মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

​ ঝিনাইগাতী সদর হাসপাতালে রোগীর দীর্ঘলাইন : ডাক্তার সংকটে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত

গোলাম রব্বানী-টিটু, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) সংবাদদাতা
  ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২০:৩৯

আজ শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর হাসপাতালে রোগীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। ডাক্তার সংকটে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিন।

উপজেলার আড়াই লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র অবলম্বন ঝিনাইগাতী সদর হাসপাতালটি। ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও চিকিৎসেবার কোনো উন্নতি হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে সাধারণ মানুষের। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখতে গেলে ডাক্তার সংকটে অনেক রোগী লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ভর্তিকৃত রোগীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে ।

আবার অনেকেই কর্মস্থলে থাকলেও তারা বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে কর্মস্থলে বসতে দেখা গেছে। ডা. মায়া হোড় কর্মস্থলে দুপুর ১২টায় বসলেও ১ থেকে দেড় ঘণ্টা রোগী দেখে চম্পট দেন বলে অভিযোগ রয়েছে । হাসপাতালে ১৭ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও কর্মরত ৭ জন, তারমধ্যে ৩ জন ডিপুটেশনে ছুটিতে, একজন হাসপাতালের প্রধানকে নিয়ে ৪ জন সেবা প্রদান করে আসছেন। আর সেকমো ও ফার্মস্টিদের জোড়াতালি দিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে ।

বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক বরাদ্দ ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেও ঝিনাইগাতী জনবল সংকটের দোহাই দিয়ে চিকিৎসাসেবার মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। নার্স ১৫ জনের মধ্যে কর্মরত ১০ জন থাকলেও একজন শেরপুরে, দুজন মাতৃজনিত কারণে ৬ মাসের, একজন ছুটিতে এবং একজন জয়েন করেছেন। সাধারণ মানুষের অভিযোগ রয়েছে ডাক্তার যে কয়জন আছে তারাও চেম্বার নিয়ে ভেবে থাকেন বেশি, হাসপাতাল থেকে রোগীকে চেম্বারে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে । আবার কোম্পানি এমআরদের জন্যে কর্মস্থলে একটা সময় পার করতে হয় সরকারি চেম্বারে। এই সময়ে কিছু রোগী সেবা থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার প্রহর গুনতে হয়।

অপর দিকে, কোভিড-১৯ শুরু থেকে আজ পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা এখন হ্রাস পেলেও নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ডা. আসফিয়া দাবি করে বলেন, ‘সর্বমোট ৪২৯ জন আক্রান্ত, সুস্থ ৪১৪ জন, হোম আইসোলেশনে ২৪ জন সদর হাসপাতালে একজন ও মৃত্যু ৮ জনের হয়েছে। কোভিড-১৯ আক্রান্ত হোম আইসোলেশনে থাকা কোনো রোগীর খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, ডাক্তার সংকট জনবলের অভাবে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে আমরা কয়েকজন মিলে হিমশিম খাচ্ছি। ওপর মহলে এর চাহিদা মেটানোর জন্যে বার বার লেখলেও তা কাজ হচ্ছে না বলে জানান। উপজেলার ভুক্তভোগী জনসাধারণ ডাক্তারের সংকট নিরসন ও চিকিৎসাসেবা আরও উন্নত করাসহ মানুষের সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান রাখেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি ।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে