বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চীনে উইঘুর নিপীড়ন ‘গণহত্যা’, অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের

যাযাদি ডেস্ক
  ২০ জানুয়ারি ২০২১, ১২:২৫

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রদপ্তর চীনের শিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে ‘গণহত্যা’ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করছে বলে ঘোষণা করেছে। মার্কিন কর্মকর্তারা মঙ্গলবার পররাষ্ট্রবিভাগ এই ঘোষণা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন। দেশটির বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমি বিশ্বাস করি এই গণহত্যা চলছে । আমরা উইঘুরদেরকে ধ্বংস করে দেওয়ার ধারাবাহিক প্রচেষ্টা দেখতে পাচ্ছি।”

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও, পররাষ্ট্রদপ্তরের আইনজীবী ও অন্যান্য কর্মকর্তারা চীনের উইঘুর নিপীড়নকে ‘গণহত্যা’ হিসাবে গণ্য করার বিষয়টি নিয়ে কয়েকমাস ধরে বিতর্ক করেছেন। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের শেষ সময়ে এসেই বিষয়টি গতি পায়।

সম্প্রতি কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক আইনপ্রণেতা এবং আন্দোলনকর্মীদের অনেকেই চীনের উইঘুর নিপীড়নকে ‘গণহত্যার’ তকমা দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে এসেছে।

আর এখন চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এই প্রকাশ্য অভিযোগ দুই দেশের সম্পর্ককে আরও অবনতির দিকে ঠেলে দেওয়ার পট প্রস্তুত করল। ট্রাম্প প্রশাসনের অন্তিম সময়ে চীনের বিরুদ্ধে এটিই সর্বশেষ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রবিভাগ থেকে কোনও দেশের নৃশংস কর্মকাণ্ডের এমন তকমা দেওয়ার ঘটনা বিরল। এ পদক্ষেপের ফলে যুক্তরাষ্ট্র এখন নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের আওতায়ও চীনের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে।

চীনা কর্মকর্তারা অরক্ষিত জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে নির্মূল করার তৎপরতা চালাচ্ছেন এবং তাদের ওপর জোর জবরদস্তি করা হচ্ছে বলেও পম্পেও অভিযোগ করেছেন। এখন যুক্তরাষ্ট্রের দেখাদেখি বিশ্বের অন্যান্য দেশ এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানও সংখ্যালঘু মুসলিম নিপীড়নের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের সমালোচনা করা এবং চীনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে পারে।

গত বছর বাইডেনও তার এক মুখপাত্রের মাধ্যম দিয়ে বলেছিলেন, বেইজিংয়ের নীতি ‘গণহত্যার’ সামিল। আর এবার তার দেশ প্রকাশ্যেই এটাকে ‘গণহত্যা’ বলে অভিযোগ এনেছে। শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প প্রশাসনের পদাঙ্ক অনুসরণে বাইডেন কী সিদ্ধান্ত নেন, সময়ই হয়তো তা বলে দেবে।

যাযাদি/ এমএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে