বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এ বছরেই করাচির ক্যান্সার হাসপাতাল চালুর ঘোষণা ইমরান খানের

যাযাদি ডেস্ক
  ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৫২
ছবি: সংগৃহীত

ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান। দেশটি বিদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ডলার সংকটে বাণিজ্যে বাধার সৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থার মধ্যেও চলতি বছরেই করাচিতে নির্মাণাধীন শওকত খানম ক্যান্সার হাসপাতাল চালুর ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

সামাজিক মাধ্যমে রোববার এক পোস্টে ইমরান খান বলেন, নির্মাণ শিল্পের মুখোমুখি সব চ্যালেঞ্জ এবং ক্যান্সার যন্ত্র আমদানীতে অসুবিধা সত্ত্বেও শওকত খানম করাচি মাশাল্লাহ এই বছরের শেষের দিকে চালু হবে। করাচির শওকত খানম মেমোরিয়াল ট্রাস্ট লাহোরের হাসপাতালের দ্বিগুণ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন হবে। এছাড়া হাসপাতালটি সর্বাধিক ক্যান্সারজনিত (নির্ণয় এবং চিকিত্সা) সরঞ্জামগুলোতে সজ্জিত হবে।

দুরারোগ্য ক্যান্সারের কারণে নিজের মাকে হারিয়েছেন ইমরান খান। চেষ্টা করেও মাকে বাঁচাতে পারেননি তিনি। তাই মায়ের স্মৃতিতে তিনি তৈরি করেন পাকিস্তানের প্রথম ক্যান্সার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। নাম শওকত খানম মেমোরিয়াল ক্যান্সার হাসপাতাল। ১৯৯৪ সালে লাহোরে গড়ে ওঠা এই হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ৬০০। এই হাসপাতালটির অনন্য বৈশিষ্ট্য হল, এখানে ৭৫ শতাংশ ক্যান্সার রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

শুধু লাহোরেই নয়, একইভাবে পেশোয়ারেও এই শওকত খানম মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অধীনে নির্মাণ করা হয় আরেকটি ক্যান্সার হাসপাতাল। এসব হাসপাতালের প্রায় ৭০ শতাংশ চিকিৎসাই হয় অসহায় দরিদ্রদের। যা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।

স্বপ্নপূরণের পেছনে প্রধান চালিকাশক্তি ছিল ইমরানের চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাস। ইমরান খান যখন সিদ্ধান্ত নেন তিনি পাকিস্তানে ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল তৈরি করবেন তখন অনেকেই বিশ্বাস করেনি। কিন্তু তিনি দমে যাননি। মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানের লাহোরে প্রতিষ্ঠা করেন ‘শওকত খানম মেমোরিয়াল ক্যান্সার হসপিটাল এবং গবেষণা কেন্দ্র।

ইমরান খানের শুভাকাঙ্ক্ষীরা জানান, তিনি ক্রিকেটার হিসেবে সফল ছিলেন। যখন ক্যান্সার হাসপাতাল করার উদ্যোগ নিলেন, সবাই বলেছিল হাসপাতাল সম্ভব না। কিন্তু সেটি তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন। রাজনীতিতে আসার পর তাকে অনেক বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। কিন্তু তিনি ঝুঁকি নিয়েছিলেন। সেসব বাঁধা উপেক্ষা করে তিনি হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করেছেন।

এই হাসপাতালের তৃতীয় শাখা নির্মাণ করা হচ্ছে করাচিতে। সেই হাসপাতালটিই চলতি বছরের মধ্যে চালু হওয়ার কথা জানালেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে