কৃষ্ণ সাগরে ‘টাইফুন’ তুরস্কের নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র 

প্রকাশ | ২৪ মে ২০২৩, ১০:৩১

যাযাদি ডেস্ক
তুরস্কের রিজে টাইফুনের পরীক্ষা চালানো হয়। ছবি: আনাদুলু এজেন্সি

বর্তমান বিশ্বে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বেশ ভালোই চলছে। বিশেষ করে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর এই প্রতিযোগিতা আরও কয়েক মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। 

এই অস্ত্র প্রতিযোগিতার প্রধান কারিগর যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেটা সবার জানা। তবে নতুন কয়েকটি দেশ এই প্রতিযোগতিা নাম লাগিয়েছে বেশ ভালোভাবে। তার অন্যতম তুরস্ক। এই দেশটি বেশ কয়েকবছর নিজেদের তৈরী ড্রোন বিক্রি করে ভালো অর্থ কামিয়েছে। বিশেষ করে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান যুদ্ধের পর থেকে জমে উঠে তুরস্কের ড্রোন বিক্রি। 

এই ড্রোনের ক্রেতা এশিয়া-আফ্রিকার দেশগুলো। সেই তুরস্ক এবার নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্রের নাম দেওয়া হয়েছে ‘টাইফুন’। তুরস্কের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রোকেতসান এটি তৈরি করেছে।

আনাদুলু এজেন্সি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মঙ্গলবার দেশটির কৃষ্ণ সাগর প্রদেশ রিজে স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র টাইফুনের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। তুরস্কের ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ প্রেসিডেন্সির প্রধান ইসমাইল ডেমির প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

টাইফুন এখন পর্যন্ত তুরস্কের সবচেয়ে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র।

এর আগে সংস্থাটি ২০২২ সালের অক্টোবরে ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষা করেছিল। তখন এটি ৫৬০ কিলোমিটার (প্রায় ৩৪৮ মাইল) দূর থেকে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছিল।

সম্প্রতি তুর্কি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রবিট টেকনোলজি দীর্ঘ পাল্লার ফ্লাইট দূরত্বসহ ‘আজাব’ নামে একটি নতুন বহুমুখী কামিকাজে ড্রোন তৈরি করেছে। এরই মধ্যে এটি সব ফ্লাইট পরীক্ষায় সফলভাবে পাস করেছে।

আনাদুলু এজেন্সির খবরে বলা হয়, ডেল্টা-উইংড প্ল্যাটফর্ম (যার উচ্চ পেলোড ক্ষমতা রয়েছে) সব ফ্লাইট পরীক্ষায় সফল হয়েছে। মনুষ্যবিহীন এরিয়াল ভেহিকেল (ইউএভি) এর ফায়ারিং টেস্ট শিগগিরই চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এই ড্রোন ২০০ কিলোমিটার (১২৪ মাইল) পর্যন্ত অপারেশন পরিচালনা করতে পারে। এটি জিপিএসের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করে।

যাযাদি/ এস