ভার্চুয়াল মুদ্রার পক্ষে ইলন মাস্ক

প্রকাশ | ২৩ মে ২০২১, ১৮:৪২

যাযাদি ডেস্ক

নিজের কোম্পানিতে বিটকয়েনের ব্যবহার বাদ দিলেও এই ধরনের মুদ্রার প্রতি নিজের আস্থার কথা জানিয়েছেন ইলন মাস্ক।

 

এক টুইটের জাবে মাস্ক বলেন, প্রচলিত মুদ্রা বনাম ক্রিপ্টো। দাড়িপাল্লায় ওঠালে আমার সমর্থন পরেরটার দিকেই যাবে।’

 

মাস্ক আগেও প্রচলিত মুদ্রা এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির তুলনা করেছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে টুইটও করেছেন তিনি এবং তার প্রভাব গিয়ে পড়েছে বিটকয়েন এবং বিভিন্ন ভার্চুয়াল মুদ্রার ওপরে।

 

গত ফেব্রুয়ারিতে টেসলা তার বিক্রি করা গাড়ির মূল্য বিটকয়েনেও নেবে এমন ঘোষণা দিয়ে প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলারের বিটকয়েন কেনে। এর পরপরই বিটকয়েন রেকর্ড মূল্যে পৌঁছায়।

 

ওই দাম ফের কমে আসে যখন মে মাসে গাড়ির মূল্য বিটকয়েনে নেওয়ার অবস্থান থেকে সরে আসে টেসলা। ওই ঘোষণাও ইলন মাস্কই দিয়েছিলেন।

 

যে কারণে বিটকয়েন বাদ দিয়েছেন মাস্ক: বিটকয়েন এমন একটি ডিজিটাল মুদ্রা যা জটিল গাণিতিক হিসাব সমাধানের মাধ্যমে সংখ্যায় অর্জন করতে হয়। এই হিসাবের পদ্ধতির নাম মাইনিং। হাজার-হাজার মাইনার দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা উচ্চ-ক্ষমতার বিশেষ কম্পিউটারের মাধ্যমে মাইনিং করেন। প্রতিযোগীদের আগে কে কী পরিমাণ অর্থের বিটকয়েন তৈরি করতে পারেন, সেই লড়াই চলে তাদের। এতে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ খরচ হয়।

 

এই প্রক্রিয়া অধিকাংশ সময় জীবাশ্ম জ্বালানি বিশেষ করে কয়লা দ্বারা উৎপাদিত বিদ্যুতের ওপর নির্ভর করে।

 

মাস্ক টুইটে লিখেছেন, ‘বিটকয়েনের জন্য জীবাশ্ম জ্বালানী বিশেষ করে কয়লার ব্যবহার যেভাবে দ্রুত গতিতে বাড়ছে, তাতে আমরা শঙ্কিত। ’

 

‘এই ধরনের মুদ্রা ভালো আইডিয়া…কিন্তু পরিবেশের জন্য মোটেও ভালো কিছু নয়।’

 

তিনি বলছেন, নিজের কোম্পানির অধীনে থাকা বিটকয়েনগুলো বিক্রি করবেন না। আরও টেকসই পদ্ধতিতে এনার্জি খরচ করে এর লেনদেন করা হবে।

 

বিটকয়েন মাইনারদের মধ্যে চীনাদের প্রভাব বেশি। পৃথিবীর ৭৫ শতাংশের বেশি বিটকয়েন মাইনিং হয় চীনে।

 

বিটকয়েনের কারণে চীনে যে পরিমাণ গ্রিন হাউজ গ্যাস উৎপন্ন হয়, তা দেশটির দশটি বড় শহরের প্রায় সমান!

 

বৃষ্টির মৌসুমে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে বিটকয়েন মাইনাররা কয়লা দিয়ে উৎপাদিত বিদ্যুৎ অনেক বেশি ব্যবহার করেন।

 

যাযাদি/এসআই