বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারি হাসপাতালে ‘প্রাইভেট চেম্বার-ফি’ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই হয়নি

যাযাদি ডেস্ক
  ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:৪৪

আগামী মার্চের শুরু থেকে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা অফিস সময়ের পর সেখানেই চেম্বার করতে পারবেন। অর্থাৎ, সরকারি চিকিৎসকরা যেখানে বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল বা ফার্মেসিতে রোগী দেখতেন, তা না করে কর্মরত প্রতিষ্ঠানেই রোগী দেখার সুযোগ পাচ্ছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বরাত দিয়ে পত্র-পত্রিকায় এ বিষয়ে সংবাদও প্রকাশ হয়। কিন্তু সরকারি চিকিৎসকদের চেম্বার কিংবা ফি নির্ধারণে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সংশ্লিষ্ট কমিটি এখনও এ ব্যাপারে কাজ করছে।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ‘মার্চ থেকে চেম্বার, সর্বোচ্চ ফি ৩০০ টাকা’, ‘৩০০ টাকায় পরামর্শ দেবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক’ এরকম নানা শিরোনামে যে সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছে তাতে জনমনে নানারকম বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।

প্রকৃতপক্ষে, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকরা নিজ কর্মপ্রতিষ্ঠানে নির্ধারিত সময়ের বাইরে আলাদা চেম্বার করার বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে একটি কমিটি কাজ করছে। কমিটির কাজ এখনও চলমান। এখন পর্যন্ত কোনো চিকিৎসকের ফি ৩০০ টাকা বা ১৫০ টাকা হবে কিনা সেটি ঠিক করা হয়নি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কতটি হাসপাতাল বা সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এমন কার্যক্রম চালু করা হবে সে বিষয়েও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে কমিটি বিভিন্ন পর্যায়ে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। পরবর্তীতে সেটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানানো হবে।

সরকারি হাসপাতালে আলাদা চেম্বার করা বা ফি নির্ধারণ করা কিংবা কোন কোন হাসপাতালে এ ব্যবস্থা চালু হবে, এসব তথ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত প্রচার না করতেও বিবৃতির মাধ্যমে অনুরোধ করা হয়েছে।

এর আগে গত ২২ জানুয়ারি সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্মেলনে কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, চলতি বছরের মার্চ থেকে নিজ কর্মস্থলেই অতিরিক্ত সময়ে প্রাইভেট রোগী দেখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে সরকারি চিকিৎসকদের। তারা যে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সেখানে বসেই রোগী দেখতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, কর্মস্থলে রোগী দেখার ক্ষেত্রে ডাক্তারদের কি কি সুবিধা-অসুবিধা আছে তা নিয়ে আমরা বিশদ আলোচনা করেছি। ডাক্তাররা কোথায় বসবেন, তাদের ফি কত হবে, কারা কারা কতক্ষণ রোগী দেখবেন সব বিষয়ে আমাদের কথা হয়েছে। এ বিষয়ে টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, স্বাধীনতার মাস মার্চ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস শুরু হতে পারে। এ সংক্রান্ত পাইলট প্রজেক্ট বাস্তবায়ন শুরু হবে। পঞ্চাশটি উপজেলা, ২০টি জেলা ও পাঁচটি মেডিকেল কলেজ নিয়ে এ কার্যক্রম করা হবে।

এরপরই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশিত হয়।

যাযাদি/এস এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে