ইরানের ‘বলিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র’: কীভাবে কাজ করে, কতদূর পৌঁছাতে পারে?
প্রকাশ | ১৭ জুন ২০২৫, ০৮:৪৫
সরায়েলি হামলার জবাবে পারমাণবিক স্থাপনা ও শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের উপর আঘাতের প্রতিশোধ হিসেবে ইরান শত শত বলিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েলের দিকে।
এর মধ্যে বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে—এর মধ্যে রয়েছে তেল আবিবের কেন্দ্রস্থলসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা।
ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (যেমন আয়রন ডোম) অনেকগুলো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম হলেও, কিছু ক্ষেপণাস্ত্র এই প্রতিরক্ষা ভেদ করে গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানির কারণ হয়েছে।
বলিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কীভাবে কাজ করে?
বলিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (Ballistic Missile) একটি স্বচালিত অস্ত্র যা উৎক্ষেপণের পর নির্দিষ্ট কক্ষপথে উঠে যায় এবং এরপর মহাকর্ষের টানে লক্ষ্যের দিকে ধেয়ে আসে। সাধারণত এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তিনটি ধাপে কাজ করে:
উৎক্ষেপণ ধাপ (Boost Phase): রকেট ইঞ্জিন সক্রিয় হয়ে ক্ষেপণাস্ত্রকে বায়ুমণ্ডলের উপরে নিয়ে যায়।
মধ্যবর্তী ধাপ (Midcourse Phase): ক্ষেপণাস্ত্র মহাশূন্যে ভ্রমণ করে নির্ধারিত কক্ষপথে।
Ezoic
পুনঃপ্রবেশ ও আঘাত ধাপ (Reentry Phase): মহাকর্ষের কারণে এটি পৃথিবীর বুকে ফিরে আসে এবং লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।
কতদূর পৌঁছাতে পারে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র?
ইরান বর্তমানে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ পাল্লার বিভিন্ন ধরণের বলিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ও ব্যবহার করছে। এর মধ্যে রয়েছে:
Ezoic
শাহাব-৩: প্রায় ২,০০০ কিমি দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম
সেজজিল-২: ২,০০০ থেকে ২,৫০০ কিমি পাল্লার
খোররমশাহর: ২,০০০ কিমি ছাড়িয়ে যেতে পারে, যুদ্ধশক্তি আরও বেশি
এই সকল ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিব, হাইফা, ও ইসরায়েলের অন্যান্য প্রধান শহরকে লক্ষ্যবস্তু করতে সক্ষম।
এই সংঘাতে কীভাবে ব্যবহার হচ্ছে?
বর্তমানে সংঘাতে ইরান বলিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে ব্যবহার করছে:
সামরিক ঘাঁটি, বিমানবন্দর এবং পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে
ইসরায়েলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করার জন্য ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের সম্মিলিত হামলার কৌশল হিসেবে
কৌশলগত এবং মনস্তাত্ত্বিক চাপে রাখতে
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের উচ্চ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধকে অনেক বড় পরিসরে নিয়ে যেতে পারে এবং পুরো মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
চিত্র ও গ্রাফিক বিশ্লেষণের জন্য পূর্ণ ভিজ্যুয়াল এক্সপ্লেইনার সংবাদপত্রে যুক্ত করা যেতে পারে।