যানজট ৭০০ কিলোমিটার!

প্রকাশ | ৩১ অক্টোবর ২০২০, ১৯:৫৭

যাযাদি ডেস্ক

যানজটের জন্য কম কথা শুনতে হয় না ঢাকা শহরকে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের রাজপথ যেভাবে অবরুদ্ধ হয়েছিল, তা দেখে বিস্মিত গোটা বিশ্ব। ৭০০ কিলোমিটার বিস্তৃত এই যানজট যে নজিরবিহীন, তা মানছেন সবাই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলতে থাকা যানজটে কার্যত জট পাকিয়ে যায় যানবাহন চলাচল। এমন অদ্ভুত পরিস্থিতির নেপথ্যে অতর্কিতে ডাকা লকডাউন।

 

শুক্রবার থেকেই গোটা ফ্রান্সে লকডাউন ঘোষিত হয়। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় ইউরোপের অন্য দেশগুলোর মতো ফ্রান্সেও শুক্রবার মধ্যরাত থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে তার আগের দিন ব্যস্ততা বাড়ার সম্ভাবনা ছিলই। কিন্তু পরিস্থিতি চলে যায় হাতের বাইরে।

 

অনেকেই বেরিয়েছিলেন খাবার মজুদ করতে। তাই নিত্যসামগ্রীর দোকানে ভিড় ছিল প্রবল। আবার অনেকেই যাচ্ছিলেন বন্ধু-স্বজনের বাড়িতে ছুটি কাটাতে। একসঙ্গে এত মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়ায় তালগোল পাকিয়ে যায় যান চলাচল ব্যবস্থা। ফলে সৃষ্টি হয় নজিরবিহীন দৃশ্যের। মাইলের পর মাইল কার্যত থমকে যায় সব গাড়ি। সামান্য দূরত্ব এগোতেও কেটে যেতে থাকে দীর্ঘ সময়।

 

তবে গোটা বিশ্বের কাছে এটা বিস্ময়কর হলেও ফরাসিদের কাছে এমন ব্যাপার নতুন নয়। এর আগে গত ডিসেম্বরে হঠাৎ যান ধর্মঘটের ফলেও দেখা গিয়েছিল এক দীর্ঘ যানজট। সেটা ছিল ৬২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ। এবারের যানজট অবশ্য সেই রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে।

 

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে ফ্রান্সে। বৃহস্পতিবারও গোটা ফ্রান্সে ৪৭ হ্জার ৬৩৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়। মৃত্যু হয় ২৫০ জনের। উপায় না দেখে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ফের লকডাউনের নির্দেশ দেন। আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত লকডাউন থাকবে। আপাতত লক্ষ্য দৈনিক সংক্রমণ পাঁচ হাজারের নিচে নিয়ে যাওয়া।

 

তবে লকডাউনে ছোটখাটো ছাড় দেওয়া হয়েছে। খুব প্রয়োজন না হলে বাড়ি থেকে বেরুনো যাবে না। কিন্তু বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত প্রাতঃভ্রমণ করার অনুমতি রয়েছে। যাওয়া যাবে অফিসে। খোলা থাকবে অত্যাবশকীয় পণ্যের দোকানও। বন্ধ থাকবে রেস্তোরাঁ ও ক্যাফে। তবে তারা হোম ডেলিভারি করতে পারবে। সংবাদসূত্র : ইনডিয়ান এক্সপ্রেস