শিশু বাচ্চাদের হাতে বিশ্বের নামী দামী ব্যান্ডের মোবাইল। চোখগুলো মোবাইলের স্ক্রীনে আটকে আছে।
কেউ কার্টুন দেখছে, কেউ পাপজি আর ফ্রি ফায়ারে কাটাচ্ছে সময়। এই চিত্র সারা দেশের মত রায়গঞ্জের প্রায় বাড়ি বাড়ি। এমনকি বাজার হোটেল ক্যাফেতেও গেলেও হাতে থাকছে মোবাইল। এক হাত দিয়ে টেবিলের খাবার মুখে তুলছে তো অন্যহাত আটকে আছে মোবাইলের স্ক্রীনে।
এই অবস্থায় অভিভাকরা উদ্ধিগ্ন হয়ে পড়ছে। যে বয়সে হাতে থাকবে বই খাতা কলম সেই বয়সে হাতে উঠে এসেছে টাস ফোন।
উদ্ধিগ্ন অভিভাবকরা বলেন, মোবাইল ছাড়া নাওয়া খাওয়া কিছুই করেনা বাচ্চারা। হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিলেই কান্নাকাটি চলে। মাটিতে গড়াগড়ি করতে থাকে। আবার কোন কোন পিতা মাতা অনায়াসে সংসারের কাজ করার সুযোগ খুজতে গিয়ে শিশু সন্তানের কান্না থামাতে হাতে তুলে দিচ্ছে মোবাইল। সেখানে চলছে কার্টুন। ব্যস বাচ্চাটির কান্না থেমে গেলো।
এভাবেই এক প্রকার পিতা মাতার সহযোগীতায় শিশুদের মোবাইল আসক্তি দিন দিন বেড়ে চলেছে।
মোবাইল এদের হাতে কেন এই প্রশ্নের উত্তরে বাবু নামে এক অভিভাবক জানান, আমরা আমাদের প্রয়োজনে টাস মেবাইল চালাই, এটা দেখে দেখে তারাও হাত থেকে নিয়ে খেলতে, কার্টুন দেখতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। আর তাদের হাত থেকে মোবাইল নেয়া যায় না।
এছড়াও উঠতি বয়সী ছেলে মেয়েদের হাতে দামী ব্রান্ডের মোবাইল শোভা পাচ্ছে। তারাও বাড়ির আশ পাশ,গাছ তলা ঝোপঝাড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইল নিয়ে সময় কাটাচ্ছে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, করোনাকালীন সময়ে অনলাইনে ক্লাশ হবে এই কথা বলে কিস্তিতে মোবাইল কিনে দিতে হয়েছে। আজ তারা মোবাইলে আসক্তিতে ভুগছে। নাওয়া খাওয়া ভুলে মোবাইল নিয়ে বসে আছে ধ্যানে। এক পর্যায়ে তারা নীল ছবিতে ঢুকে পড়ছে। ক্ষয়ে ফেলছে সব।
বিজ্ঞজনেরা বলেন, এভাবে বাধাহীন চলতে থাকলে আগামীর ভবিষ্যৎ কতটা ভয়াবহ হবে তা বলা যাচ্ছে না।
যাযাদি/ এস