পূর্বধলায় আশংকাজনক হারে বাড়ছে চর্মরোগ
প্রকাশ | ০৬ মার্চ ২০২৫, ১৪:৪৬

নেত্রকোনার পূর্বধলায় আশংকা জনকহারে বাড়ছে চর্মরোগ। ছোট, বড়, বৃদ্ধ সবাই আক্রান্ত হচ্ছে এই রোগে। আক্রান্ত এসব রোগীরা প্রতিনিয়ত স্থানীয় হাসপাতাল, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও পল্লী চিকিৎসকদের দারস্থ হচ্ছেন চিকিৎসা নিতে। হঠাৎ করে এমন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় নানা জনে নানা মন্তব্য করছেন। কেউ কেউ বলছেন, করোনার টিকার প্রভাবে এমনটি হতে পারে। আবার কেউ কেউ বলছেন স্ক্যাবিসে আক্রান্ত হয়ে সংক্রমনের মত ছড়িয়ে পড়েছে ছোঁয়াচে এ চর্ম রোগ।
আক্রান্ত একাধিক রোগীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ত্বকে প্রচণ্ড চুলকানি হয়। পরে লাল ফুসকুড়ি ও পানি ফুসকুড়ি দেখা যায়। এ সময় অধিক চুলকাতে গিয়ে গায়ে ক্ষত সৃষ্টি হচ্ছে। গোসল করার সময় চুলকানি স্থানে পানি পড়লেই শরীরে জ¦ালা সৃষ্টি হচ্ছে। সারা শরীরে এমন রোগ দেখা দেওয়ায় অস্থিরতায় ভোগছের ভুক্তভোগীরা। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন।
রুহুল আমিন নামে একজন লিখেছেন এ চুলকানির সমস্যা আমার আগে ছিলনা। করোনার টিকা নেওয়ার কয়েকমাস পর থেকেই এ সমস্যায় ভুগছি।
বিশকাকুনী ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহিদুল আলম মামুন বলেন, পরিবারের সকল সদস্যই এই চুলকানি রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে ছিলাম। পরে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা খরচ করে চিকিৎসা নিয়ে এখন সুস্থ হয়েছি। সুজাত সরকার নামে আর এক ভুক্তভোগী বলেন, চুলকাইতে চুলকাইতে সারা শরীরে বড় বড় ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। অনেক চিকিৎসকের চিকিৎসা নিয়ে ঔষধ সেবন করছি কিন্তু কোন উন্নতি হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (৬মার্চ) পূর্বধলা হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে চুলকানি রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য জরুরী বিভাগে প্রচুর রোগী ভীর করছেন। এসব রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হলেও হাসপাতাল থেকে ঔষধ দেওয়া হচ্ছে না।
পূর্বধলা হাসপতালের আবাসিক চিকিৎসক (আর.এম.ও) বিশ্বপ্রিয় মজুমদার বলেন, বর্তমানে চুলকানি রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন প্রচুর রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। আর এসব চর্মরোগের প্রায় ৮০ভাগ হলো স্ক্যাবিসে আক্রান্ত। আর স্ক্যাবিস হলো ক্ষুদ্র অণুজীবের সংক্রমণে তৈরি হওয়া ছোঁয়াচে চর্মরোগ। করোনার টিকা নেওয়ার প্রভাবে এমনটা হচ্ছে না বলে তিনি জানান।
এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের প্রতি পরামর্শ হলো ছোঁয়াচে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর আক্রান্ত ব্যক্তিকে অন্যদের থেকে আলাদা রাখা, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং দ্রæত চিকিৎসা নিশ্চিত করা। হাসপাতাল থেকে ঔষধ না দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, রোগী সংখ্যা বেশি থাকায় এবং পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহ না থাকায় এই রোগের ঔষধ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
যাযাদি/ এমএস