বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মহাকাশে লেজার রশ্মির স্থিতিশীলতায় নতুন রেকর্ড

যাযাদি ডেস্ক
  ২৮ জানুয়ারি ২০২১, ১৪:৫১

বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে একটি লেজার সংকেতের সর্বাধিক স্থিতিশীল সম্প্রচারের নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর রেডিও অ্যাস্ট্রোনমি রিসার্চ (আইসিআরএআর) এবং ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ইউনিভার্সিটির (ইউডাব্লিউএ) বিজ্ঞানীরা। উন্নত স্ব-নিয়ন্ত্রিত অপটিক্যাল টার্মিনালের পাশাপাশি, 'পর্যায়ক্রমিক স্থিতিশীলতা' প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আগের রেকর্ডটি ভেঙেছেন এই বিজ্ঞানীরা।

গবেষণা কেন্দ্র এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থী, বেঞ্জামিন ডিক্স-ম্যাথিউস বলেন, “আমরা ৩য় ডায়মেনশনে, অর্থাৎ, বাম-ডান, উপর-নীচ এবং গুরুত্বপূর্ণভাবে বিমান চলাচলের রেখা বরাবর বায়ুমণ্ডলীয় আলোড়ন সংশোধন করতে পারি।”

তিনি বলেন, “এর সাহায্যে আমরা মূল সংকেতের গুণগত মান বজায় রেখে বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত স্থিতিশীল লেজার সংকেত প্রেরণ করতে পারি। এর ফলে মনে হয় যে, চলমান পরিবেশটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে, এবং এর কোনো অস্তিত্ব নেই।”

এই উদ্ভাবনের অর্থ হল, বায়ুমণ্ডলীয় হস্তক্ষেপ ছাড়াই এখন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে লেজার সংকেতগুলো প্রেরণ করা যাবে। ফলস্বরূপ, বর্তমানের তুলনায় অধিক দক্ষতার সঙ্গে উপগ্রহ এবং পৃথিবীর মধ্যে অধিক পরিমাণ তথ্য আদান প্রদান করা সম্ভব হবে।

দলটির প্রবীণ গবেষক ড. স্যাশা স্কিডিউই বলেন, “আমাদের প্রযুক্তিটি মাত্রার পরিমাণের উপর ভিত্তি করে উপগ্রহ থেকে ভূপৃষ্ঠে পাঠানো ডেটার হার বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে।”

“পরের প্রজন্মের বড় ডেটা সংগ্রহকারী উপগ্রহগুলো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আরো কম সময়ে ভূপৃষ্ঠে পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে।”

এই প্রযুক্তিটির আরেকটি সুবিধা হল, দুটি পৃথক অবস্থানের মধ্যে সময়ের প্রবাহকে তুলনা করার জন্য এটি বিশ্বের সবচেয়ে নিখুঁত মাধ্যম।

ড. স্কিডিউই বলেন, “এই অপটিক্যাল টার্মিনালগুলোর একটি যদি মাটিতে থাকে এবং মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহতে আরেকটি থাকে, তাহলে আপনি মৌলিক পদার্থবিজ্ঞান সম্পর্কে খোঁজ শুরু করতে পারবেন।”

তিনি যোগ করেন, “আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্বকে আগের তুলনায় আরো সুনির্দিষ্টভাবে পরীক্ষা করা থেকে শুরু করে, সময়ের সঙ্গে মৌলিক পদার্থের ধ্রুবক পরিবর্তন হয় কিনা তা আবিষ্কার করা পর্যন্ত সবকিছুই অধ্যয়ন করা যাবে।”

প্রযুক্তিটি ভূতাত্ত্বিক-বিজ্ঞান এবং ভূ-পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণায়ও ব্যবহার করা যেতে পারে। যার ফলে, উপগ্রহগুলোর সাহায্যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জলের সারণির পরিবর্তন সম্পর্কে অধ্যয়ন, কিংবা ভূগর্ভস্থ আকরিক কীভাবে জমা হয় তার সন্ধান করা যেতে পারে।

পর্যায়ক্রমিক স্থিতিশীলতা প্রযুক্তিটি মূলত স্কোয়ার কিলোমিটার অ্যারে টেলিস্কোপের জন্য আগত সংকেতগুলোর সমন্বয় করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এটি কয়েক বিলিয়ন ডলারের একটি টেলিস্কোপ, যা ২০২১ সালে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় নির্মিত হবে।

সূত্র: ইন্ডেপেনডেন্ট

যাযাদি/ এমএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে