চট্টগ্রামে বিজ্ঞান জাদুঘরের বর্ণাঢ্য বিজ্ঞান উৎসব

প্রকাশ | ২২ নভেম্বর ২০২১, ১৬:৪৪

যাযাদি ডেস্ক

 

গত তিনদিন চট্টগ্রামে (১৯, ২০ ও ২১ নভেম্বর) শুক্র, শনি ও রোববার উৎসবের আমেজে অনুষ্ঠিত হলো বিজ্ঞান জাদুঘরের আয়োজনে রোবট অলিম্পিয়াড, ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান প্রদর্শনী এবং আকাশের গ্রহ, নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ কর্মসূচি।

 

অনুষ্ঠানের প্রথম দিন (শুক্রবার) চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুলের ছাদে বসানো হয় বিজ্ঞান জাদুঘরের শক্তিশালী ২ টি টেলিস্কোপ এবং আনা হয় স্পেস অবজার্ভেটরী বাস। এখানে প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সাম্প্রতিক চন্দ্রগ্রহণ এবং আকাশের গ্রহ ও নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করে। দ্বিতীয় দিন (শনিবার) চট্টগ্রামের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান প্রেসিডেন্সী ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে অনুষ্ঠিত হয় রোবটিক অলিম্পিয়াড এবং সেমিনার। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী, প্রতিযোগী ও ক্ষুদে বিজ্ঞানী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।

 

 সেমিনারে চুয়েটের অধ্যাপক ড. কৌশিক দেব পেপার উপস্থাপন করেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী। এ দিন সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের লালখান পাহাড়ে অবস্থিত চট্টগ্রাম বালিকা সদন নামক এতিম খানার ২ শ শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করা হয় মহাকাশ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প। তারা এখান থেকে কোটি কোটি মাইল দূরের শনি, শুক্র ও বৃহস্পতি গ্রহ পর্যবেক্ষণ করে । উন্মুক্ত আকাশে মহাজাগতিক দৃশ্য দেখে আবেগে উদ্বোলিত হয় এতিম শিশুরা, যারা কখনো টেলিস্কোপে এসব দেখেনি। পরদিন (রোববার) বন্দর নগরীর কাতালগঞ্জ ক্যাম্পাসে অবস্থিত প্রেসিডেন্সী ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করা হয় ভ্রাম্যমাণ ৪ডি বিজ্ঞান প্রদর্শনী। শত শত শিক্ষার্থী এখানে বিজ্ঞানের অজানা রহস্য  অবলোকন করে।

 

 একইদিন চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের নিয়ে বিজ্ঞান শিক্ষার সংকট ও সম্ভাবনা নিয়ে বৈঠক করেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী। তিঁনি এ কলেজের ৪ টি বিজ্ঞান ল্যাবরেটরি পরিদর্শন করেন এবং এসবের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন। সন্ধ্যায় এ কলেজের মাঠে বসানো হয় বিজ্ঞান জাদুঘরের ২ টি শক্তিশালী টেলিস্কোপ। অংশ নেয় শত শত শিক্ষার্থী। তাদেরকে দেখানো হয় আকাশে অবস্থানরত শনি, শুক্র ও বৃহস্পতি গ্রহ।

 

অংশ নেয় কলেজের শিক্ষকরাও। এ কর্মসূচি সম্পর্কে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “বিজ্ঞানকে বই পুস্তকের মধ্যে সীমিত রাখার দিন শেষ। বিজ্ঞান জাদুঘর শিক্ষার্থীদের মনে উদ্ভাবনী চেতনা ও সৃজনশীলতা তৈরী করতে চায়। প্রতিটি উদ্ভাবন থেকে দেশের পরিবেশগত, অর্থনৈতিক ও  প্রশাসনিকক্ষেত্রে সুশাসনের পথ নির্দেশনা বের করে আনতে হবে।” 

 

যাযাদি/ এস