বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আজ থেকে তুরস্কে ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন শুরু

যাযাদি ডেস্ক
  ১৪ জানুয়ারি ২০২১, ১১:১৯

বৃহস্পতিবার থেকে তুরস্কে ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন শুরু হলো। বুধবার দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাকসিন প্রদানের মধ্য দিয়ে এ ক্যাম্পেইনের শুভ সূচনা হবে।

তুর্কি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেত্তিন কোচা বলেন, ‘আমাদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব থাকবে একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোভিড ভ্যাকসিন কর্মসূচি পরিচালনা করা।’

রাজধানী আঙ্কারায় করোনাভাইরাস বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বোর্ডের একটি সভা শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ভ্যাকসিন গ্রহণ সাধারণ জনগণের জন্য অনুসরণীয় ‘উদাহরণ স্থাপন’ করবে।

তিনি বলেন, ‘৮১টি প্রদেশের জনস্বাস্থ্য ডিপোগুলোতে ভ্যাকসিন পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।’ ‘আজ এক নতুন যুগের প্রথম দিন।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানায়, প্রত্যেককে একটি বারকোডযুক্ত নামের মাধ্যমে ভ্যাকসিনের ডোজ দেয়া হবে।

কোচা বলেন, মহামারী শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনা, প্রয়োজনীয় ব্যব্স্থা গ্রহণ ও বিধিনিষেধ জারি রাখার ব্যাপারে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

‘আমি আপনাদেরকে এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে, সুষমভাবে ভ্যাকসিন বিতরণ করা হবে এবং এক্ষেত্রে শুধুমাত্র বৈজ্ঞানিক বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত অগ্রাধিকার তালিকা অনুসরণ করা হবে। অধিগ্রহণ পরিকল্পনার আলোকে জনগণকে তাদের ভ্যাকসিন গ্রহণের সময় জানিয়ে দেয়া হবে। তারা অ্যাপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমে ভ্যাকসিন নিতে যাবে।’

এরপর, স্বাস্থ্যমন্ত্রী তুরস্কের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে চীনা কোভিড ভ্যাকসিন করোনাভ্যাক গ্রহণ করেন। ‘আমি উল্লেখ করতে চাই সবাইকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। আমাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার জন্য আমরা অবশ্যই ভ্যাকসিন নেব।’

তিনি বলেন, ‘এর আগে আমি বলেছি, টানেলের শেষে আলো থাকে। আজ এমন একটি দিন। আমি বিশ্বাস করি সামনের দিনগুলো ভালো হবে।’

মন্ত্রীর পর বোর্ড সদস্যরাও ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।

বুধবার সকালে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবহারের জন্য তুরস্কের ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম কর্তৃপক্ষ করোনাভ্যাকের অনুমোদন দেয়।

ডোজগুলো মূল্যায়নের পর তুর্কি ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম এজেন্সি (টিআইটিসিকে) ঘোষণা করে, বেইজিংভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাকের উৎপাদিত করোনাভ্যাকের অনুমোদন দিয়েছে তারা।

৩০ ডিসেম্বর সিনোভ্যাকের তৈরি তিন মিলিয়ন ভ্যাকসিন ডোজ তুরস্কে পৌঁছে। এগুলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসা সংরক্ষণের আওতায় রাখা হয়। এরপর টিআইটিসিকের ল্যাবরেটরিতে ১৪ দিন ধরে ভ্যাকসিনের স্যাম্পলগুলো পরীক্ষা করা হয়।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

যাযাদি/এমএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে