রাজকুমার-রাজকুমারীরাও খেটে খায় যেখানে

প্রকাশ | ৩১ অক্টোবর ২০২০, ২১:১৯

যাযাদি ডেস্ক

 

রাজপ্রাসাদ নেই, মসনদও নেই, কিন্তু সিঙ্গাপুরে রাজকুমার, রাজকুমারীরা আছেন৷ দেখে চেনা যায় না তাদের৷

 

যাদের নামের সঙ্গে ‘টেংকু' আছে, বুঝতে হবে তারাই রাজকুমার বা রাজকুমারী৷ কোন্ বংশের রাকজুমার বা রাজকুমারী? কেন সুলতান হুসেইন শাহর কথা মনে নেই? তার সঙ্গে চুক্তি করেই তো সিঙ্গাপুরে উপনিবেশিক শাসন শুরু করেছিল যুক্তরাজ্য৷

 

গত শতকের শেষ দিকেও জরাজীর্ণ এক রাজপ্রাসাদে গাদাগাদি করে থাকতেন তারা৷ তখন রাজপ্রাসাদে অবশ্য সুলতানের ৭৯ জন বংশধরের মধ্যে মাত্র ১৪ জন ছিলেন৷মাসোহারার আশ্বাস দিয়ে তাদের রাজপ্রাসাদ ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় সরকার৷

 

সেই রাজপ্রাসাদ এখন জাদুঘর৷ রাজবংশের হয়েও টেংকু শওল, টেংকু আজান, টেংকু ইন্দ্র, টেংকু ফজল বা প্রিন্সেস পুতেরিকে এখন সেখানে যেতে হয় বেড়াতে৷তারা যে এখন সাধারণ মানুষ!

 

টেংকু ইন্দ্র কনসালট্যান্ট, তার ছেলে টেংকু ব্যবসায়ী, প্রাসাদচ্যুত হওয়ার পর কিছুদিন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করা টেংকু ফয়জল ট্যাক্সিচালক আর টেংকু পুতেরি এখন বায়োটেক ফার্মের কর্মী৷

 

টেংকু ইন্দ্র বলেন, ‘আপনি রাজপরিবারের কিনা, তা আর এখন গুরুত্বপূর্ণ নয়৷ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পারিবারিক সূত্রে পাওয়া কোনো পরিচয় দিয়ে নয়, এখন জীবিকা নির্বাহ করতে হয় মেধা দিয়ে।' সংবাদসূত্র : ডয়চে ভেলে, রয়টার্স