পৃথিবীর পথে চাঁদের মাটি

প্রকাশ | ০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১৪:৪১

যাযাদি ডেস্ক

চাঁদের মাটি ও পাথর নিয়ে পৃথিবীর পথে রওয়ানা হয়েছে চীনের পাঠানো চন্দ্রযান চ্যাংই-৫। বৃহস্পতিবার চন্দ্র পৃষ্ট ছেড়ে মূলযানে যোগ দেয় অ্যাসেন্ডার। গত মঙ্গলবার ল্যান্ডার চাঁদের মাটিতে অবতরণ করে । এর পরপরই পৃথিবীতে ছবি পাঠানোর জন্য নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করে। এর জন্য চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে মহাকাশযানটি। এরপর বৃহস্পতিবার পৃথিবীতে ফিরে আসার কাজ শুরু  হয়।

 

এর আগে ১১২ ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে চাঁদে পৌছায় চীনা চন্দ্রযানটি । বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে চীনের হাইয়ান প্রদেশ থেকে পাঠানো চন্দ্রযানটি একটি রকেটে করে উৎক্ষেপণ করা হয়। ১১২ ঘণ্টার যাত্রা শেষে চন্দ্রযানটি শনিবার পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে। এরপর গতকাল মঙ্গলবার চীনা স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১১ মিনিটে চাঁদের কাছে অবতরণ করে।

 

জানা গেছে, চন্দ্রপৃষ্ঠে নামার পর চন্দ্রযানটি দুই কিলোগ্রাম নমুনা সংগ্রহ করে একটি কন্টেইনারে আবদ্ধ করে রাখে। এই মহাকাশযানে একটি অর্বিটার ও চন্দ্রযানকে চাঁদের পিঠে নামানো ও ফিরিয়ে আনা সক্ষমতার দুটি রোবট (বিশেষ যান) রাখা হয়েছে। কাজ শেষে মানুষবিহীন ওই চন্দ্রযান ৩ লাখ ৮০ হাজার কিলোমিটার দূরে চাঁদের কক্ষপথে অবস্থান করা মূল মহাকাশযানে ফিরবে। তরপর পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

 

দীর্ঘ ৪০ বছরের মহাকাশ গবেষণায় চীনই প্রথম চন্দ্রযান পাঠালো। এতে সফল হলে আমেরিকা, রাশিয়ার পর চীনই হবে বিশ্বের তৃতীয় দেশ, যারা চাঁদ থেকে পাথর আনবে। গত জুলাইয়ে তারা মঙ্গলে মহাকাশযান পাঠিয়েছে। ২০২২ সালে চীন মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে। ২০২৯ সালে হবে তাদের বৃহস্পতি অভিযান। কিন্তু তার আগেই রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে চীন।

 

চীনের সবচেয়ে বড় রকেট লং মার্চ ৫ থেকে পাঠানো হয়েছে মহাকাশযানটি। আট হাজার ২০০ কেজি ওজনের মহাকাশযানটি  চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছবার পর শুরু করেছে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের কাজ। সব কিছু ঠিক থাকলে ২৩ দিন পরে তা আবার ফিরে আসবে পৃথিবীতে।

 

যাযাদি/এমএস/২:২৮