​ দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশের শীর্ষ স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি

প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০২১, ১২:১৭

যাযাদি ডেস্ক

 

 

চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বাংলাদেশের শীর্ষ স্মার্টফোন ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে রিয়েলমি। পাশাপাশি তরুণদের পছন্দের স্মার্টফোন সমীক্ষায় ২৫৮ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

 

সমপ্রতি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ক্যানালিসের এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে আসে। অন্যদিকে বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে দশ কোটি স্মার্টফোন বিক্রির মাইলফলক অর্জন করেছে রিয়েলমি।

 

বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিটিক্সের তথ্যানুসারে, ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনা মহামারীর মধ্যেও শক্তিশালী পারফরমেন্সের মাধ্যমে তিন বছরের মধ্যে রিয়েলমি বৈশ্বিক স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে দ্রুততম সময়ে এই মাইলফলক অর্জন করেছে।

 

গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডাট কর্পোরেশনের (আইডিসি) তথ্যানুসারে, রিয়েলমি চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড। বছর শেষে প্রতিষ্ঠানটির প্রবৃদ্ধির হার ১৪৯ শতাংশ।

 

ক্যানালিসের প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১৩টি বাজারে শীর্ষ- ৫ স্মার্টফোন নির্মাতার তালিকায় রয়েছে রিয়েলমি। পাশাপাশি, বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনে প্রথম স্থান, ভারত ও রাশিয়ায় চতুর্থ স্থান এবং ইউরোপ অঞ্চলে পঞ্চম স্থান দখল করেছে এই ব্র্যান্ড।

 

রিয়েলমি’র সিইও স্কাই লি বলেন, আগে তরুণদের প্রযুক্তি সম্পর্কিত অতিরিক্ত প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তারা কম সুবিধা পাচ্ছিলেন।

 

তিনি বলেন, রিয়েলমির ডেয়ার টু লিপ স্পিরিট তরুণ গ্রাহকের ট্রেন্ডসেটার হতে সাহায্য করেছে। তরুণেরা রিয়েলমির মাধ্যমে স্মার্টফোনের প্রতিষ্ঠিত শিল্পে প্রবেশ করেছেন এবং সব ধরনের সুবিধা উপভোগ করতে পারছেন।”

 

স্কাই লি বলেন, “রিয়েলমি’র জন্য বিগত তিন বছর ছিল উদ্যোগী প্রাণশক্তিতে এগিয়ে চলা এবং অভাবনীয় প্রবৃদ্ধির সময়। তরুণ গ্রাহকদের বিপুল সহায়তার জন্য ধন্যবাদ। তরুণদের জন্যই আমরা দশ কোটি স্মার্টফোন শিপিংয়ের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি এবং স্মার্টফোন বাজারে উল্লেখযোগ্য ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। আমরা সারা বিশ্বের তরুণ গ্রাহহকদের সাশ্রয়ী মূল্যে প্রিমিয়াম পারফরমেন্স এবং ট্রেন্ড-সেটিং ডিজাইনের স্মার্ট ডিভাইসেস সরবরাহ অব্যাহত রাখব।”

 

লি আরও বলেন, রিয়েলমির পরবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে দ্বৈত-১০০ মিলিয়ন লক্ষ্য অর্জন করা। এর অর্থ ২০২২ সালের মধ্যে আরও ১০ কোটি হ্যান্ডসেট শিপিং এবং ২০২৩ সালের মধ্যে আবারও একই মাইলফলক সম্পন্ন করা।

 

এই লক্ষ্য পূরণে, রিয়েলমি পণ্য বিকাশের এক বিশদ কৌশল গ্রহণ করেছে। সমপ্রতি বাজারে ‘ফ্ল্যাগশিপ-কিলার’ হিসেবে পরিচিত ফ্ল্যাগশিপ জিটি সিরিজের ডিভাইস নিয়ে এসেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মাধ্যমে রিয়েলমি পশ্চিম ইউরোপ এবং চীনের মতো বাজারে মধ্য থেকে উচ্চ স্তরের স্মার্টফোন বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রস্তুত।

 

প্রতিষ্ঠানটি আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সারা বিশ্বের গ্রাহকদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ এআইওটি (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও ইন্টারনেট অব থিংস) ইকোসিস্টেম তৈরির লক্ষ্য হাতে নিয়েছে। এজন্য, রিয়েলমি এর ১+৫+টি কৌশল উন্মোচন করেছে, যেখানে ১ হচ্ছে স্মার্টফোন, ৫ এর মানে ট্রু ওয়্যারলেস স্টেরিও ইয়ারফোন, ওয়্যারেবলস, টিভি, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ এবং টি মানে রিয়েলমির এআইওটি ব্র্যান্ড টেকলাইফ।

 

যাযাদি/ এমডি