ফরিদপুরে হচ্ছে দেশের ১ম মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র

প্রকাশ | ১১ জানুয়ারি ২০২১, ১৪:৩৭

যাযাদি ডেস্ক

বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মহাকাশ বিজ্ঞান চর্চার নতুন একটি ক্ষেত্র তৈরি করতে যাচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। প্রকল্পের আওতায় জনসাধারণের জন্য মহাকাশ পর্যবেক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

 

মহাকাশ বিজ্ঞান চর্চা উৎসাহিতকরণ, শিক্ষাবান্ধব বিনোদনের মাধ্যমে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি, গবেষণা, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। এটি বাস্তবায়ন হবে ফরিদপুরের ভাঙ্গায়।

 

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ। এটি তৈরি হবে ফরিদপুরের ভাঙ্গায়। প্রকল্পটি মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) একনেক সভায় উস্থাপন করা হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ২১৩ কোটি টাকা। প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদনের পর ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে। 

 

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ভাঙ্গায় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র স্থাপন’ করা হবে। প্রকল্পটি একনেক সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। আমি আশা করছি, প্রকল্পটি নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়িত হবে। সঠিক সময়ে স্বচ্ছভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে নানা উদ্যোগ নেওয়া হবে। 

 

কর্কট ক্রান্তি রেখা ও ৯০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমার সংযোগস্থল ফরিদপুরের ভাঙ্গায়। এখানে একটি মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র স্থাপন করলে টেলিস্কোপে বাংলাদেশ থেকেই মহাকাশ পর্যবেক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

 

ভাঙ্গায় জমি অধিগ্রহণ, অফিস ভবন, অবজারভেটরি টাওয়ার, অফিসার্স কোয়ার্টার, সার্ভিস ভবন এবং পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশনের কাজ করা হবে এখানে। 

 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশের সামগ্রিক অগ্রগতি বেগবান করতে একটি বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গড়া একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে দেশের বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক কারণে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি তরুণ প্রজন্ম অনাগ্রহী হয়ে উঠছে। দেশে বিজ্ঞানী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিষয়ে বোধগম্যতা ও জ্ঞানের বড় ব্যবধান রয়েছে। প্রকল্পের মাধ্যমে মহাকাশ বিজ্ঞান চর্চার নতুন একটি ক্ষেত্র তৈরি হবে। 

 

প্রস্তাবিত কেন্দ্রে সাধারণ জনগণের জন্য থাকবে বিভিন্ন ধরনের মহাকাশ বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়ার্কশপ ও প্রশিক্ষণের সুযোগ। এছাড়া এখানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রনমি বা অ্যাস্ট্রফিজিক্স অলিম্পায়াডে অংশগ্রহণকারীদের জন্য উপযোগী প্রশিক্ষণ ক্যাম্প আয়োজনের সুযোগ থাকবে। এমফিল, পিএইচডি গবেষকদের জন্য থাকবে মহাকাশ বিজ্ঞানে গবেষণার সুযোগ।

 

যাযাদি/ এমএস