর জনবল এবং এক্স-রে মেশিনের অপারেটর না থাকায় লালমোহন উপজেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষ কাঙ্খিত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে